শিরোনাম
বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

গণমুখী কূটনৈতিক মিশন

প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত হোক

বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এর সিংহভাগ বিদেশে অবস্থান করছেন শ্রমজীবী হিসেবে। অন্যরা বিদেশে ব্যবসা বা অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত। দু-এক জন ছাড়া বিদেশে অবস্থানরত ৯৯ শতাংশের বেশি বাংলাদেশির সঙ্গে শিকড়ের সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রবাসীরা তাদের আয়ের এক বড় অংশ রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠান স্বজনদের কাছে। দেশের অর্থনীতি আজ সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বদৌলতে। কিন্তু বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি আদৌ কোনো দায়বোধ করে কিনা তা প্রশ্নের বিষয়। প্রবাসীদের সঙ্গে তাদের আচরণ সামন্ত যুগের জমিদারদের মতো। সুবর্ণ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে না বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে যথার্থভাবে উপস্থাপনের অভাবে। বাংলাদেশের মিশনগুলোয় প্রবাসীরা কোনো কাজে গেলে তাদের যথাযথভাবে সহযোগিতা করা হয় না এটি ওপেন সিক্রেট। অন্য দেশের লোকেরা যখন দেখেন বাংলাদেশিরা নিজ দেশের দূতাবাসেই সম্মান পান না, তখন সে দেশের মানুষজনও বাংলাদেশি কর্মীদের অবজ্ঞা-অসম্মান করার সুযোগ পায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গত সপ্তাহে অভিবাসন নিয়ে এক অনুষ্ঠানে খোলাখুলিই বলেছেন, দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিচ্ছে না। এগুলো মোটেও অভিবাসীবান্ধব নয়। দূতাবাসগুলোর যেখানে ২৪ ঘণ্টা প্রবাসীদের সেবা দেওয়া উচিত, সেখানে তারা ঘড়ি ধরে দিন দেখে সেবা দেন। দূতাবাসে কর্মরতদের আরও বেশি সেবামূলক ও দায়িত্বশীল মনোভাব থাকা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে নানামুখী উদ্যোগ নিলেও এর সফলতা নির্ভর করবে মিশনগুলোর ওপরই। দূতাবাসগুলোর হওয়া উচিত শ্রমবাজারের প্রধান কেন্দ্র। আমাদের রপ্তানি বাজারের প্রধান অফিস। বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রমবাজার সম্প্রসারিত করা এবং রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত মাত্রায় উন্নীত করতে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। দেশ ও জনগণের নিবেদিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগুলোকে গড়ে তুলতে নিতে হবে উদ্যোগ। এটি সময়েরই দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর