শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

গ্রীষ্মের শুরুতেই পানি সংকট

দুর্গন্ধ পানির অত্যাচার কাম্য নয়

গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হতে না হতেই রাজধানীতে পানির সংকট থাবা বিস্তার করছে। যাত্রাবাড়ীর দোলাইরপাড়-দয়াগঞ্জে পানির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় ওয়াসার পাইপলাইনে পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। মীরহাজিরবাগেও চলছে পানির সংকট। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে ঢাকা ওয়াসা বুধবার ওই এলাকায় পানির ট্যাংকবাহী গাড়িতে করে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। রাজধানীতে ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করে তা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। গ্রীষ্মে পানির চাহিদা বেড়ে গেলে এ ক্ষেত্রে দেখা দেয় গভীর সংকট। এ মুহূর্তে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় অপর্যাপ্ত সরবরাহের পাশাপাশি ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধের অভিযোগ উঠেছে। সুয়ারেজের ময়লা পানি ওয়াসার ত্রুটিযুক্ত পাইপলাইনে প্রবেশ করে তা মানুষের ব্যবহারের অযোগ্য করে তুলছে। দক্ষিণ সিটির সিদ্ধেশ্বরী এলাকার পানিতে দুর্গন্ধ জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। রাজধানীতে গ্রীষ্ম মৌসুমের প্রারম্ভেই কোনো কোনো এলাকায় পানি সংকট ও বেশকিছু এলাকায় দুর্গন্ধের অভিযোগ উদ্বেগজনক। ওয়াসার পানির মান নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। পানির পাইপে সুয়ারেজের বর্জ্য ঢুকে পড়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি ঘটছে ওয়াসার দুর্নীতি ও অসততার কারণে। পানির অপর নাম জীবন। পশ্চিমা দুনিয়ায় গ্রাহকরা সরাসরি পাইপলাইনে সরবরাহকৃত পানি পান করেন। অথচ ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি ফুটিয়ে পান করতেও মানুষ অস্বস্তিতে ভোগে। আমরা আশা করব, রাজধানীতে গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে পানি সংকট দেখা না দেয় তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশেষত রোজার মাস যেহেতু হাতছানি দিচ্ছে সেহেতু এ ব্যাপারে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। দুর্গন্ধযুক্ত পানি থেকে গ্রাহকদের রেহাই দিতে ওয়াসার কর্তাব্যক্তিরা মনোযোগ দেবেন- আমরা এমনটিই আশা করতে চাই। গ্রাহকরা ওয়াসার কাছ থেকে পানি কেনেন অর্থের বিনিময়ে। গ্রাহকদের দেওয়া অর্থেই ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। ফলে ওয়াসা কোনোভাবেই গ্রাহকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দায় এড়াতে পারে না। এ ব্যাপারে তারা একটু সচেতন হলে নগরবাসীর পক্ষে ময়লা পানির অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর