সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বোরোর বাম্পার ফলন

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সুখবর

চলতি বছর দেশে বোরোর বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এ বছর বোরো চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জমিতে ধান পেকে গেছে। ঝড় বৃষ্টির আগে ফসল ঘরে তোলার স্বপ্নে এখন কৃষক। এটি সম্ভব হলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অর্জন সম্ভব হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর বোরো আবাদের জন্য জমির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর। গত অর্থবছরে লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৪৭ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর। তবে নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি জমিতে প্রায় ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বোরো ধান। এ বছর সরকার বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এক কোটি ৯৬ লাখ ২৩ হাজার টন। সরকারের কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ফলন পাওয়া যাবে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ধানের উপযুক্ত মূল্য না হলে আগামীতে ধান চাষ ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ বছর বোরো উৎপাদনের আবহাওয়া ছিল অনুকূল। সব দিক থেকে এমন ভালো আবহাওয়া পাওয়া যায় না। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। হবিগঞ্জের কিছু এলাকায় আবাদকৃত ধানে চিটা দেখা দিলেও সার্বিক উৎপাদনে এটি কোনো প্রভাব ফেলবে না। বোরো চাষের মাধ্যমে দেশের প্রধান খাদ্য চালের সিংহভাগ অর্জিত হয়। কোনো কারণে বোরো ধানের আবাদ মার খেলে সে বছর দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বিপর্যয় নেমে আসে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশ খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে বিশ্ব বাজারে খাদ্যের দাম রাতারাতি বৃদ্ধি পায়। অভাবনীয় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় না হলে এ বছর দেশে উৎপাদিত ধান দিয়েই খাদ্য চাহিদার সিংহভাগ মেটানো সম্ভব হবে। তবে কৃষক যাতে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধান উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর বিপরীতে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় হতাশায় ভুগছে কৃষকরা। এ অনাকাক্সিক্ষত অবস্থার অবসানে সরকারকে টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে। ধান উৎপাদনে কৃষকরা যাতে ভর্তুকি পায় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর