শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চবিতে নৈরাজ্য

পঞ্চম বাহিনী সম্পর্কে সতর্ক হোন

বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ বিড়ম্বনায়। অনভিপ্রেত পরিস্থিতির শুরু ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলকে কেন্দ্র করে। নিজেদের দখলাধীনে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষ না থাকায় সে সীমাবদ্ধতা পূরণে নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন তারা। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষের বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে পদক্ষেপ নিতেই দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে পুলিশের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে একাট্টা হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এই কথিত আন্দোলনে রবিবার ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও জলকামানও নিক্ষেপ করে পুলিশ। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের হোসপাইপ কেটে ফেলা ও রেলস্টেশনের এক লোকোমাস্টারকে অপহরণ করেন আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষকবাসসহ সিএনজি, রিকশাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ৩ এপ্রিল আটক ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘট পালনের অংশ হিসেবে তারা নানা ধরনের স্লোগানও দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। ছাত্রলীগ কর্মীরা অস্বীকৃতি জানালে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও জলকামান নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে ছাত্রদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপরও ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় লাঠিচার্জ টিয়ার শেল জলকামান ব্যবহার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেউ কেউ চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপর কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এ ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নামকে কলঙ্কিত করছে কিনা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা উচিত। সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনে পঞ্চম বাহিনী ভর করেছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক হওয়াও সংশ্লিষ্টদের জন্য জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর