বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোরআন মানুষের জন্য পরম নিয়ামত

মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন

আল কোরআন ইসলামী হুকুম-আহকাম বা বিধানের এমন এক ঝরনাধারা যেখান থেকে মুমিনদের জন্য কল্যাণ ও জ্ঞানের ধারা প্রবাহিত হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের সবচেয়ে উত্তম অসিলা হচ্ছে আল কোরআন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বর্ণনা। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোরআন হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য একটি পরম নিয়ামত। আল্লাহর এ নিয়ামত থেকে শক্তি-সাধ্য অনুযায়ী নিজের অংশ নিয়ে নাও। কোরআনের মাধ্যমেই আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হতে পারে এবং এ পরশপাথর দ্বারাই মানুষের অন্তর, মনমানসিকতা ও চিন্তাধারাকে পবিত্র করা যেতে পারে। আর মানুষ এর দ্বারা আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে আরোগ্য লাভ করতে পারে। যে ব্যক্তি কোরআনের ওপর আমল করেছে অর্থাৎ কোরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন-যাপন করেছে তার জন্য এটা ঢালবিশেষ। এর বিধান অনুযায়ী তারা কখনই পথভ্রষ্ট হতে পারে না। আর যারা এর বিধান অনুযায়ী চলছে তারা এমনভাবে কখনই গোমরাহ হয় না, যে তাদের নতুন করে পথ প্রদর্শন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কোরআনের বিষয়বস্তুর প্রতি যতই গভীর দৃষ্টি দেবে এবং চিন্তাভাবনা করবে, এর অলৌকিকত্ব ততই অধিক পরিমাণে প্রকাশ হতে থাকবে, যা কখনো শেষ হওয়ার নয়। এর অধিক অধ্যয়ন ও তিলাওয়াত দ্বারা কখনো এর নতুনত্ব দূর হয়ে পুরান হয়ে গেছে বলে মনেও হয় না। একে পাঠ করার সময় আল্লাহর ভাণ্ডার থেকে প্রতিটি অক্ষরের বিনিময়ে ১০টি করে নেকি দান করা হয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আবু জর গিফারি (রা.)-কে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন, কোরআন অধ্যয়ন, পঠন ও তিলাওয়াতকে নিজের জন্য অপরিহার্য করে নাও। কেননা আল্লাহর জমিনের বুকে তুমি এর দ্বারা নূর লাভ করবে এবং পরকালের পাথেয় সঞ্চয় করতে পারবে।

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনা। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বিশুদ্ধভাবে সুললিত কণ্ঠে কোরআন পাঠকারী পরকালে আল্লাহর ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে। মুখে জড়তার কারণে যদি কোনো ব্যক্তির পক্ষে কোরআন পাঠ কষ্টকর হয়, কিন্তু সে কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকে এবং থেমে থেমে কোরআন তিলাওয়াত করে, তাহলে তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রয়েছে।’ বুখারি, মুসলিম।

            লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর