শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোচিং বাণিজ্যে লাগাম

আদালতের রায় স্বস্তিদায়ক

শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে লাগাম পরানোর উদ্যোগে আদালতের সম্মতি মিলেছে। হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার দেওয়া এ-সংক্রান্ত এক রায়ে ২০১২ সালে কোচিং বন্ধে সরকারের প্রণীত নীতিমালাকে বৈধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে কোনো শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার সুযোগও থাকবে না কোনো শিক্ষকের। তারা কোচিং সেন্টারের মালিক হতেও পারবেন না। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের কোচিং বন্ধের সরকারি নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পাঁচটি পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করে। কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে নাÑ এ বিষয়ে সরকার গত বছর কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় এ নোটিস। এসব নোটিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষকরা হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করে। স্মর্তব্য, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে যে নীতিমালা তৈরি করা হয় তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-প্রধানের অনুমতি নিয়ে একজন শিক্ষক দিনে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন পরীক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের তালিকা, শ্রেণি ও শ্রেণিকক্ষের ক্রমিক নম্বর প্রতিষ্ঠানকে জানাতে হবে। অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান-প্রধান সরকার নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। আদালতের রায়ের ফলে কোচিং বা নোট গাইড বা অনুশীলন বইয়ের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা। আদালতের রায়ের ফলে ২০১২ সালে প্রণীত কোচিংসংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা থাকবে না। আমরা আশা করব এর ফলে কোচিং বন্ধ না হলেও কোচিং বাণিজ্যের অবসান ঘটবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর