বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

দূর হোক সামাজিক বৈষম্য

উন্নয়নের সুফল পৌঁছান সব ঘরে

গত এক দশকে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়েছে স্পুটনিক গতিতে। সব মিলিয়ে চার যুগে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্ববাসীর নজর কাড়ার মতো। তবে উন্নয়নের সুফল দেশের ১৬ কোটি মানুষের সবার কাছে পৌঁছেনি সামাজিক বৈষম্যের কারণে। গত চার যুগে বাংলাদেশের উন্নয়নের সিংহভাগ সুফল ভোগ করেছে ধনিক শ্রেণির মানুষ। গরিবদের মধ্যে এর সুফল পৌঁছানোর ব্যর্থতা ধনী-গরিবের ব্যবধান ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলছে।

এ কথা ঠিক, দুনিয়ার সব দেশেই ধনী-গরিবের ব্যবধান আকাশসম। সাম্যবাদের মন্ত্রে যারা এখনো উজ্জীবিত সেই চীন, ভিয়েতনামেও ভিন্নতা কিছু হয়নি। এ দুই দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্পদ পুঞ্জীভূত করার সুযোগ দেওয়ার পর কোটিপতির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ দারিদ্র্যমোচনে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখালেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফলের বড় ভাগ ধনীদের ভাগে পড়ায় হতদরিদ্রদের ভাগ্যে নজর কাড়ার মতো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে না। পাকিস্তানের পশ্চিমাংশের সঙ্গে পূর্বাংশের বৈষম্যের কারণেই বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এখন বাংলাদেশেই এক মানুষের সঙ্গে আরেক মানুষের বৈষম্য সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করতে চলেছে। এ বৈষম্য নিরসনে পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নয়নে সরকারকে ফলপ্রসূ কর্মসূচি নিতে হবে। সামাজিক বৈষম্য নিরসনে সরকার নিজেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও বাস্তবে বৈষম্য কমছে না। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষকে এগিয়ে নিতে নানা কর্মকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হলেও আশ অনুযায়ী সুফল অর্জিত হচ্ছে না। স্বাধীনতার সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। বৈষম্য কমানো বলা যত সহজ বাস্তবায়ন পর্যায়ে তা কঠিন কাজ। এ কঠিন কাজটি করার ক্ষেত্রে সরকারকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। পিছিয়ে পড়া অংশের জনগোষ্ঠীকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে বেছে  নিতে হবে জুতসই কর্মকৌশল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর