রবিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চারদিকে মৌসুমি পাখিদের নাচ-গান সেলফি উৎসব

নঈম নিজাম

চারদিকে মৌসুমি পাখিদের নাচ-গান সেলফি উৎসব

মনের ভিতরে জ্বলে ওঠা আগুন সহজে নেভে না। এ আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। কখনো কখনো পুড়িয়ে ছাই করে দেয় চারপাশ। আবার কখনো আগুনের তেজ ছড়ায় আলোকরশ্মি। সে আলোয় আলোকিত হয় মানবজীবন। স্বাপ্নিক জগৎকে বাস্তবে আনা অসম্ভব কিছু নয়। মানুষই জয় করেছে চাঁদের দেশ। আর ইতিহাস ক্ষণে ক্ষণে জয় করে মানুষ তাক লাগিয়েছে বিশ্বকে। অন্ধকারকে আড়াল করে মানবজীবনেই আলোর পথ বিচ্ছুরিত হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যের একটি ভিডিও দেখছিলাম সেদিন। পুলিশ, প্রশাসন আর বিধায়কদের একসঙ্গে মুখোমুখি করলেন মমতা। রাজনীতিবিদরা বলছেন পুলিশের বিপক্ষে। আর পুলিশ বলছে, রাজনীতিবিদরা কীভাবে ক্ষমতার  অপব্যবহার করে জনগণের দুর্ভোগ ডেকে আনে। রাস্তা দখল করে ইট-পাথরের ব্যবসা করে। পুলিশ বাধা দিলেই বিধায়ক গিয়ে সমস্যা তৈরি করেন। এ নিয়ে এমপি বললেন পুলিশের বিরুদ্ধে। আর পুলিশ বলল এমপির বিরুদ্ধে। মমতা দুই পক্ষের কথা শুনলেন। তারপর নিজের অবস্থান জানালেন জনগণের পক্ষে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক কিছুর সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে। আমাদের রাজনীতিবিদ ও ব্যুরোক্রেটদের মুখোমুখি করলে একই চিত্র বেরিয়ে আসবে। খুব একটা পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। সরকারের কাজ সংকটের সমাধান করা। আর এ কাজ করতে হলে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে মানুষকে সামনে রাখতে হবে। সমস্যা আমাদের অনেক। কিন্তু মানুষ সুবিচার চায়। সরকারের কাছে ন্যায়পরায়ণতা চায়। অন্যায়-অসংগতির বিরুদ্ধে সরকারকে সঠিক অবস্থানে দেখতে চায়। ভোটে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, রাজনৈতিক কর্মী, পেশাজীবী সবারই ভূমিকা ছিল। এ ভূমিকা যেন এখন নেতিবাচক বার্তা হয়ে মানুষের কাছে না যায়। আমরা সরকারকে এনেছি অথবা পদ পেয়ে এখন উচ্চ আসনে আছি তাই এখন যা খুশি তা করতে পারব ভাবলেই সর্বনাশ হয়ে যাবে। এই বিশাল জয়ের পর মানুষকে কী দেবেন তার হিসাব-নিকাশ করুন। সেদিন এক অনুষ্ঠানে এক সংস্কৃতিসেবী বললেন, ভাই দোয়া করবেন। এখন একটা কিছু আমার পাওয়া উচিত। জানতে চাইলাম, কদিন ধরে আওয়ামী লীগ করছেন। জবাবে বললেন, দুই বছরের বেশি। বিস্মিত হলাম না। এখন এমন মানুষের ঢল দেখছি। তারা গত কয়েক বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ করেছেন। এবার মূল্যায়ন দরকার। কী দারুণ চাওয়া-পাওয়ার হিসাব! সরকারি দলের সৌভাগ্যের দুই বছরেই এখন অবস্থান চান। আসলে এই মানুষগুলোকে দোষারোপ করে কী হবে? সমাজের সর্বস্তরেই এখন চাওয়া-পাওয়ার হিসাব। আমাদের রাজনীতিবিদরাও এর বাইরে নন। রাজনীতিবিদরা ভোট এলেই চরিত্র বদলান। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা ভোটের আগে নৌকায় চড়েন। আবার ড. কামাল হোসেনরা চলে যান ধানের শীষের বুকে। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এত দিনের অর্জিত আদর্শ বিসর্জন দেন। আদর্শ শব্দটি রাজনীতি থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে। নীতি এখন মুখের কথা। বাস্তব বলে অন্য কথা। কিছুদিন আগে ফোনে কথা হচ্ছিল জিসাস নেতা আবুল হাশিম রানার সঙ্গে। বিএনপির শাসনকালে তারকাদের ঢল দেখতাম রানার সংগঠন জিসাসে। বিএনপির শীর্ষ মহলের দরকার ছিল না। রানাকে পেলেই তারা খুশি। রানাকে বললাম, সব লোক তো আপনাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে? কাহিনী কী ভাই? জবাবে রানা বললেন, কোনো শিল্পীকে আমি জোর করে সংগঠনে আনিনি। আবার জিয়া স্বর্ণপদকও দিইনি। তারা খুশিমনে জিয়ার আদর্শে ছিলেন সামাজিক কারণে। ১৯৯৯ অথবা ২০১২ সালে যারা জিয়া স্বর্ণপদক নিলেন তাদের কথা কী বলবেন? তখন তো বিএনপি ক্ষমতায় ছিল না। ছিল আওয়ামী লীগ। তারা তখনো সামাজিক ও আদর্শিক কারণে ছিলেন আমাদের সঙ্গে। এখন সামাজিক কারণে চলে গেছেন অন্যদিকে। আবার সময় হলে সামাজিক কারণে ফিরে আসবেন। রানার এ বক্তব্যই বাস্তবতা আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির।

বাংলাদেশ নয়, ভারতেও সামাজিক কারণে শিল্পীরা এভাবেই ক্ষমতার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেন। মোদির সঙ্গে তোলা তারকাদের সেলফি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া ঝড় তুলেছে। অথচ অতীত বলে অন্য কথা। জরুরি অবস্থা জারির চার দিনের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী টেলিগ্রাম পান, বলিউড তার পাশে আছে। এ সময় সঞ্জয় গান্ধীর জলসা মাতিয়ে আসতেন মুম্বাইয়ের তারকারা। সঞ্জয়কে তারা নানা পরামর্শও দিতেন। সেই সময় জরুরি অবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিলেন কিশোর কুমার, দেবানন্দ, প্রাণ, মনোজ কুমার, গুলজারসহ অনেক শিল্পী। তাদের প্রতিবাদকে ভালোভাবে নেননি সঞ্জয় গান্ধী। তাই আকাশবাণী, দূরদর্শনে নিষিদ্ধ হন কিশোর কুমার। তার গান প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই কিশোর কুমারের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ জানান মান্না দে, মোহাম্মদ রফি। এই প্রতিবাদ শুধু বিবৃতিতে থেমে থাকেনি, মান্না দে সামনাসামনি সঞ্জয় গান্ধীকে এক হাত নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, নেহরুর নাতি হয়ে এ আপনি কী করছেন? এটা হতে পারে না। পুরো মুম্বাই তখন তোলপাড় হয়ে যায়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুম্বাই তারকাদের সম্পর্কটা ভালো। মোদির বিভিন্ন প্রচারণায় অনেকেই অংশ নেন। কেউ কেউ এ নিয়ে ছবি নির্মাণও করছেন। শুধু মোদি নন, বলিউড তারকারা বেঁচে থাকতে নিয়মিত বালাসাহেব ঠাকরের দর্শনেও যেতেন। তাঁর পা ছুঁয়ে কদমবুচি করতেন। যেন দোদণ্ড প্রতাপের সামনে সবাই চায় কুর্নিশ জানাতে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা আলাদা। তিনি অনেক তারকাকে ঠাঁই দিয়েছেন দলে। তবে সবাইকে পাঠিয়েছেন সরাসরি ভোটে। অবশ্য কলকাতার এই তারকারা বিভিন্ন দলে ঘুরে বেড়াতেন না। কেউই অন্য দলের কমিটিতে ছিলেন না। মমতার দলেই তাদের হাতেখড়ি। মমতার দলেই এগিয়ে চলা। বিজেপি এ নিয়ে বসে নেই। তারাও পশ্চিমবঙ্গের অনেককে কাছে টানছে। আরও অনেককে টানার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি ভালো কাজ করেছেন নায়ক ফারুককে সরাসরি ভোটের সুযোগ দিয়ে। এই মানুষটি দুঃসময়ে কাজ করেছেন। আলমগীর কুমকুম, সালাহউদ্দিন বাদল, আবদুল কাদেরের সঙ্গে তাকে দেখতাম কর্মসূচিতে। জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোটে এ টি এম শামসুজ্জামানকেও দেখতাম। মাঝে মাঝে সোহেল রানাকেও পাওয়া যেত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে তিনি ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। নায়িকা বলতে মাঠে দেখতাম শুধু দিলারাকে। অন্য সবাই তখন আলাদা জাতের। তবে কবরী এই ঘরানার হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। তিনি সক্রিয় কোনো কর্মসূচিতে যেতেন না। কবরীকে সরাসরি ভোটে জয়ী করে আনেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তার মূল্যায়নও ইতিবাচক। আর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বামদের দাপটের মুখে লিয়াকত আলী লাকি ছিলেন আওয়ামী লীগ। অবশ্য বামদের বড় অংশ পরে ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠেন। রাষ্ট্রক্ষমতার পারদ-বল চরকির মতো ঘোরে। তারাও ক্ষমতার এই বলকে ধরতেই যত প্রতিযোগিতায় আসেন। তবে নাটকে গানে মুক্তিযুদ্ধকে তারা সামনে রাখতেন। বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়নে তারা কৃপণ ছিলেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ইতিবাচক লিখলে তাদের গায়ে লাগত। নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই দুই কথা শুনিয়ে দিতেন।

যে কারোরই আওয়ামী লীগ করার অধিকার আছে। এই দলে সবাই কট্টরপন্থি হবেন তাও নয়। সবাইকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে আসতে হবে তাও নয়। আর অবশ্যই তারকারা আওয়ামী লীগ করতে পারেন। সাফারি বাদ দিয়ে নতুন করে মুজিবকোটও পরতে পারেন। শিফন বাদ দিয়ে সুতি শাড়ি পরতে পারেন। আমি কোনো সমস্যা দেখি না। কিন্তু কিছু পেতে তাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। দুই দিন আগে তারা ছিলেন জাসাস অথবা জিসাসের নেতানেত্রী। উৎসবমুখর পরিবেশে নিয়েছেন জিয়া স্বর্ণপদক। এমনকি আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালেও  জিয়া স্বর্ণপদক হাতছাড়া করেননি। রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে অথবা রমজান মাসে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে গিয়ে ছবি তুললে আমার আপত্তি ছিল না। দলবেঁধে জিয়া স্বর্ণপদক নেওয়া, জাসাস, জিসাসের কমিটিতে থেকে এখন রাতারাতি আওয়ামী লীগের নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টায় আমার আপত্তি আছে। একটা অবুঝ বালকও বোঝে, জোর করে কেউ কাউকে জাসাস, জিসাসের কমিটিতে নেয়নি। আবার পদকও দেয়নি। কারণ বেশির ভাগ তারকা পদক নিয়েছেন ও কমিটিতে গেছেন আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদের ক্ষমতাকালে। তার পরও আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোটের আগে তাদের কাজ করার বিপক্ষে আমি নই। তবে কথায় আছে, শনি শনিতে আট দিন হলো একটি দলে মাত্র। নবম দিনে পা রেখেছেন। মাস যেতে দিন। এই আট দিনের কাজের মূল্যায়ন হিসাব-নিকাশ কেন শুরু করলেন? কিছু পাওয়ার জন্য একজন মানু মজুমদারকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। ১৫ আগস্টের পর প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে। এত দিন পর এমপি হলেন। আমরা একসঙ্গে সারা দেশ ঘুরেছি। ভালো লেগেছে পুরনো মানুষগুলোর মূল্যায়ন দেখে। মৃণালকান্তি দে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। একসময় একাই মিডিয়া সামাল দিতেন। সারা দিন নেত্রীর সঙ্গে কাজ করে সন্ধ্যায় আমাদের সঙ্গে কাটাতেন পত্রিকা অফিসে। চায়ের আসরে ঝড় তুলতেন। যাওয়ার সময় গোপনে একটা নিউজ দিয়ে যেতেন। তখন এত পত্রিকা ছিল না। টিভি ছিল না। কয়েকজন সাংবাদিক আওয়ামী লীগ বিট করতাম। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে সারা দেশ ঘুরে বেড়াতাম। আমাদের সময়কার সেই মানুষ ধীরে ধীরে মূল্যায়ন পেয়েছেন। পাচ্ছেন। অনেকে এখনো রয়েছেন অপেক্ষার কাতারে। কেউ কেউ পরীক্ষা দিয়েই চলেছেন। সেই পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না। শেষ হবে কিনা তারা জানেন না। তবু নেত্রীর প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে তাদের। দলের খারাপ সময় দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সদ্য আগতদের জানতে হবে সেসব ইতিহাস। বুঝতে হবে ’৮১ সালের পর শেখ হাসিনা কঠিন সময় পার করে আজকের অবস্থানে এনেছেন আওয়ামী লীগকে। তার সঙ্গে একটা টিম ছিল। রক্তক্ষরণ নিয়েও সেই টিম নীরবে বসে আছে, কাজ করছে।

সরকারি দলে সবসময় হাইব্রিডের ভিড় থাকে। থাকাটাই স্বাভাবিক। এরশাদ আমলে আজমল হুদা মিঠু এফডিসি কাঁপাতেন। পুরো এফডিসিকে তিনি এরশাদের সামনে নিয়ে যেতেন। তারকারাও অনেকে সমর্থন করতেন এরশাদকে। জাতীয় পার্টির মিছিল-সমাবেশে সামনের কাতারে বসতেন। ছবি তুলে চিত্রালী, পূর্বাণীতে পাঠাতেন। সেই ছবি প্রকাশের জন্য আহমদ জামান চৌধুরীর কাছে তদবির করতেন। কেউ কেউ নিয়ে যেতেন হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। একই চিত্র বিএনপির শাসনকালেও দেখেছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সামনে তাদের ঢল ছিল। ছবি তোলার হিড়িক ছিল। জিয়া স্বর্ণপদকের বাহার ছিল। জাসাস, জিসাসের নেতানেত্রী হওয়ার উচ্ছ্বাস ছিল। মনের আনন্দের কুর্নিশ জানিয়েই তারা নিতেন জিয়া স্বর্ণপদক। থাকতেন জাসাস, জিসাসে লাইন দিয়ে কমিটিতে। জিয়াউর রহমানের মাজারে নিয়মিত ফুল ছিটাতেন। সেই তারাই এখন আনাগোনা করছেন আওয়ামী লীগে। মুজিবকোট পরছেন। কাঁদছেন। ভাবখানা ভাগ্যের খেলায় কিছু একটা লেগে গেলে খারাপ কি? এখানে নীতি-আদর্শের বালাই নেই। ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার কিছু নেই। আওয়ামী লীগকে বোঝার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ার দরকার নেই। ইতিহাসের পাতা খুলে সত্তর, আশির দশক জানার দরকার নেই। ২০০১ সালের ভয়াবহতার সময় সবাই ছিল সাইবেরিয়ায়। দেখেছি, এই আওয়ামী লীগকে তখন কী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছিল। হামলা, মামলা, নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এখন সুসময়। তাই চারদিকে মৌসুমি পাখির ভিড়। নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। নেতাদের বাড়ি, ঘর, ক্লাবে আড্ডায় আসরে যাওয়া। সেলফি তুলে সামাজিক গণমাধ্যমে দেওয়া। চারদিকে শুধুই উৎসবের বন্যা। ফুল, ফলের লীলা আর পাখির কুহু ধ্বনি জীবন ধারণের জন্য খুবই ভালো । রং, রূপ, গ্ল্যামারের মতো এই আবহাওয়া কাজে লাগাতে পারলে বাজিমাত। একটা সিজন ভালো কাটবে। তারপর উড়ে চলে যাওয়া যাবে সাইবেরিয়ায়। কেউ খুঁজেও পাবে না। ইতিহাস তা-ই বলে।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

সর্বশেষ খবর