মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সম্ভাবনার নাম মাতারবাড়ী

অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে

বাংলাদেশের উন্নয়নে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত প্রকল্পকে আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু দেশ জাপানের সহায়তায় এ এলাকায় প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাবকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে শিল্পকারখানা। মাতারবাড়ীতে বিশ্বমানের সামুদ্রিক বন্দর গড়ে তোলার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশ সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। জাইকা ৪৮তম স্বাধীনতা বার্ষিকীর পাঁচ দিন আগে ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কাছে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত কাঠামো উন্নয়ন প্রস্তাব সম্পর্কিত একটি প্রেজেনটেশন তুলে ধরেছে। যেখানে সিঙ্গাপুরের আদলে সর্বাধুনিক সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাব এবং শিল্পকারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে নতুন সোপানে উন্নীত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপিত জাইকার প্রেজেনটেশনে বলা হয়েছে, মাতারবাড়ীতে তারা যে গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রস্তাব করছেন, তার ড্রাফট হবে ১৮ দশমিক ৭ মিটার। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে। পাশে থাকবে অর্থনৈতিক জোন। জ্বালানি চাহিদা মেটাতে নির্মাণ করা হবে এলএনজি টার্মিনাল। ন্যাশনাল হাইওয়ে-১ এবং রেললাইন স্থাপনের মাধ্যমে মাতারবাড়ীর সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। জাইকার পরিকল্পনা অনুযায়ী মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এটি হবে দেশের এযাবৎকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। এর প্রায় অর্ধেক ১০ হাজার ২৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে জাইকা। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকার সমান। বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সাড়ে ৯ মিটার ও মোংলায় ৭ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে। প্রস্তাবিত পায়রা সমুদ্রবন্দরের ড্রাফট হবে ১৪ মিটারের কাছাকাছি। মাতারবাড়ীতে যে ডিপ সি পোর্টের প্রস্তাব করা হয়েছে তার ড্রাফট হবে ১৮ দশমিক ৭ মিটার। এটি হবে বিশ্বের তিনটি গভীর সমুদ্রবন্দরের একটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গভীর সমুদ্রবন্দরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরনির্ভরতার অবসান ঘটবে। সহজতর হবে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। অর্থনীতির জন্য যা আশীর্বাদ বয়ে আনবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর