বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুনাফিকি থেকে দূরে থাকতে হবে

মাওলানা আবদুর রশিদ

মুনাফিকি থেকে মুমিনদের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের আলামত হচ্ছে তিনটি- যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কোনো কিছু আমানত রাখা হয়, তা সে খেয়ানত করে। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এরূপ উপদেশ খুব কমই দিয়েছেন, যাতে একথাগুলো বলেননি যে, যার আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই এবং যার অঙ্গীকারের মূল্য নেই তার দীন-ধর্ম নেই। (আহমাদ, মিশকাত)। অত্র হাদিস দ্বারা প্রতীয়মাণ হয় যে, আমানত রক্ষা করা এবং অঙ্গীকার পূরণ করা পূর্ণ মুমিন হওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি তোমার কাছে আমানত রেখেছে তাকে সময়মতো আমানত বুঝিয়ে দাও। আর যে তোমার সঙ্গে খেয়ানত করে তার খেয়ানত কর না। (তিরমিজি, আবু দাউদ, দারেমি, মিশকাত)। হজরত সাঈদ ইবনে যায়েদ (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত জমিন দখল করেছে, নিশ্চয়ই কেয়ামতের দিন অনুরূপ সাতটি জমিন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, মানুষের মধ্যে উত্তম কে? তিনি বললেন, প্রত্যেক নিষ্কলুষ অন্তঃকরণ সত্যভাষী। সাবাহারা আরজ করলেন, সুদুকূল লিসান তো আমরা বুঝি, তবে মাখ্মূমুল কালব কী? তিনি বললেন, নির্মল ও পবিত্র অন্তঃকরণ, যা পাপ করেনি, জুলুম করেনি, যা খেয়ানত করেনি ও যা হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত।  (ইবনে মাজাহ, বায়হাকি, শুআবুল ইমান, মিশকাত)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন তোমার মধ্যে চারটি বস্তু বিদ্যমান থাকে তখন দুনিয়ার যা কিছুই তোমার থেকে চলে যায় তাতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। আমানত রক্ষা করা, সত্য কথা বলা, উত্তম চরিত্র হওয়া এবং খানাপিনাতে সতর্কতা অবলম্বন করা। (আহমাদ, শুআবুল ইমান, মিশকাত)।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে মুনাফিকির ক্ষতিকর পথ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

 

সর্বশেষ খবর