শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

হেনরি কিসিঞ্জার

হেনরি কিসিঞ্জার

হেনরি কিসিঞ্জার দুনিয়াজুড়ে এক পরিচিত নাম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রতিটি মানুষ হাড়ে হাড়ে তাকে চেনার সুযোগ পেয়েছে। পাকিস্তানপ্রেমী মার্কিন এই ইহুদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে গণহত্যা চালাতেও মদদ জুগিয়েছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার পরিচালনার সুবাদে কিসিঞ্জারের সঙ্গে অনেক আন্তর্জাতিক নেতার পরিচয় হয়। রকফেলার ব্রাদার্সের সঙ্গেও কাজ করেছেন কিসিঞ্জার। ১৯৫৭ সালে তিনি হার্ভার্ডের লেকচারার ও ’৬২ সালে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

’৬২ থেকে ’৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি হার্ভার্ডে পূর্ণকালীন শিক্ষকতা করেন। ’৬৫ সালে তিনি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে ভিয়েতনামবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দেন। ’৬৫ থেকে ’৬৭ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেন। ’৬৮ সালে তিনি রিপাবলিকান মনোনয়নপ্রার্থী নেলসন রকফেলারের হয়ে কাজ করেন, যদিও রকফেলার সেবার নিক্সনের কাছে পরাজিত হন। রিচার্ড নিক্সন প্রেসিডেন্ট হয়ে রকফেলারের অনুরোধে হেনরি কিসিঞ্জারকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত করেন। ’৭২ নতুন কর্তৃত্ব পেয়েই মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন হেনরি কিসিঞ্জার। ওই সময়ের যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। কিসিঞ্জারের মনে হয়েছিল, সোভিয়েত প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল আত্মবিরোধী এবং অতিরিক্ত মাত্রায় বন্ধুসুলভ। যদিও কিসিঞ্জার সোভিয়েত ইউনিয়নকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শত্রু হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন, তবু সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাশক্তি হিসেবে তার কাছে সমীহযোগ্য মনে হয়েছিল।

 কিসিঞ্জার সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন, যা ডেটান্ট নামে পরিচিত। তার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘সল্ট’ সম্পাদিত হয়। এ চুক্তির অধীনে দেশ দুটি তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার কমানোর ব্যাপারে একমত হয়। তিন বছরের দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ মস্কোয় চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।

                অপূর্ব আজাদ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর