বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি

রুদ্ধদ্বার উন্মোচনে সচেষ্ট হতে হবে

মালয়েশিয়ায় সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের শ্রমবাজার। দুর্নীতির কারণে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রচলিত পদ্ধতিতে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছে। তাদের সাফ কথাÑ শ্রমিকদের কাছ থেকে যে বিপুল অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করতে চায় মালয়েশিয়া সরকার। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কয়েকটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী। তিনি জানতে চান, বাংলাদেশ থেকে একজন শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে কত খরচ পড়ে। তারা অকপটে জানান, ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। তখন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের থেকে কেন টাকা নেওয়া হবে! উল্টো শ্রমিকদের বিমানের টিকিট দিয়ে কোম্পানিগুলো নিয়ে আসবে। আইএলও বিধিতেও তো তাই আছে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়টি শুনে তিনি হতবাক হন। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীও যান মালয়েশিয়ায়। তিনি সেখানে গিয়ে মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বলেন, কত কম খরচে শ্রমিক পাঠানো যায়, এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। তখন মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, কম খরচের অর্থ কী? শ্রমিকের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়ারই তো প্রশ্ন আসে না। এতে অনেক কম টাকায় মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন কতটা সক্রিয় তা একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শ্রমবাজার। স্বল্পশিক্ষিত ও অনভিজ্ঞ শ্রমিকদের জন্য ওই দেশে কাজের সুযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করলে সে দেশে জনশক্তি রপ্তানি আবারও শুরু করা সম্ভব হবে। স্বল্প খরচে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সম্ভব হলে তাতে শ্রমিকরাও লাভবান হবেন। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনকে সক্রিয় করতে হবে। প্রবাসীদের প্রভু নয়, তাদের আপনজন হিসেবে তারা যাতে কাজ করেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে; দেশের বেকারত্ব দূর ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য যা জরুরি।

সর্বশেষ খবর