শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চৈত্রের বর্ষায় নাকাল ঢাকা

জলজট ঠেকানোর উদ্যোগ নিন

চৈত্র বসন্তকাল হলেও দুরন্ত খরার মাস। তার পরও রুদ্র চৈত্র বর্ষাকালের রূপ নিয়েছে কয়েক দিন ধরে। রাজধানীতে চৈত্রের টানা বর্ষণে মঙ্গলবার বেশির ভাগ রাস্তাঘাটে পানি জমে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। গলিপথগুলোর কোনো কোনোটি মনে হয়েছে রাস্তা নয় যেন খাল। রাজধানীর যেসব এলাকায় মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজ চলছে সেগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। দিনভর বৃষ্টির প্রভাবে রাতে অনেকেই ঘুমিয়েছেন কাঁথা জড়িয়ে। চৈত্র শেষে যখন গরমে হা-হুতাশ করার কথা তখন আবহাওয়ায় শীতল আমেজ ছিল ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। মঙ্গলবার সকালের শুরুটা ছিল অন্যদিনের মতোই রৌদ্রোজ্জ্বল। আকাশও পরিষ্কার, কোনো মেঘ নেই। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগেনি। সকাল সাড়ে ১০টা বাজতেই মুহূর্তে চারদিকে অন্ধকার। শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির ধরন দেখেও বোঝার উপায় ছিল না প্রকৃতিতে এখন আষাঢ় না চৈত্র মাস। কিছুক্ষণ পরই আবহাওয়ায় আবারও পরিবর্তন। চারদিকে রৌদ্র ঝলমলে পরিবেশ। এবার প্রকৃতি দেখে বোঝার উপায় নেই যে কিছুক্ষণ আগেই মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি এদিন বিকালেও পরিবেশ জানান দেয়নি আকাশ ভেঙে আসতে পারে বৃষ্টি। সঙ্গে কালবৈশাখী। বৈশাখ শুরু হওয়ার আগে প্রকৃতি এবার বিচিত্র আচরণ করছে। কখনো মেঘ ভেঙে নামছে বৃষ্টি, কখনো শুরু হচ্ছে কালবৈশাখী। আবার রৌদ্র বাড়লে ভ্যাপসা গরমে ঘাম ঝরে পড়ছে দরদর করে। আবহাওয়া-বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ুতে যে নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে বিশ্বজুড়ে এগুলো তারই উদাহরণ। চৈত্রে দুরন্ত খরার বদলে বর্ষার হাতছানি সারা দেশের জনজীবনকে অপ্রস্তুত শুধু নয়, বিপর্যস্ত করে তুলেছে। গত কয়েক দিনে কালবৈশাখী ও বজ্রপাতে মারা গেছে বেশকিছু মানুষ। রাজধানীতে বর্ষার আগে ড্রেন-নালাগুলো পরিষ্কার করা হয় বর্ষার পানি যাতে ঠিকমতো প্রবাহিত হয় সে উদ্দেশ্যে। কিন্তু হঠাৎ বর্ষার ধকলে রাজধানীর এক বড় অংশের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় জলজট ও যানজটে নাকাল হতে হয়েছে নগরবাসীকে। এমন বিপদের পুনরাবৃত্তি রোধে রাজধানীর সব ড্রেন, নালা ও পানি নিষ্কাশনের পথ জরুরি ভিত্তিতে পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিতে হবে। ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে নজর দেবেÑ এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর