বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইস্টার্ন বাইপাস সড়ক

যানজট নিরসনে প্রকল্পটি নিয়ে ভাবুন

দুই দশক ধরে ফাইলচাপা পড়ে থাকার পর ইস্টার্ন বাইপাস সড়কটি আলোর মুখ দেখবে এমন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর যানজট নিরসনে দীর্ঘ দুই যুগ পরও প্রকল্পটি এখনো প্রাসঙ্গিক বলে বিবেচিত হচ্ছে। প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে। তারপর বিএনপি-জামায়াত জোট ও সেনানির্ভর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে প্রকল্পটি ফাইলচাপা পড়ে থাকে। ২০১৬ সালের শুরুতে জাইকা প্রকল্পটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সমীপে একটি প্রেজেনটেশন দিলেও বেশকিছু ব্যয়বহুল প্রকল্প নিয়ে সরকার ব্যস্ত থাকায় এ ব্যাপারে ততটা সক্রিয় হওয়া সম্ভব হয়নি। স্মর্তব্য, ঢাকা মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পাকাপোক্ত করা ও রাজধানীর অভ্যন্তরে যানবাহনের চাপ কমাতে উত্তর দিকে টঙ্গী খাল, দক্ষিণে ঢাকা-ডেমরা রোড, পুবে বালু নদ ও পশ্চিমে প্রগতি সরণি পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার ইস্টার্ন বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর একনেক বৈঠকে প্রকল্পের ধারণাপত্র অনুমোদন করার সময় এর ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে ১ হাজার ৯৩ কোটি ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা জোগানের পরিকল্পনা করা হয়। জাইকা এতে অর্থায়নের আগ্রহ দেখায়। জাইকা প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও করেছে। এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা, উপকারিতা, উপযোগিতার বিষয়ে সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রেজেনটেশন দেয়। কিন্তু নানা জটিলতায় এ বিষয়ে আর এগোনো সম্ভব হয়নি। বিশেষত, অর্থায়নকারী সংস্থা চূড়ান্ত না হওয়ায় এখনো ফাইলবন্দী হয়ে আছে প্রকল্পটি। চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইস্টার্ন বাইপাস সড়ক নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। তবে গত দুই দশকে রাজধানীর আয়তন কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পটি নতুনভাবে সাজাতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজধানীর ভিতরে না ঢুকে বাইপাস সড়ক ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে যানজটের অভিশাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর