বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

শত অর্থনৈতিক অঞ্চল

শিল্পায়নের জুতসই পথ

বাংলাদেশ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অঞ্চলভিত্তিক কৌশল বেছে নিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে দেশজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। সরকারি ও বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে বাড়তি ৪ হাজার কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানিরও আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়ায় অনুকূল সুযোগ-সুবিধাসহ শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমির অভাব। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ জ্বালানি সরবরাহের সুবিধা যেমন থাকবে তেমন থাকবে শিল্প স্থাপনের অবকাঠামোগত সুবিধা। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক এলাকাগুলোয় বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, হংকং, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশ। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় তারা বিনিয়োগ করবে শত শত বিলিয়ন ডলার। এসব দেশের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসব এলাকার উন্নয়ন কাজও চলছে জোর গতিতে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ৮টি অঞ্চল উৎপাদনেও এসেছে। আর সরকারি ৩টি অঞ্চল উৎপাদনে আসার অপেক্ষায়; যার অন্যতম হচ্ছে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিনিয়োগে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত সবচেয়ে এগিয়ে। কেমিক্যাল ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) খাত এবং স্টিল, অটোমোবাইলস, পেইন্টসহ বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগ নিয়েও দেনদরবার চলছে। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতে শিল্প স্থাপনের জন্য। সরকারি খাতের এ শিল্পনগরীতে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮৭৪ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এর পরই রয়েছে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল। সরকারি এ প্রকল্পে বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেসরকারি খাতের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়নে বিনিয়োগকারীদের যাতে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য নেওয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ।

শিল্পায়নের স্বার্থে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর