শিরোনাম
শনিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

গরুর খামারে স্মার্ট টেকনোলজি নতুন বিপ্লবের হাতছানি

শাইখ সিরাজ

গরুর খামারে স্মার্ট টেকনোলজি নতুন বিপ্লবের হাতছানি

২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসের ডো মার্কে গরুর খামারে গিয়ে অবাক হয়েছিলাম। আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময়কর ব্যবহার খামারটিকে দিয়েছিল অন্যরূপ। দেখে মনে হচ্ছিল গরুর খামার নয়, যেন কোনো এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চলে এসেছি। ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি কৃষিতে যে বৈপ্লবিক রূপান্তর আনতে যাচ্ছে এটা তারই স্মারক। এটিকে বলা হচ্ছে স্মার্ট প্রযুক্তি। বর্তমান সময়ে স্মার্টের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। স্মার্ট মানেই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা। মুহূর্তেই সব তথ্য পাওয়া যায় যেখান থেকে। এই শতাব্দীতে আমরা প্রবেশ করেছি স্মার্ট যুগে। নেদারল্যান্ডসের গরুর খামারটিও স্মার্ট একটি গরুর খামার। সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে স্মার্টলি। গরুর খাদ্য দেওয়া থেকে শুরু করে দুধ সংগ্রহ পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে যান্ত্রিক উপায়ে।

স্মার্ট ফার্ম ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি গরুর জন্য একটি করে চিপ থাকে। চিপটি সাধারণত গলার কলারে বা কানে ট্যাগ লাগানো থাকে। এটি এমন একটি চিপ যা গরুর শারীরিক ও পারিপার্শ্বিক সবধরনের তথ্যই সংগ্রহ করতে সক্ষম। যেমন, গরুর দেহের তাপমাত্রা, রক্তসঞ্চালন, জাবরকাটা থেকে শুরু করে প্রজনন সময়ের নির্ভুল হিসাব দেয়। মাতৃগরুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য দিয়ে অসময়ের গর্ভপাত রোধ করতে সাহায্য করে। গরুর কী ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন, কী পরিমাণ আলো-বাতাস লাগবে, এমনকি গাভীর দুধ দেওয়ার সময় সম্পর্কেও নানা তথ্য খামারি ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত বেজ স্টেশন থেকে সরাসরি মোবাইল ফোনে পেতে পারে। ডো মার্কের আধুনিক দুধ দোহানোর পদ্ধতিটাও চমকপ্রদ। সেখানে গাভী উন্মুক্ত বিচরণ করতে করতে নিজেই যখন উপলব্ধি করে তার দুধ দেওয়ার সময় হয়েছে, তখন লাইন ধরে দুধ দোহানো কেন্দ্রে উপস্থিত হয়। শুধু গাভীর উপলব্ধি দিয়ে যন্ত্র সন্তুষ্ট হয় না, যন্ত্র যখন তার হিসাব দিয়ে উপলব্ধি করবে যে দুধ দোহানোর জন্য গাভী প্রস্তুত তখনই সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুধ দোহানো শুরু করবে। অন্যথায় নয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে গ্রামীণফোন আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তাদের গরুর খামারে স্মার্ট টেকনোলজি লঞ্চিং অনুষ্ঠানে। তখন দক্ষিণ কোরিয়ায় একটা প্রোগ্রামের শিডিউল থাকায় তাদের সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। কাকতালীয়ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায়ও একটা স্মার্ট খামার পরিদর্শনের সুযোগ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় তখন হাড় কাঁপানো শীত। ভর দুপুরেই তাপমাত্রা মাইনাস ১। সেই কনকনে ঠান্ডার দিনে সিউল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চুংনাম প্রদেশে কিমের দুগ্ধ খামারটিতে পৌঁছালাম।

কিমের খামারটিকে খামার না বলে একটা দুগ্ধশিল্প প্রতিষ্ঠান বলাই ভালো। আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে খামারে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্যরা। বলে রাখি, দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ধরনের দুগ্ধ খামার পরিচালনায় স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানির সক্রিয় সহায়তা রয়েছে। উদ্যোক্তা কিমের খামারটি বেশ বড়। সে তুলনায় কর্মী খুব একটা চোখে পড়ল না। প্রযুক্তির এই সুবিধা, যন্ত্রই সামলে নিচ্ছে সব। এমনকি খামারের পরিবেশ, আলো-হাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ সূক্ষ্মভাবে। আবহাওয়া ও পরিবেশ যে কোনো প্রাণীর সুস্বাস্থ্যের জন্য অনুকূলে থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো যেখানে প্রচ- শীত ও প্রচ- গরম থাকে সেখানে এসব তথ্য সম্পর্কে সবসময়ই আপডেট থাকতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তি খুবই কার্যকর বলে জানিয়েছেন কিম। তিনি জানিয়েছেন, কোরিয়ার আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন। তাই খামারের তাপমাত্রা নিয়ে সবসময় সচেতন থাকতে হয়। ভালো উৎপাদন পেতে হলে প্রাণীগুলোকে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি দিতে হয় ভালো পরিবেশ। আমাদের দেশের খামারিরা এগুলো নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করেন। শীতে যেমন গরুর জন্য তৈরি করেন চটের জামা। গরমে থাকে ফ্যানের বাতাস। আমাদের দেশীয় পদ্ধতি থেকে ভিন্নতাটা হচ্ছে স্মার্ট খামারে এটা একেবারে হিসাব করা। ঠিক কখন কতটুকু আলো-বাতাস প্রয়োজন সবটুকুই নিয়ন্ত্রণ করছে প্রযুক্তি। খামারে অনেক ফ্যান। সেগুলো অটোমেটিক। যন্ত্র যখন বুঝবে অতিরিক্ত বাতাস প্রয়োজন তখন আপনাআপনি সেগুলো চালু হয়ে যায়।

কিমের খামারটির বয়স চার বছর হলেও স্মার্ট প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে এসেছেন দুই বছর হয়েছে। স্মার্ট প্রযুক্তির কৃষির প্রধান প্রশ্নই বিনিয়োগে। হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি একটা বড় বিনিয়োগ রয়েছে সফটওয়্যারেও। কিম জানান, স্মার্ট খামার তৈরির খরচটা একটু বেশিই। তবে খরচের তুলনায় লাভ বেশ ভালোই। কিম আরও তিন খামারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে একসঙ্গে চারটি খামারের জন্য এই প্রযুক্তি নিয়েছেন। হার্ডওয়্যারে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ইয়োন আর সফটওয়্যারে ১৫ কোটির মতো। প্রযুক্তির ব্যবহারে লাভও পাচ্ছেন কিম। ১২০টি গাভীর মধ্যে দুধ পান ৮০টি থেকে। প্রতিটি গরু প্রতিদিন প্রায় ৩৪ লিটার করে দুধ দেয়। সব মিলে প্রতিদিন পাচ্ছেন প্রায় ২ হাজার ৫০০ লিটার দুধ। প্রযুক্তি ব্যবহারের পর আগের থেকে প্রতিটি গরু থেকে প্রায় ৭ লিটার দুধ বেশি পাচ্ছেন। কিমের খামারের দুধ দোহানোর সিস্টেমটি নেদারল্যান্ডসের ডো মার্কের মতো ততটা আধুনিক না হলেও যান্ত্রিক ও স্বয়ংক্রিয়। দুধের গুণগতমান, পরিমাণ থেকে শুরু করে গাভীর শারীরিক অবস্থার একটা রিডিং পাওয়া যায় কম্পিউটারে। সেখান থেকে সরাসরি দুধ চলে যায় চিলিং কক্ষে। কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সেখান থেকেই দুধ প্যাকেটজাত হয়ে চলে যায় বাজারে, গ্রাহকের কাছে। কিমের পুরো খামারের সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় একটা কক্ষ থেকে। ওটাই কিমের অফিস, যেখানে রাখা হয়েছে মূল কম্পিউটার ও রাউটার। এটাকে বলা হচ্ছে বেজস্টেশন। প্রতিটি গরুর কলারে থাকা চিপটির সঙ্গে বেজ স্টেশনের সবসময় তথ্য আদান-প্রদান হয়। অনেকটা জিপিএস চিপের মতোই। গরু যদি তার চাহিদামতো খাদ্য না খায়, কিংবা তার স্বাভাবিক চাঞ্চল্য না থাকে তাহলে চিপটি অটোমেটিক তথ্য প্রেরণ করবে বেজস্টেশনে। সেখানে বসেই কিম তথ্য পেয়ে যাচ্ছে কম্পিউটারে। এমনকি যেখানেই থাকুক, কিমের মোবাইল ফোনে নোটিফিকেশন চলে আসছে। কিম বলছিলেন, স্মার্ট প্রযুক্তির খামার গড়ে তোলা বেশ ব্যয়বহুল। বড় খামারিদের জন্য খরচটা হয়তো ঠিক আছে। ছোট বা মাঝারি খামারিদের জন্য এ ব্যয় বহন কঠিন হয়ে যাবে। তবে এ প্রযুক্তি ব্যবহারে লাভ যে হবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

পাঠক! বলছিলাম আমাদের দেশেও গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে এ প্রযুক্তি। নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চনে ব্যবসায়ী এম এ সবুর তার গরুর খামারের আটটি গাভীকে নিয়ে এসেছেন গ্রামীণফোনের স্মার্ট গরুর খামার ব্যবস্থাপনায়। তারা এ ব্যবস্থাপনার নাম দিয়েছেন ডিজিকাউ। যদিও কেনিয়ায় ডিজিকাউ নামে আরও একটি স্মার্ট প্রযুক্তি রয়েছে। গত সপ্তাহে এম এ সবুর সাহেবের মাস্কো ডেইরি ফার্মটি ঘুরে এলাম। আগেই বলেছি প্রযুক্তির কৃষি মানেই বিনিয়োগের কৃষি। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীই মূলত বিনিয়োগ করছেন। এম এ সবুর সাহেবের ছেলে কৃষির প্রতি অনুরক্ত। ছেলের কৃষি-খামারের প্রতি ভালোবাসা দেখেই বছর তিনেক আগে তিনি ১৪ বিঘা আয়তনের এ ডেইরি ফার্মটি গড়ে তোলেন। এম এ সবুরের মতো বড় বড় ব্যবসায়ী এখন কৃষিতে বিনিয়োগ করছেন। এ বিনিয়োগ যতখানি বাণিজ্যিক চিন্তা থেকে, তার থেকে বেশি কৃষির প্রতি নতুন এক অনুরাগ থেকে। এ খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় পরিবেশও তৈরি হয়েছে। দিনে দিনে কৃষির চিত্রও বদলে যাচ্ছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ সবুরের খামারটিও জানান দিচ্ছে সেই সম্ভাবনার কথা। বিশালাকার খামারটিতে ছোট-বড় মোট সাতটি শেডে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২০০ গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। একেকটি শেডে একেক ধরনের গরু।  ষাঁড়, গর্ভবতী গাভী, দুগ্ধবতী গাভী আর বাছুর রাখা হয়েছে আলাদা শেডে। এখানেই আটটি গাভীর সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো এখন শতভাগ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণের আওতায়।

আটটি গাভীর গলায় ঝোলানো হয়েছে আটটি ডিভাইস, যাকে বলে নেক ট্যাগ। এটি মূলত গাভীর খাদ্যাভ্যাস থেকে শুয়ে-বসে থাকার সাধারণ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কম্পিউটারে সরবরাহ করে। আর গাভীর কানে বিশেষ কায়দায় লাগানো ডিভাইসকে বলে স্মার্ট ট্যাগ। এটি গাভীর প্রজননকাল ও সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর তথ্য সরবরাহ করে। সব তথ্য একটি রাউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে কম্পিউটারের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে গাভীর ভালোমন্দের সংকেত প্রদান করে খামারিকে। এ ছাড়া গাভীর আগাম ভ্যাকসিনেশন বা ওষুধ প্রয়োগের সময়ও খামারির মোবাইলে সংকেত হিসেবে চলে আসে; যাতে খামারি কোনো ক্ষতির মুখে পড়ার আগেই সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে পারে।

গ্রামীণফোনের স্মার্ট এগ্রি বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইমতিয়াজ মাহবুবের সঙ্গে কথা বলি এ প্রযুক্তি নিয়ে। তিনি জানান, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ মানুষ গবাদিপশু পালন করে এবং ২০ শতাংশ মানুষ গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। ১৯৮০ সাল থেকে দেশের খামারিরা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ক্রসব্রিডের দ্বারা গরুর প্রজনন শুরু করেন। এ পদ্ধতির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে গরুর হরমোনজনিত হিটের পর্যায়কাল শনাক্ত করা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে, এ হরমোনজনিত তাপের পর্যায়কাল শনাক্ত না করতে পারায় প্রতিবার প্রায় ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে। গরু বা গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা আগে থেকে বোঝার বা শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। ফলে দেশে বর্তমানে গরুর মৃত্যুহার ৫.৬ শতাংশ। মাস্কো ডেইরি ফার্মের সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন শফিকুল ইসলাম। কথা হয় তার সঙ্গেও। তিনি জানান, বেজস্টেশন তৈরিতে খরচ হয় ২৮ হাজার ৫০০ টাকা, প্রতিটি গরুর ট্যাগের জন্য খরচ ৬ হাজার ৫০০ টাকা করে। খামারের আটটি গরুকে স্মার্ট টেকনোলজির আওতায় আনতে খরচ হয়েছে ৮০ হাজার ৫০০।

দুধ দোহানোর বিষয়টি এখনো এই টেকনোলজির আওতায় আনা হয়নি। আনা হয়নি পরিবেশ পর্যবেক্ষণের প্রযুক্তিও। তবে শুরু যেহেতু হয়েছে, খুব শিগগিরই হয়তো দেখব উন্নত বিশ্বের স্মার্ট টেকনোলজির সব ধরনের ব্যবহার আমাদের এখানেও চলে এসেছে। আগামীর কৃষি মানেই স্মার্ট কৃষি। আইওটি অর্থাৎ ইন্টারনেট অব থিংস, এ আই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৃষিকে দেবে নতুন মাত্রাÑ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উন্নত বিশ্ব এখন প্রাণিসম্পদ তথা দুগ্ধ খামারে ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। মো মনিটর, ডিজি কাউ, কাউলার বিভিন্ন নামে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের খামারি উপকৃত হচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়া ২০২২ সালের মধ্যে ১০ ভাগ প্রাণিসম্পদের খামারকে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশে বড় খামারিরা বহুমুখী লাভের কথা চিন্তা করে গ্রামীণফোনের আনা এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে পারবেন। কিন্তু মাঝারি বা ছোট আকারের খামারিরাও যাতে এর সুফল পেতে পারেন সেজন্যও প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ। আর একটি বিষয় প্রমাণিত সত্য। প্রযুক্তি সংখ্যায় যখন বেশি ব্যবহার হয়, তখন তুলনামূলক হারে তার ব্যয় কমে আসে। নিরাপদ ও অধিক উৎপাদনে প্রযুক্তির বিকল্প নেই।

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

[email protected]

সর্বশেষ খবর