রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ

নির্মাণকাজে ফাঁকি যেন না হয়

টেস্ট রিলিফ তথা ‘টিআর’ ও কাজের বিনিময়ে টাকা তথা ‘কাবিটা’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল গ্রাম বাংলার গরিব মানুষের কল্যাণে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, যেসব জনপ্রতিনিধির নামে এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থ বরাদ্দ করা হতো তাদের একাংশের সততার সংকট প্রকল্প দুটির স্বচ্ছতা সম্পর্কে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী আগামী পাঁচ বছরের জন্য টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের বিশেষ বরাদ্দ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ বরাদ্দের এ অর্থ দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে গ্রামের গৃহহীন দরিদ্র মানুষকে। আগামী জুনের মধ্যে নির্মাণ করা হবে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ঘর। আর পাঁচ বছরে নির্মাণ করা হবে ১ লাখ ২৫ হাজার ঘর। এ উদ্দেশ্যে টিআর ও কাবিটার আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্প গত বুধবার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এর ফলে টিআর ও কাবিটার যে বিশেষ বরাদ্দ এত বছর ধরে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যানসহ অন্যদের নামে দেওয়া হচ্ছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হলো। ওই প্রকল্পের আওতায় বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় ৪০০ বর্গফুটের দুটি ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। ঘরে থাকবে দুটি বারান্দা ও একটি টয়লেট। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সামগ্রিক দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের জন্য টেকসই গৃহনির্মাণ, দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ তথা গ্রামীণ এলাকায় শহরের সুবিধা প্রদান। টিআর ও কাবিটার নামে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থের সিংহভাগ অপচয়ের অভিযোগ থাকায় তার বিপরীতে গৃহহীন দরিদ্র মানুষের জন্য বাসগৃহ তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। তবে নতুন প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের যে গৃহ দেওয়া হবে তা যেন সিংহভাগ সরকারি নির্মাণকাজের মতো মানহীন না হয় তা নিশ্চিত করাও জরুরি। আমাদের বিশ্বাস, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বাসগৃহগুলো যাতে সত্যিকারভাবে টেকসই হয় তা তদারকিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে- এমনটিও প্রত্যাশিত।

 

 

সর্বশেষ খবর