শিরোনাম
রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

খাদ্যের নামে বিষ

ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

খাবারের নামে মানুষ কী খাচ্ছে? এ নিয়ে আশঙ্কার শেষ নেই। গাঁটের পয়সা খরচ করে মানুষ বিষ কিনে খাচ্ছে- এমন বক্তব্য সচেতন মহলের। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘খাদ্য’ খেতে বসলেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে কী খাচ্ছে তারা- খাবারের নামে ভেজালের বিষ নয় তো? কি বাড়িতে, কি বাইরে; হোটেল-রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন কিংবা ক্লাব-মেসের নিজস্ব খাবার ব্যবস্থাপনা- সর্বত্রই অভিন্ন অরুচিকর পরিস্থিতি। জীবনযাত্রার সব স্থানে খাবারই হয়ে উঠেছে প্রধান আতঙ্ক। এমন সন্দেহ, প্রশ্ন আর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে মানুষের খাওয়া-দাওয়া। খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করলেও সমন্বয়হীনতার কারণে তা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারছে না। ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর রমজান মাস এলেই বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ডিসিসিসহ বিভিন্ন সংস্থা হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ইফতারি বিক্রেতাদের দোকানে দোকানে অভিযান চালাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। সেসব অভিযান-জরিমানার জাল কেবল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণির হোটেল-রেস্তোরাঁর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠিত হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের কথিত অভিজাত দোকানে অভিযানের আঁচ পড়ে না বললেই চলে। অতিসম্প্রতি অভিজাত শ্রেণির হোটেল-রেস্তোরাঁয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাতেই নানা ঘৃণ্য চিত্র বেরিয়ে আসে। দেশে ভেজালবিরোধী অভিযান মাঝে মাঝে চালানো হলেও তা ভেজালকারীদের সুপথে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। লোক দেখানো অভিযান আর যেনতেন প্রকারের শাস্তি খাদ্যের নামে যারা মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছে সেই জঘন্য অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকাতে পারছে না। খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে এ ব্যাপারে আরও কড়া আইন প্রণয়নের কথা ভাবতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনাকারী মোবাইল কোর্টগুলোর ক্ষমতাও ব্যাপকহারে বাড়াতে হবে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়টি ভেবে দেখলেই ভালো করবেন। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর