শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডাকসুর যাত্রাপথ শুভ ও সুন্দর হোক

নূরে আলম সিদ্দিকী

ডাকসুর যাত্রাপথ শুভ ও সুন্দর হোক

২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন আমাকে বিস্মিত করেনি, বিমোহিত করেছে। আমাদের সময়ের অভিজ্ঞতা আমাকে নিবিড়ভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়, ডাকসু শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ছাত্রসমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং দেশের রাজনীতিরও প্রতিনিধিত্ব করে। প্রান্তিক জনতাকে উদ্বেলিত করে ‘ম্লানমূক মুখে’ ধ্বনিত করে ভাষা, উদ্বেলিত করে আশা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রারম্ভিক পর্যায়ে ডাকসু ছিল ছাত্রলীগের একান্ত কর্তৃত্বে। তখন ডাকসুসহ হল সংসদগুলোর ওপর ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ ছিল নিরঙ্কুশ। স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনে উত্তরণের মহালগ্নে ছাত্রলীগ যখন তার বিকীর্ণ অগ্নিচ্ছটায় শোষিত বিধ্বস্ত বাংলার জাতীয় সত্তাকে প্রজ্বালিত করছিল, তখন ডাকসু, হল সংসদ ও কলেজগুলোর প্রায় প্রতিটি ছাত্র সংসদই ছিল ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। আন্তর্জাতিক নীল নভোনীলে হংসবলাকার মতো ডানা মেলা নয়, এই বাংলার মাটি ও মানুষের স্বকীয় সত্তাকে উদ্যত উদ্গত উদ্ধত পূর্ণায়ত পদ্মটির মতো বিকশিত করার যে সোনালি গৌরব- তা ছাত্রলীগের একার। ছাত্রলীগই তখন অকুতোভয়ে বুক চিতিয়ে উচ্চকিত কণ্ঠে বলতে শিখিয়েছিলÑ ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘এ মাটি আমার সোনা, আমি করি তার জন্মবৃত্তান্ত ঘোষণা’, সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি, যে আছে মাটির কাছাকাছি’। ছাত্র ইউনিয়নের সমাজতন্ত্রের মুখোশধারীরা আমাদের কটাক্ষ করে বলত, আমরা সংকীর্ণতাবাদী, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে আমাদের চেতনা ও মনন বিস্তৃত হতে পারে না। এমনকি পাকিস্তানের পাঞ্জাব ছাড়া অন্য প্রদেশগুলো যথা- সিন্ধু, বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়ার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও আমাদের চেতনায় ও বয়ানে প্রতিফলিত হয় না, উচ্চকিত থাকে না। এ অভিযোগে আমরা কখনো বিধ্বস্ত তো হই-ইনি, বিব্রতবোধও করিনি। বরং প্রতিউত্তরে আমরা বিশেষ করে আমি দৃপ্ত কণ্ঠে উদাত্ত স্বরে বলতাম- ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’। সেদিনের সেই সূর্য¯স্রাত মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা যখন বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর ও কর্মে পাগলপ্রায়, তখন আমাদের সংকীর্ণ মানসিকতার অভিযোগে বিধ্বস্তের প্রচেষ্টায় আমরা কখনো কর্ণপাত তো করিইনি, বরং উজ্জীবিত হয়েছি। সেদিন যদি আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় নিজেরা তো বটেই, সমগ্র জাতিকে উজ্জীবিত করতে না পারতাম তাহলে তখনকার সাত কোটি মানুষকে অদৃশ্য রাখীবন্ধনে এত শক্ত করে বাঁধতে পারতাম না। অস্ত্র আর অর্থের কোনোটাই আমাদের ছিল না (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে)। বাঙালি জাতীয় চেতনায় উজ্জীবিত প্রাণই ছিল আমাদের প্রেরণার উৎস। বাংলার মাঠে ঘাটে বন্দরে প্রান্তরে বাউলের মতো এ বাংলার গান গেয়ে ফিরেছি। আমাদের শুধু ভাষাই নয়, হৃদয়ে ধ্বনিত আশাও ছিল বাংলা ও বাঙালির। তাই স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার সোপান উত্তরণ এককভাবে ছাত্রলীগের পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল।

স্বাধীনতার চেতনার মূর্তপ্রতীক ছিলেন মুজিব ভাই- বঙ্গবন্ধু- বাংলার মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনের মুকুটহীন সম্র্রাট। একেকটি আন্দোলনের সঞ্চিত সাফল্যের মণি-মুক্তায় সাজিয়ে আমরা শেখ মুজিবকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূর্তপ্রতীকে রূপান্তরিত করতে পেরেছিলাম। তাই সমগ্র স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক ছিলেন বঙ্গবন্ধু আর স্বপ্নের আন্দোলনের সফলতার মূল কারিগর ছিল ছাত্রলীগ। তাই স্বাধীনতা ও ছাত্রলীগকে বিভাজন করা যেমন সম্ভব নয়, একটি অন্যটির পরিপূরক বলেই দ্বিধাহীনচিত্তে বলা যায়, ছাত্রলীগের জন্মই হয়েছিল বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ, বিকাশ ও সফলতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।

২৮ বছর পর হলেও সম্প্রতি যে ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেল তাকে আমি স্বাগত জানাই। যদিও নির্বাচনটির পরিচালনার ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এমনকি নির্বাচিত ভিপি এ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনঃতফসিল দাবি করে চলেছেন। তার কৌশলটি অভিনব! ভিপির দায়িত্বটি পালনও করবেন, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনও করবেন! এমন আজব কথা আমরা কস্মিনকালেও শুনিনি। এ যেন সোনার পাথরবাটি। ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী নেতা গাছেরও খেতে চান, তলারও কুড়াতে চান। কৌশলটি কৌতূহল-উদ্দীপক। এ দিয়ে সবাইকে তুষ্ট করতে চেয়ে তিনি ছাত্রসমাজটিকেই বিভ্রান্ত করছেন কিনা ভেবে দেখার অবকাশ পাননি। ইতিমধ্যেই তিনি কথার অসংলগ্নতার বদৌলতে নব্য যুব এরশাদ নামে খ্যাত হয়েছেন। একই অঙ্গে এত রূপ দেখানোর যে অভিনব কৌশল এত অল্প বয়সে তিনি কীভাবে করায়ত্ত করেছেন, এটিও অনেককে বিস্মিত করেছে। তবু আমার দৃঢ় বিশ্বাস- ডাকসু নির্বাচনটি নিয়মিত হলে ছাত্র রাজনীতিতে স্থিরতা আসবে, স্থিতিশীলতা আসবে এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে নেতৃত্বের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

একটি হীরকখণ্ড কাটতে কাটতে যেমন তার ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়, তেমনি চড়াই-উতরাই বাধাবিঘœ অতিক্রম করেই ছাত্রনেতৃত্ব বিশেষ করে নির্বাচিত নেতৃত্ব আপন গৌরবে জাজ্বল্যমান হয়ে ওঠে। অতীতের মতো আজও ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রলীগের প্রাধান্য আমার বিশ্বাসকে শক্ত পাদপীঠে প্রতিষ্ঠিত করে যে, নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনই ছাত্ররাজনীতিকে সঠিক ধারায় আবর্তিত করতে পারবে। বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের লেজুড়বৃত্তির পরিমণ্ডল থেকে বের করে এনে ছাত্রছাত্রীদের মূল সমস্যা ও জাতীয় প্রয়োজনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি আদর্শিক অবস্থানে এনে প্রতিস্থাপিত করতে পারবে। এটি অলীক মনের কোনো বিলাসী প্রত্যাশা নয়।

যেহেতু আমি আগেই বলেছি, জাতীয় নেতৃত্বে দেশ আজ চরম অবক্ষয় ও সঠিক সাবলীল ও শক্ত নেতৃত্বের নিদারুণ অভাবের মুখোমুখি। সত্যিকার অর্থে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দল অবলুপ্ত বললেও অত্যুক্তি হয় না। দেশে আজ সত্যিকার অর্থে পুলিশি শাসন চলছে। আমলানির্ভরতার দুর্বিষহ বাস্তবতা তো রয়েছেই। ঘুষ-দুর্নীতি নিত্যদিনের দুঃসহ যন্ত্রণা। এ যন্ত্রণায় দেশ ও জাতি মুমূর্ষু রোগীর মতো বিবর্ণ হলেও কোনো প্রতিবাদ দৃশ্যমান নয়। সবটাই যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে। যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মুমূর্ষুপ্রায়, এমনকি বিএনপির মতো এত বছর ক্ষমতা ভোগ করা সংগঠনটি ক্ষমতা হারানোর পর কেমন যেন নখদন্তহীন বাঘের মতো অচল ও সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। একটা সফল আন্দোলন গড়ে তোলা তো দূরের কথা, ফলপ্রসূ প্রতিবাদ করার ক্ষমতাও যেন প্রতীয়মাণ হচ্ছে না। আমরা পাকিস্তানের শাসনামল দেখেছি, সামরিক জান্তার দোর্দণ্ড প্রতাপ, মৌলিক গণতন্ত্রের অসহনীয় অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মধ্যেও দেশ চলেছে। কিন্তু এরূপ প্রতিবাদহীন অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ তখনো ছিল না। নির্যাতন-নিগ্রহ, জেল-জুলুম গ্রেফতার হয়রানি সবকিছুই ছিল। কিন্তু এ সবকিছুকে বিনা প্রতিবাদে আত্মস্থ করার হীনমন্যতা বা কূপমণ্ডূকতা ছিল না। বরং তখন মানুষ নির্যাতন-নিগ্রহের মুখেও ঐক্যবদ্ধ হতো, প্রতিবাদ সভা ও মিছিলের মাধ্যমেও সরকারকে অবস্থার প্রেক্ষাপট শুধু জানানই দিত না, বরং বজ্রনির্ঘোষে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলত।

’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণ তাজা দীপ্ত প্রাণগুলো আজ জীবন সায়াহ্নে অন্তিম প্রহরের পাদপীঠে দণ্ডায়মান। আজকের এ দুঃসহ পরিবেশে প্রতিবাদহীন নিঃস্তব্ধতা তাদের অনুভূতিকে দুমড়ে-মুচড়ে দেবে- এটাই তো স্বাভাবিক। এখানে একটি কথা জনান্তিকে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, ’৬২ থেকে ’৭১-এর অগ্নিঝরা দিনগুলোতে সব নির্যাতন-নিগ্রহকে পদদলিত করে বঙ্গবন্ধুকে সামনে নিয়ে আন্দোলনের জন্য সমগ্র জাতীয় সত্তাকে যেমনভাবে ঐক্যবদ্ধ ও প্রস্তুত করতে পেরেছিল তার কোনো লক্ষণই আজকে দৃশ্যমান হচ্ছে না। এর মূল কারণ, ছাত্র সংগঠনগুলোর আদর্শবিচ্যুতি, অর্থলোলুপতা এবং সরকারের অনাচার-অবিচারের বিরোধিতা তো নয়ই, বরং লেজুড়বৃত্তি করার হীনমন্যতায় উদগ্র প্রয়াস। এ হীনমন্যতায়ই বাংলার জাগ্রত জনতা আজ স্পষ্টতই আন্দোলনবিমুখ হয়ে উঠছে। ছাত্রনেতাদের সেদিনের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতায় প্রচণ্ড ভাটা পড়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব টেন্ডারবাজি, হলের সিট বাণিজ্য এবং ভর্তি বাণিজ্যে প্রায় ষোল আনাই নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ’৬২-এর পর থেকে কিছুদিন আগে পর্যন্ত  ছাত্রদের ভর্তির পর তাদের সিটের জন্য আমরাও দৌড়ঝাঁপ করেছি। তবে তার সঙ্গে অর্থ বা আত্মস্বার্থ চরিতার্থের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। যা কিছু করেছি, যতটুকু উদ্যোগ নিয়েছি, সবকিছুরই শতভাগ লক্ষ্য ছিল সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি এবং একটি সঠিক ও সার্বিক আন্দোলন গড়ে তুলে দেশ ও জাতিকে একটি সঠিক ধারার দিকনির্দেশনা দেওয়া। তখনকার দিনের ছাত্রনেতৃত্ব ও তার কর্মীরা ছিল জনগণের বড়ই আদরের ধন। সাত রাজার মানিকের মতো সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই দেশের প্রান্তিক জনতাও তাদের মূল্যায়ন করত। রেসকোর্স, পল্টন অথবা আমতলা, বটতলাÑ যেখান থেকেই ছাত্রদের নির্দেশনামূলক কর্মসূচি আসত, সেটিকেই ছাত্রজনতা বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নেমে পড়ত। এখানে কোনো অবিশ্বাস, দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা সংশয়ের অবকাশ থাকত না। সরকার আন্দোলন ঠেকানোর জন্য গ্রেফতার, নির্যাতন-নিগ্রহ ছাড়াও অনেক কুটিল প্রয়াস ও অপচেষ্টা চালাত বটে কিন্তু কোনো কিছুই গণআন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারত না। শেষ পর্যন্ত মানবতার বিজয়ই হতো। স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে ছাত্র আন্দোলন সফলতার সৈকতে তরণি ভেড়াতে সক্ষম হতো। স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দৃষ্টান্ত ভূরি ভূরি। কিন্তু আজকের ছাত্রনেতৃত্বের সেই প্রত্যয়দৃঢ়তা ও চারিত্রিক শক্তি কোথায় হারিয়ে গেল- সেই প্রশ্নের জবাব আজকে ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্বে যারা আছেন তাদেরই দিতে হবে। এর জন্য আত্মবিশ্লেষণের বড়ই প্রয়োজন।

সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেল। আমার কাছে ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন পুনঃপ্রবর্তন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং উদ্দীপক। যদিও এবারের ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচিত নেতারা কিছু উল্টাপাল্টা স্ববিরোধী কার্যকলাপ ও কথাবার্তায় অনেকটাই তাদের ওপর আস্থা বিনষ্ট হওয়ার মতো কথা উচ্চারণ করেছেন, তাদের বিবৃতি ও আচরণে অনেকটা অসঙ্গতি পরিস্ফুটিত হয়েছে। তবু ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত হলে দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন থাকবেÑ তারা মানুষ সৃষ্টির মহান কারিগর। লেজুড়বৃত্তির পথ পরিহার করে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রেণিকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ উদ্যোগ তারা গ্রহণ করবেন- এটাই তো স্বাভাবিক। সেই মহতী উদ্যোগের প্রত্যাশায় বুক বেঁধে রইলাম। ডাকসুর এ নবযাত্রা শুভ ও কল্যাণকর হোক- আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে এটিই আমার প্রার্থনা।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

সর্বশেষ খবর