বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইতিহাস

মিসরে ইসলামী শাসন

সপ্তম শতকের শুরুতেই মিসর, বাইজেন্টাইন, ইরাক, ইরান, আফগানসহ জেরুজালেমে ইসলামের বিস্তার এবং শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু এ সাম্রাজ্যের সূচনা হয় ষষ্ঠ শতকে মহান বীর খালিদ বিন ওয়ালিদের হাতে। মহানবী (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় বহু রাজ্য প্রধানের কাছে ইসলামের আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় মিসরের রোমক শাসনকর্তা জুরায়হ মকুকাশ ইবনে ইয়ামিনকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেন। হজরত হাহিব ইবনে আবি বালতা (রা.) মদিনার ইসলামী রাষ্ট্রের দূত হিসেবে ওই পত্র নিয়ে মকুকাশের দরবারে পৌঁছেন। মকুকাশ দূতকে উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করেন। কিবতিদের মধ্যে সুখ্যাতির অধিকারী মরিয়ায়ে কিবতিয়া ও শিরীন নামে দুজন দাসী, মূল্যবান কাপড় এবং দুলদুল নামের একটি ঘোড়া উপঢৌকন হিসেবে মদিনায় প্রেরণ করেন কিন্তু ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।

এভাবে অনেকেই ইসলামের ছায়াতলে শামিল হয়, অনেকে করে বিরোধিতা। কিন্তু একসময় চিঠি পাঠানো সব রাজ্যই মুসলমানদের হস্তগত হয়। দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর শাসনামলে হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) মিসরের রোমক শাসনকর্তাকে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত করে গোটা মিসরকে ইসলামী শাসনাধীনে আনয়ন করেন। মিসর মদিনার ইসলামী রাষ্ট্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। এ সময়ে আধুনিক কায়রোর নিকটবর্তী আল ফুলতা নামক স্থানে নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হয়। উমাইয়া ও আব্বাসীয় বংশের শাসনের পর ৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে মিসরে ফাতেমী বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বংশের প্রথম শাসক জহর আল ফুসতাতের পরিবর্তে আল কাহিরা বা কায়রোতে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন।  নতুন রাজধানীকে সুশোভিত করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়।  

            জাফর খান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর