শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচন

ভোটার উপস্থিতি হতাশাজনক

প্রতিপক্ষহীন লড়াই হাওয়ায় তলোয়ার ঘোরানোর মতো। তেমন লড়াইয়ে বিপুলভাবে জয়ী হয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম। উত্তর ঢাকার মেয়র পদের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে সত্যিকার অর্থেই কম। যেসব কেন্দ্রে কাউন্সিলরদের ভোট ছিল না সেগুলো ছিল ফাঁকা। ঢাকার এযাবৎকালের মেয়র নির্বাচনের ইতিহাসে এত কম ভোটারের উপস্থিতি কোনো নির্বাচনে দেখা যায়নি। বিএনপি-জামায়াতের ২০-দলীয় জোট বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থী ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ পাবেন- এমন সম্ভাবনাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে সরকারি দলের সমর্থকরাও মেয়র নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রমুখী হয়েছেন খুবই কম। উত্তর ঢাকার নতুন ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর নির্বাচন না থাকলে ভোট কেন্দ্রে ৫ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিত হতেন কিনা সন্দেহ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চললেও সকাল থেকে পুরো ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ছিল একেবারেই ফাঁকা। ঘণ্টা দুই পর বৃষ্টি থামলেও ভোটারদের উপস্থিতি আর সেভাবে বাড়েনি। প্রচার-প্রচারণার মতোই নির্বাচনের দিনও ছিল না ভোটের আমেজ। দুই সিটি মিলিয়ে ১ হাজার ৭০০-এর বেশি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটার ছিলেন ৪০ লাখের মতো। বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনে এ উপনির্বাচনের প্রচারপর্ব ছিল একেবারেই নিরুত্তাপ। ভোটারদের মধ্যেও এ নির্বাচন খুব বেশি আগ্রহ জাগাতে পারেনি। সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে আইইএস উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দিতে গিয়ে উত্তরের ভোটার সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের। সদ্যসমাপ্ত ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ভোটদাতাদের খরা প্রমাণ করেছে নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা ধরে রাখতে হলে সব পক্ষের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে যে নির্বাচন হবে তা হবে ফাঁকা মাঠে তলোয়ার ঘোরানোর শামিল। এমন নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম হওয়ারই কথা।

সর্বশেষ খবর