বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

নফল নামাজের ফজিলত

মাওলানা মুহম্মদ জিয়াউদ্দিন

ফরজ ইবাদতের কোনো তুলনা নেই। ফরজ নামাজ আদায়ের পর যারা নফল নামাজ আদায় করে তাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর বিশেষ রহমত। নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আখেরাতে তাদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হবে। উম্মে হাবিবা (রা.) বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনরাতে ১২ রাকাত নামাজ (ফরজ ছাড়া) আদায় করবে এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ মুসলিম, তিরমিজি। আর তা হচ্ছে জোহরের আগে চার রাকাত, পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পরে দুই রাকাত, ফজরের আগে দুই রাকাত। বুখারির হাদিসে নফল নামাজ আদায়কারীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রার্থনা যেমন কবুল করেন, তাদের আশ্রয়ও দেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ ইরশাদ করেন, যে আমার কোনো অলির সঙ্গে শত্র“তা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা প্রদান করেছি। আমার বান্দা কোনো পুণ্যের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে পারবে না ফরজ ছাড়া। আর ফরজের পর যদি সে সর্বদা নফল আদায় করে তাহলে আমার অধিক নৈকট্য অর্জন করতে পারবে। অবশেষে আমি তাকেই ভালোবাসতে থাকি। অতঃপর আমি তার কান হয়ে যাই, যার দ্বারা সে শুনতে পায়; আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখতে পায়; আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে পাকড়াও করে; আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। আর সে যদি আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাকে অবশ্যই তা প্রদান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, আমি তাকে অবশ্যই আশ্রয় প্রদান করি।’ বুখারি।

অনেকে মসজিদে নফল ইবাদত করা পছন্দ করেন। বিশেষ করে ঈদে মিলাদুন্নবী, লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুল মিরাজ ইত্যাদি উপলক্ষে রাত জেগে মসজিদে ইবাদত করেন। নফল ইবাদত ঘরে করাই উত্তম। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ঘরেই নফল নামাজ আদায় করতেন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ফরজের পাশাপাশি নফল ইবাদত করার তাওফিক দিন।

            লেখক : ইসলাম বিষয়ক গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর