রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

তাবলিগ সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা দেয়

মাওলানা মুহম্মাদ আশরাফ আলী

বিদায় হজের ভাষণে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার পর আর কোনো নবী আসবে না। অতএব আমার একটি বাণী হলেও অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’ তাঁর এ নির্দেশ পালনে কাজ করে যাচ্ছে তাবলিগ জামাত। আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে জীবন গড়ার দাওয়াত দেওয়াকে কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এ জামাত। তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা গত শুক্রবার শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল মঙ্গলবার ইজতেমার সমাপ্তি টানা হবে। মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার পুরোটা সময় কাটাচ্ছেন আল্লাহর ইবাদতে। তাবলিগের মুরব্বিদের কাছ থেকে তারা আল্লাহর পথে কীভাবে চলবেন সে প্রশিক্ষণ নেবেন। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত শুধু নয়, মানবসেবার দীক্ষাও পাবেন তাদের কাছ থেকে। পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র জীবনযাপনের সবক নেবেন তারা। আল্লাহ ও  রসুলের পথ আঁকড়ে ধরার জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন। তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীন প্রতিষ্ঠার যে দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন তা আজ বিশ্বজুড়ে মুমিনদের মহা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ আনুগত্যের মাধ্যমে নিজের জানমালকে মহান স্রষ্টার প্রতি উৎসর্গ করার তাগিদ সৃষ্টি করেছে তাবলিগ জামাতের শিক্ষা। সূরা আস সাফের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহপ্রেমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের এমন একটি ব্যবসার সন্ধান কি দান করব যা তোমাদের কঠোর আজাব থেকে রক্ষা করবে? তা হলো আল্লাহর ও তাঁর রসুলের ওপর ইমান আনবে, আল্লাহর রাস্তায় জানমাল দিয়ে মেহনত করবে।’ বস্তুত তাবলিগ জামাতের নিবেদিতপ্রাণ আল্লাহপ্রেমিকরা সূরা আস সাফের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর পথে মেহনত করাকে নিজেদের কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। একটি হানাহানি ও পঙ্কিলতামুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় তারা একে অন্যের প্রতি মুহব্বতের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ ও রসুলের নির্দেশিত পথ আঁকড়ে ধরতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছেন। বস্তুগত স্বার্থ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেদের সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছেন তারা। আজ বিশ্বজুড়েই যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

 

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর