রবিবার, ৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

ফরমালিন

সুন্দর, স্বাস্থ্যকর ও শান্তিময় জীবন-যাপনে শরীর সুরক্ষার বিকল্প নেই। নিয়মিত বিশুদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং অখাদ্য-কুখাদ্য বর্জনই আমাদের সুস্থ জীবনযাপনের একমাত্র উপায়। আমরা সবাই বাঁচতে ভালোবাসি। তাই বেঁচে থাকার জন্যই এত ঝক্কি-ঝামেলা। মানুষ খাওয়ার জন্য বাঁচে না, বাঁচার জন্য খায়। তা না হলে ডাক্তাররা যখন রোগীকে কিছু কিছু খাদ্যবস্তু সাময়িক খেতে বারণ করেন তখন রোগী ডাক্তারের উপদেশ লঙ্ঘন করত। তাই স্বাস্থ্যের বিধিসম্মত সতর্কীকরণÑ পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে জীবনটাকে সুস্থ, রোগমুক্ত করে রাখতে কে না চায়। কিন্তু আজকাল আমরা যেসব খাবার খাচ্ছি তার অধিকাংশই ভেজাল।  নিত্যদিনের চাল, ডাল, তেল লবণসহ ঠান্ডা পানীয় দ্রব্য, ফলমূল ও মিষ্টান্ন দ্রব্যে ভেজালের ছড়াছড়ি। যেমন কোকাকোলা, মিরান্ডা, পেপসি ইত্যাদিতে ক্ষতিকারক রং এবং রাসায়নিক তরল পদার্থ ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে। মিষ্টান্ন দ্রব্য যেমন- জিলাপি, বুন্দিয়া, রসগোল্লা প্রভৃতি বানানোর জন্য ময়দা, আটা, সুজি ইত্যাদি ভালোভাবে মেখে দু-তিন দিন নিরাপদে রেখে পচানো হয় এবং তারপর নানা ধরনের পাউডার, রং মিশিয়ে হোটেল-রেস্টুরেন্টে সাজিয়ে রাখা হয়। মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া ঝকঝকে রঙিন করার জন্য ইটের গুঁড়াও মেশানো হয় বলে প্রায়ই শোনা যায়। বছরখানেক আগে ঢাকার এক মসলা ব্যবসায়ীকে পচা চালের গুঁড়া মসলায় মেশানোর দায়ে পুলিশ হাতেনাতে ধরেছিল; যা বিভিন্ন পত্রিকায় আমরা দেখেছি। বিভিন্ন ধরনের ফলমূল যেমন আম, কলা, পেঁপে, নাশপাতি ও শাক-সবজি যেমন টমেটো, পটোল, আলু ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদে তাজা রাখতে এবং কৃত্রিম উপায়ে পাকাতে ইথোফেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে যেসব মাছ আমাদের দেশে আমদানি হচ্ছে সেগুলোতেও নাকি ফরমেলাইডিহাইড  নামক এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ফরমেলাইডিহাইড বা ফরমালিন প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন বা মৃতদেহ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। মানবদেহে ক্যান্সার সংক্রমণের বেলায় এই ফরমেলাইডিহাইড যথেষ্ট সাহায্য করে।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর