সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদ ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

জঙ্গিবাদ ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গত ১৫ মার্চ নামাজরত মুসলমানদের ওপর শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী ব্রেনটন টারান্ট নামের এক সন্ত্রাসী নৃশংস আক্রমণ এবং তাতে ৫০ জন মুসল্লির মৃত্যু সারা বিশ্বকে আবার প্রচণ্ড একটা ধাক্কা দিয়ে গেল। এমন বর্বরোচিত হামলায় পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ বিস্ময়ে হতবাক। সবাই নতুন করে ভাবছেন এর কি কোনো শেষ আছে, নাকি নেই। বিশ্বব্যাপী বিশ্লেষকগণ মোটামুটি একটি জায়গায় একমত যে, ক্রাইস্টচার্চের বর্বরতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর বহুমাত্রিক কারণ যেমন রয়েছে, তেমনি এর শেকড় সন্ধান করতে গেলে দেখা যাবে ধর্ম, বর্ণ, জাত, এই তিনটি প্রধান জায়গায় অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং ক্ষমতালিপ্সুদের দ্বারা তার অপব্যবহারের পরিণতিতে যুগ যুগ ধরে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও আঘাত-পাল্টা আঘাতের ধারাবাহিকতায় সেদিন ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাটি ঘটেছে। এটা যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় তা আরও স্পষ্ট হয় আক্রমণকারী ব্রেনটন টারান্টের নিজের তৈরি ৭৪ পৃষ্ঠার সেই মেনিফেস্টোর দিকে তাকালে। যেমন মেনিফেস্টোতে উল্লেখ আছে নরওয়ের গণহত্যাকারী, যিনি ২০১১ সালে একটি আক্রমণেই ৭৭ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল অভিবাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের অংশ হিসেবে, সেই নরওয়ের নাগরিক অ্যান্ডারস ব্রেভিককে গুরু মনে করে এবং দাবি জানায় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ আক্রমণের পেছনে ব্রেডিকের আশীর্বাদ আছে। দ্বিতীয়ত, ওই মেনিফেস্টোতে উল্লেখ আছে ২০১৭ সালে সুইডেনের স্টকহোমে ইসলামিস্ট জঙ্গি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ১১ বছর বয়সী ইবা অকারল্যান্ড নামের যে প্রতিবন্ধী মেয়েটি নিহত হয় তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ব্রেনটন ১৫ মার্চ আল নূর মসজিদে হামলা করে। তৃতীয়ত, ব্রেনটন উল্লেখ করেছে, ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে শ্বেতাঙ্গদের ভূমি ও জায়গা ক্রমশ দখল করে নিচ্ছে অভিবাসীরা, যাদের জন্মহার অনেক বেশি এবং যার ফলে হয়তো পশ্চিমা বিশ্বের শ্বেতাঙ্গরা এক সময়ে সংখ্যালঘু হয়ে মুসলমান ও অভিবাসীদের অধীনস্থতে পরিণত হবে। এতে বোঝা যায় ভুল উপলব্ধির ফলশ্রুতিতে একটা ভয়, তা থেকে ঘৃণা এবং ঘৃণা থেকে উৎপত্তি হওয়া হিংসা চূড়ান্ত পরিণতি ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। ভুল উপলব্ধি থেকে তৈরি হওয়া এই বিদ্বেষমূলক মনস্তাত্ত্বিকতার চরম সুযোগ নিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও নেতৃবৃন্দ। একই রকম ভুল উপলব্ধি থেকে উৎপত্তি হওয়া ইসলামিস্ট উগ্র জঙ্গিবাদ ও বর্বরতার দিকে আঙ্গুল তুলে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদকে উসকে দিয়ে ওইসব ডানপন্থি রাজনৈতিক পক্ষ ও নেতারা নিজেদের ভোটের বাক্সকে ভর্তি করছে। আমেরিকান ফার্স্ট, ব্রিটেন ফার্স্ট হচ্ছে এগুলোরই বাস্তব প্রতিফলন। জনসন্তুষ্টির ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র সক্ষমতায় যাওয়া যত কঠিন, ঠিক ততই সহজ হচ্ছে ধর্ম, বর্ণ ও জাতি বিদ্বেষকে উসকে দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্বে উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠী ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকান ফার্স্ট স্লোগান দিয়ে সহজেই হোয়াইট হাউস দখল করতে পেরেছেন। হাঙ্গেরিতে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের স্লোগান ও কড়া অভিবাসন বিরোধীনীতিকে অবলম্বন করে ক্ষমতায় এসেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভিঙ্কটর অরবান। ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ক্রমেই ডানপন্থিরা এগিয়ে আসছে। পশ্চিমা বিশ্বে এই অল্প কিছুদিন আগে সবচেয়ে উদারপন্থি দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল জার্মানি। সেখানেও উদারপন্থি অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ক্ষমতা ভাগাভাগি করছে চরম ডানপন্থি দলের সঙ্গে। ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী মনস্তাত্ত্বিকতা জন্মের পেছনে ইসলামিস্ট জঙ্গিবাদের উত্থান ও বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড একটা বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। আবার বিশ্লেষণে এটাও দেখা যাবে, মুসলমান ও মুসলমান দেশগুলোর বিরুদ্ধে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের অবিচার ও অন্যায় আচরণের পরিণতিতে ইসলামিস্ট উগ্র জঙ্গিবাদের জন্ম ও উত্থান ঘটেছে। ফলে একটা অন্যটার বিপরীত ও পারস্পরিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কোনোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের প্রধান অজুহাত অভিবাসন বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই একটু আলোকপাত করতে চাই। ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত উগ্রবাদ, যেটাই বলি না কেন, তার বীজ রোপিত হয়েছে ইউরোপে এবং পরবর্তীতে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর আমেরিকাসহ একই মূল্যবোধে বিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। এশিয়া ও আফ্রিকার পুরোটাই এক সময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর উপনিবেশ ছিল। ফলে সঙ্গত কারণেই ইউরোপের মানুষের মনস্তাত্ত্বিকতায় এরকম একটা দৃষ্টিভঙ্গি জন্ম হওয়া স্বাভাবিক যে, তারাই একমাত্র শাসন করার যোগ্য ও উপযুক্ত, আর সে কারণেই বাকিদের শাসিত হতে হবে। এর অর্থই হলো শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ। দীর্ঘ সময়ের ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কাজ কর্মের অসিলায় উপনিবেশগুলো থেকে বহু মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে এসে আর ফেরত যাননি। তাছাড়া শ্বেতাঙ্গ বড় বড় ব্যবসায়ী ও কৃষি ফার্মের মালিকরা এশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সস্তায় অনেক শ্রমিক নিয়ে গেছে কলকারখানা ও কৃষি ফার্মে কাজ করার জন্য। এরাই দীর্ঘ সময় ধরে থাকার সুবাদে ইউরোপের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্বের কর্তৃত্বের জায়গাটি ধীরে ধীরে ইউরোপ থেকে চলে গেছে উত্তর আমেরিকায়। মধ্য যুগের দাস প্রথার প্রতিফলন তো আছেই, তার সঙ্গে অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন মিটাতে আমেরিকাকে তার অভিবাসন নীতি উদার করতে হয়েছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে পৃথিবীর সব প্রান্তের মেধাবী তরুণদের জন্য দ্বার উন্মোচন রেখেছে আমেরিকা। ফলে ইউরোপের মতো লাখ লাখ এশিয়ান-আফ্রিকান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করেছে। ইদানীং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ভিন্ন কথা শোনা গেলেও বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। অভিবাসী না থাকলে আমেরিকা ধসে পড়বে। সুতরাং অভিবাসন ঘটেছে পশ্চিমা বিশ্বের প্রয়োজনে এবং তাদের দ্বারাই। সুতরাং এখন এসে ভিন্ন কথা বললে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হবে সেটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ সময় ধরে বসবাসের কারণেই অভিবাসীরা নাগরিকত্বসহ সব অধিকার প্রাপ্ত হয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সঙ্গত কারণেই তাদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অভিবাসীরা ওইসব পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিসহ সব জায়গায় একটা উল্লেখযোগ্য বার্গেইনিং ফোর্স হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফলে ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে চরম ডানপন্থি রাজনৈতিক পক্ষ ও মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে এই মর্মে, হয়তো তাদের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা আর থাকবে না। সেটি দখল করে নেবে এশিয়া-আফ্রিকার অভিবাসীরা। তাছাড়া এই অভিবাসীদের শেকড়, মূল ভূমি এশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলোর সাম্প্রতিক সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান ও সম্ভাবনা পশ্চিমাদের মনে অতিরিক্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। সুতরাং ভয় থেকেই ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং তা থেকেই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সহিংসতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন দেশে। অন্যদিকে মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিদ্বেষের শেকড় খুঁজতে চাইলে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে আরবের উমাইয়া খেলাফতের পক্ষ থেকে সেনাপতি তারিকের স্পেন বিজয় এবং একাদশ শতাব্দীর একেবারে শেষ পর্যায়ে হোলি রোমান এম্পায়ারের পোপ দ্বিতীয় আরবানের সময় ইউরোপের সম্মিলিত বাহিনী কর্তৃক প্রথম ক্রসেডের মাধ্যমে। জেরুজালেম দখলের ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ ঘটাতে হবে। তবে হাল আমলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে ইউরোপ ও আমেরিকা কর্তৃক ফিলিস্তিন মুসলমানদের ওপর সীমাহীন অবিচার এবং আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় পশ্চিমা বিশ্বের নেতৃত্বে যা ঘটেছে সেটিকে অবলম্বন করে জন্ম ও বিস্তার ঘটে আইএস, আল-কায়েদাসহ বহু নামের বৈশ্বিক উগ্রবাদী সশস্ত্র ইসলামিস্ট জঙ্গি সংগঠনের। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন-টাওয়ার আল-কায়েদা জঙ্গিদের দ্বারা ধ্বংসের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যা ঘটেছে সেটিকেও আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই। ইসলামিস্ট জঙ্গিবাদ এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসের পেছনে যতটুকু না ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত স্বার্থের সংঘাত রয়েছে তার থেকে বেশি কাজ করেছে রাষ্ট্রগুলোর ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থের সংঘাত।            ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা লাভের লক্ষ্যে ডানপন্থি রাজনৈতিক পক্ষ ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত দ্বন্দ্বকে উসকে দেওয়ার কারণেই সহিংসতার বিস্তার থামানো যাচ্ছে না। আইএস, আল-কায়েদার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ কিছু ব্যক্তি এবং ব্যক্তিবর্গ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় নিরীহ মানুষের ওপর অনেকগুলো নৃশংস সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাতে আঘাতের পাল্টা আঘাতের সূত্রে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসীরা আরও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছে, যার প্রতিফলন দেখা যায় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আক্রমণকারী ব্রেনটন টারান্টের ৭৪ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রের মধ্যে। বর্তমানের বিশ্ব ব্যবস্থার বাস্তবতায় কোনো দেশে বা ভূ-খণ্ডে এককভাবে শুধু একটি ধর্ম ও বর্ণের মানুষ বা জাতিগোষ্ঠী বসবাস করবে বা শ্রেষ্ঠত্ববাদী কর্তৃত্ব বজায় রাখবে তার সুযোগ নেই। এ রকম ধ্যান ধারণা ও চিন্তা-চেতনা পারস্পরিক বিপরীত ধর্ম, বর্ণ ও জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে যতদিন বহাল থাকবে ততদিন ক্রাইস্টচার্চের মতো ঘটনা বা ২০১৬ সালে ফ্রান্সের অরল্যান্ডের মতো ঘটনা ঘটতে থাকবে। তবে আশার জায়গা হলো বিশ্বের সব অঞ্চলের বৃহত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সব ধরনের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে, শান্তি ও প্রগতির পক্ষে। তাই অশুভ শক্তি কখনই চূড়ান্ত বিজয় পাবে না। কিন্তু মানবতার রক্তক্ষরণ থামাতে হলে শান্তিকামী মানুষকে আরও সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির কবল থেকে সব রাষ্ট্রকে মুক্ত থাকতে হবে। ধর্মের নামে অধর্ম, রাজনীতি ও ধর্ম দুটোকেই কলুষিত করে। কিন্তু এই পথে প্রধান বাধা হয়ে আছে বিশ্বের সব প্রান্তের সেই সব রাজনৈতিক পক্ষ, যারা ক্ষমতায় থাকতে চায় শুধু ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত উগ্রবাদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে, জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে নয়। ইউরোপ, আমেরিকাসহ এশিয়া এবং আফ্রিকাতেও উগ্র ডানপন্থি রজনৈতিক গোষ্ঠীর ক্রমশই উত্থান ঘটেছে। এটাই শঙ্কার জায়গা। এর আগে আইএস, আল-কায়েদা এবং সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে এরা ধর্ম ও বর্ণে আলাদা হলেও এদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, মুদ্রার এপিঠ-ওপিট মাত্র। এরা সবাই বিশ্ব সভ্যতা, মানবতা ও গণতন্ত্রের শত্রু। বিকৃত মানসিকতার এই বর্বরদের কোনো রাষ্ট্রীয় সীমানা নেই।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর