সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

এসএসসি নৈরাজ্য

দোষীদের আইনের আওতায় আনুন

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই এ বছর নৈরাজ্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১০ জেলার বেশ কিছু কেন্দ্রে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের বদলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং ওই প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুলের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। এ জেলার ৭টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে হতবাক হয়ে যায় আগের বছরের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নপত্র দেখে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করাও হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের উদ্ধৃতি দিয়ে সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার অনুষ্ঠিত বাংলা পরীক্ষার সময় চট্টগ্রামের সাতটি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিবরা ভুলক্রমে পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নপত্র বিতরণ করেন। গত বছর অকৃতকার্য হওয়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য যে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবদের কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়া হয়েছে। এ ভুলের জন্য প্রার্থীদের যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য ভুল প্রশ্নপত্রে যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে তাদের রোল নম্বরসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য কেন্দ্র সচিবদের প্রশ্নপত্র দেওয়া থেকে খাতা জমা নেওয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই সতর্ক থাকতে বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও এমন ভুল হলে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ কিইবা করতে পারে। এসএসসি পরীক্ষার সময় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণকে বিচ্ছিন্ন বিষয় বলে অভিহিত করার সুযোগ নেই। শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশবাসীর দেওয়া ট্যাক্সের টাকার বরাদ্দ যত বাড়ছে অব্যবস্থা ততই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে উৎকোচের লেনদেন ওপেন সিক্রেট। ফলে মেধাবীদের বদলে অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্যরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। শিক্ষকদের একাংশ বিদ্যালয় কক্ষে শিক্ষাদানের বদলে কোচিং নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও শিক্ষক নামের কলঙ্ক অপরাধীদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা আশা করব ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অনাচার চলছে তা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর