রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাদকসংক্রান্ত মামলা

দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিন

মাদকের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই শুরু করেছে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুধু ঘোষণা নয়, মাদক কারবারিদের স্তব্ধ করতে নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর প্রাণহানি ঘটেছে। মাদক পাচার রোধে নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা। মাদকসেবীদেরও আনা হচ্ছে শাস্তির আওতায়। পাশাপাশি মাদকসংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির পথে হাঁটছে আদালত। গত চার মাসে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ তাদের ১৯টি মামলার রায়ে ২২ আসামির সবাইকে সাজা দেওয়ার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। দেশে মাদকের সাড়ে ৩ লাখ মামলা ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে। শম্বুকগতির কারণেই বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন ওইসব মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এ অবস্থায় চার মাসে ঢাকায় বিশেষ আদালতের ১৯ মামলার রায়ে সব আসামিকে শাস্তি দেওয়ার ঘটনা প্রশংসার দাবিদার। মাদকের মামলায় আদালতে সাক্ষী হাজির না হওয়া, সাক্ষী প্রভাবিত হওয়া, মামলা দায়েরে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খালাস পেয়ে যায় আসামিরা। সে ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন বন্ধ করতে আদালতের এসব রায় অবশ্যই মাদক কারবারিদের জন্য একটি অশনিসংকেত। স্মর্তব্য, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক ছিলেন কে এম ইমরুল কায়েশ। তাঁর কড়া নির্দেশে সাক্ষীরা আদালতে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এরপর নতুন বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব যোগদানের পর মামলাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন। দেশের যেসব আদালতে মাদকসংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে সেসব আদালতের বিচারকরা এমন উদ্যোগ নিলে অবশ্য মাদকসংশ্লিষ্টদের অনেকেই ভীত হয়ে মাদকের সংস্পর্শ ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পাশাপাশি আদালতের অঙ্গীকারবদ্ধ ভূমিকার বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আগ্রহী। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশের সঙ্গে তাদের গাঁটছড়া থাকায় সম্ভব হয় না। প্রশাসন সক্রিয় হলে এবং মাদকসংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হলে মাদকাসক্তির অভিশাপ থেকে দেশের যুবসমাজকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর