রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

এ লজ্জা রাখি কোথায়?

বাহালুল মজনুন চুন্নু

এ লজ্জা রাখি কোথায়?

এ আমরা কোথায় তলিয়ে যাচ্ছি? বেশ কিছুদিন ধরে এ প্রশ্নটা বার বার আমার মনে উঁকি দিচ্ছে, ভাবিয়ে তুলছে আমাকে। অনাচার, অশ্লীলতা, বিকৃত যৌনাচার, যৌন নিপীড়নের মতো ঘৃণ্য ঘটনার পৌনঃপুনিকতায় আমরা যেন তলিয়ে যাচ্ছি এমন এক অন্ধকারাচ্ছন্নময় সমাজের দিকে যা আদিম সমাজকেও হার মানাচ্ছে। ধুলোয় লুটোচ্ছে শান্তি ও নিরাপত্তা। মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সংকট। অবক্ষয়গ্রস্ত এক অসুস্থ সমাজের ঘেরাটোপে বন্দী হয়ে পড়ছি আমরা। বিশেষ করে বলতে হয় নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নিপীড়নের কথা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে চলন্ত বাসে, ট্রেনে ধর্ষণ হচ্ছে; ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে এমনকি পুড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে; পিতৃতুল্য শিক্ষক এমনকি পিতা দ্বারা মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করার মতো ঘৃণ্য সংবাদও আমাদের শুনতে হচ্ছে। পত্রিকার পাতা খুললেই আমাদের চোখে পড়ে অসংখ্য ন্যক্কারজনক সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র। সিগমন্ড ফ্রয়েড বর্ণিত ইড এর কাছে আমাদের ইগো কিংবা সুপার ইগো হেরে যাচ্ছে। বিবেকবোধ হারিয়ে যাচ্ছে আত্মসুখ লাভের মোহের কাছে। পচন ধরেছে আমাদের মগজে, মননে। ফলে ক্রমেই আমরা এমন এক নিষ্ঠুর সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে আদিম প্রবৃত্তির চরিতার্থতাই হয়ে উঠছে মুখ্য বিষয়। মানবসত্তাকে দমিয়ে রেখে জীবসত্তাই আমাদের চালিত করছে।

যৌন নিপীড়নের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল আমাদের সমাজে। এর প্রতিকারের জন্যও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বলতেই হবে, যৌন নিপীড়নের বিষয়টি না কমে বরং বেড়ে গেছে বহুগুণ। এখন আট মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে, এমনকি খুনের শিকারও হতে হচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও নারীরা নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। পথে-ঘাটে, অফিসে, স্কুল-কলেজে কোথাও মেয়েরা নিরাপদ নয়। যেখানে ঢাকার খিলগাঁওয়ে রাতভর ধর্ষিত হয় একজন মহিলা পুলিশ, সেখানে সাধারণ নিরস্ত্র একটি মেয়ে যাকে নিত্যদিন রাস্তাঘাটে জীবন ও জীবিকার তাগিদে একা চলতে হয়, তার নিরাপত্তা কতটা ঝুঁকির মধ্যে ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। নারীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না মানুষ নামের অমানুষগুলো, বীরদর্পে সমাজে হেঁটে বেড়াচ্ছে, ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে এমনকি মেরেও ফেলা হচ্ছে। আর টাকাপয়সা ও স্বার্থের কারণে এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে স্থানীয় কিছু দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় লোক। অভিযোগ আছে, অনেক সময়ই পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে, আর নিলেও আইনের দীর্ঘসূত্রতায় বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদতে থাকে। জানা গেছে, প্রায় ২৫ হাজারের মতো ধর্ষণ মামলা বছরের পর বছর ধরে বিচারাধীন অবস্থায় আছে। যৌন নিপীড়নকারীদের শাস্তির হাত থেকে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্যমতে এই এপ্রিলের ২ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে এ দেশে ৪৭টি শিশু যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে যার ৩৯টিই ধর্ষণ এবং পাঁচটি শিশুকে বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে। এ চিত্রই বলে দেয় পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক নামধারী কুলাঙ্গারের নিজ সন্তানতুল্য ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিষয়টি। শিক্ষক জাতির বিবেক। শিক্ষক আগামী প্রজন্ম গড়ার কারিগর। কিন্তু শিক্ষক কর্তৃক যখন ছাত্রী হয়রানির ঘটনা ঘটে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এবং জাতির জন্য অশুভ সংকেত। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুন নিসার পরিমল, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতাবর্জিত একশ্রেণির শিক্ষকের লাম্পট্যের কারণে ঘটে গেছে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ। সম্প্রতি আলোচিত ঘটনা মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো বীভৎস ঘটনা। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য অভিভাবকরা সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠান। অথচ প্রায়ই মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক কেবল ছাত্রীরাই নয়, ছাত্ররা পর্যন্ত বিকৃত যৌন ও নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার সংবাদ পত্রিকায় পাই। এক পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন বছরে আড়াই শর ওপর ছাত্র মাদ্রাসা শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হয়েছে। এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গত পাঁচ বছরে সারা দেশে সহস্রাধিক ছাত্রী শিক্ষকের যৌনলালসার শিকার হয়েছে। ফলে কারও শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, কারও পুরো জীবনের ওপর নেমে এসেছে কালো ছায়া। কেউবা লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছেই বেশির ভাগ ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। শিক্ষকরা পরীক্ষায় ফেল করানো বা সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়ে দেওয়া, অভিভাবকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা, ব্ল্যাকমেইলিংসহ বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নিপীড়ন করে। ভয়ে, লজ্জায় ও সামাজিক সম্মানহানির কথা চিন্তা করে অনেক শিক্ষার্থী সবকিছু নীরবে চেপে যেতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ সাহস করে মুখ খুললেও প্রতিকার পায় না, বরং প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। নৈতিকতাবর্জিত একশ্রেণির শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ ঘটেছে। ভাবতেই অবাক লাগে, একজন শিক্ষক যিনি কিনা শিক্ষাগুরু তিনি কীভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারেন। এরা শিক্ষকজাতির কলঙ্ক এবং বাইচান্স শিক্ষক যারা কেবল শিক্ষকতাকে মহান পেশা হিসেবে বিবেচনা করে আসেননি, এসেছেন রুটি রোজগারের জন্য। আর এদের জন্য আজ বিব্রত পরিস্থিতির মধ্যে আছেন আদর্শবান শিক্ষকরা। অন্যদিকে আস্থাহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা।

কেন নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে? যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে? অপরাধ বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সমাজ এক ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার ফলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পশ্চিমা সংস্কৃতি ও বিশ্বায়নের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের দরুন ইন্টারনেট, ফেসবুক, টিভির বিভিন্ন চ্যানেলে যৌন উত্তেজনাপূর্ণ ছবি দেখে অনেকে লালসা চরিতার্থের পথ খুঁজে ফেরে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় পরিবার, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাঙ্গন, আশ্রয় কেন্দ্র থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার মনোবৃত্তির কারণে যৌন নিপীড়ন বাড়ছে। দিন দিন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু দুর্ভাগ্য, সমাজে পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় নারীকে গৃহবধূ, ভোগ্যপণ্য বা যৌন চাহিদা পূরণের উপায় হিসেবে দেখার সংস্কৃতি থেকে অনেক পুরুষই বের হতে পারেনি। এ সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করেছে করপোরেট দুনিয়া যেখানে নারীকে পণ্যায়িত করা হচ্ছে। একদল পোষণ করছে নারীকে শুধু সেবাদাসী করার মানসিকতা, আর অন্য দল শিল্পের নামে নারীকে কেবল দৃশ্যবস্তুতে পরিণত করছে যা যৌন নিপীড়নের হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অনেক পরিবারে সন্তানদের নৈতিক ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়া হয় না, নেই স্নেহ ও শাসনের ভারসাম্য। অসুস্থ পারিবারিক পরিবেশে অনেকেই বেড়ে উঠছে অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে। তা ছাড়া সামাজিক বিশৃঙ্খলা, সমাজে পেশিশক্তির প্রভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্য দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা, বিষণœতা ও মাদকাসক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার প্রভৃতি যৌন নিপীড়ন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। স্যাটেলাইট চ্যানেলের কল্যাণে অপসংস্কৃতির ভুবনটা আমাদের কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভায়োলেন্স ও অশ্লীলতার নানা চিত্র বেশ খোলামেলাভাবে প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তি যৌনাচারকে লেলিয়ে দিচ্ছে। স্মার্টফোনের কারণে পর্নোসাইডে অশ্লীল ভিডিও দেখা সহজ হয়ে গেছে। অশ্লীল সিডি, ডিভিডি, বিভিন্ন প্রকার বই, ম্যাগাজিনের বিস্তার ঘটছে। হাটবাজার, শহর-গঞ্জের অলিগলিতে কম্পিউটার থেকে অশ্লীল ভিডিও ডাউনলোড দিয়ে মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করার হিড়িক চলছে। ফলে মানুষের মাঝে যৌনলালসা বেড়ে গেছে বহুগুণ। মেয়েদের প্রতি তীব্র অশ্রদ্ধা, বিদ্বেষ, ক্রোধ, আক্রমণাত্মক মনোভাব ও প্রতিহিংসাপরায়ণতাও ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের কারণ। একাকিত্ববোধ, অক্ষমতাবোধ, রাগ, অপমানজনক অনুভূতি, হতাশা, ব্যর্থতা বা ব্যক্তিজীবনে কষ্ট, অপ্রাপ্তি এসবও ধর্ষণের আকাক্সক্ষা বৃদ্ধি করে। ইডের কাছে ইগো ও সুপার ইগোর পরাজয়ের কারণে যৌনলালসার বশবর্তী হয়ে অনেকেই যৌন নিপীড়ন, ইভ টিজিং ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হচ্ছে। সাইকোপ্যাথিক এবং বিকৃত রুচি ও মানসিকতার ব্যক্তি, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের বিবেচনাবোধ লোপ পায় বলে এদের কাছে যৌন নিপীড়ন অস্বাভাবিক কিছু নয়। তা ছাড়া ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ়ও পিডোফিলিয়া প্রবণতা দ্বারা তাড়িত হয়ে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালায়। তবে সবকিছুর মূলে রয়েছে নৈতিকতা ও  মূল্যবোধের অভাব।

এই যে কারণগুলোর জন্য আমাদের এ সমাজে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মড়ক লেগেছে, এর সমাধান করা কঠিন কিছু নয়। তবে সরকারের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ বিষবাষ্প থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা। ছেলেমেয়েরা যেন নৈতিকতা, মূল্যবোধসম্পন্ন হয় এবং নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এ রকম পরিবেশের নিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে হবে, পারিবারিক বন্ধন জোরদার করতে হবে। ইন্টারনেটসহ অন্যান্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে পর্নোসাইডগুলো বন্ধ করেছে তবে অন্য মাধ্যমগুলোর প্রতিও কঠোর নজর দেওয়া উচিত। মানুষ যেন সাইকোপ্যাথিক, বিকৃত মানসিকতার ও মাদকাসক্ত না হয় এবং পিডোফিলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাভিত্তিক কাউন্সেলিংয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনের কঠোর বাস্তবায়ন। আমাদের দেশে যৌন নিপীড়নবিরোধী আইন আছে। আছে শিক্ষাঙ্গনে যৌন নিপীড়ন সহিংসতা রোধে ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনা। কিন্তু দুর্ভাগ্য, প্রথিতযশা দু-একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কেউই এ নির্দেশনা মানছে না। আইনের যেন যথাযথ বাস্তবায়ন হয় সেদিকে সরকারকে আরও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন যে অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনে তার জ্বলন্ত উদাহরণ অ্যাসিডসন্ত্রাস। একটা সময় এ সমস্যাটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল, কিন্তু বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদ- দেওয়ার ফলে সেই ভয়াবহ সন্ত্রাস থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই পরিত্রাণ পেয়েছে। ঠিক এ রকমভাবেই ধর্ষণকারী ও যৌন নিপীড়নকারী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের যদি আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে যতই যৌনলালসা থাকুক, জীবনের মায়ায় শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করবে। তবে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন সমূলে উৎপাটনের জন্য মানুষের মধ্যে নারী-পুরুষের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোবৃত্তির বিস্তার ঘটাতে হবে এবং তা সম্ভব হবে তখনই যখন সবার মাঝে সুশিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। আশার কথা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার উদ্যোগগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে এ দেশ মুক্তি পাবে লজ্জার হাত থেকে।

লেখক : সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর