বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় বসুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রায় চার ঘণ্টার অবরোধে মঙ্গলবার নীলক্ষেতসহ রাজধানীর এক বড় অংশে যানজটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ সালে সরকারি সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত করায় তারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। ভেবেছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা অবস্থায় তারা যে সেশনজটের অভিশাপে ভুগেছেন তার ইতি ঘটবে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সমস্যাগুলোর সমাধানে এগিয়ে না আসায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। সেশনজট নিরসন, পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা যে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন তার মধ্যে আছে ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সব বিভাগের ফল একসঙ্গে প্রকাশ; ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সের সব বর্ষের ফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন; সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন রাখা; প্রতি মাসে প্রতিটি বিভাগে প্রতি কলেজে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়া এবং সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করা প্রভৃতি। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত সাত কলেজ হলোÑ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা যেসব ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছেন তার বেশির ভাগই যৌক্তিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃৃপক্ষ একটু উদার হলে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সম্মানজনক নিষ্পত্তি সম্ভব। কিন্তু অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রতি দায়বোধের ঘাটতি থাকায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিচ্ছে যখন রাজধানীবাসী সে মুহূর্তে সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা আশা করব, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তাদের সঙ্গে বসবেন।

সর্বশেষ খবর