শনিবার, ১১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিলেটের শিল্পায়ন

এশিয়ান হাইওয়ে হোক আশার আলো

শিল্পায়নে দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকার একটি সিলেট। তবে অঙ্কের হিসাবে এমনটি হওয়ার কথা নয়। সিলেটের কয়েক লাখ মানুষ ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে অবস্থান করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন দেশে নাম কিনেছে। কিন্তু ধনাঢ্য এসব প্রবাসীর কেউ কেউ সিলেটে নিজেদের জন্য রাজকীয় স্টাইলের বাড়ি নির্মাণে অর্থ অপচয় করলেও বিনিয়োগে এগিয়ে আসেনি। বিনিয়োগের যথোপযুক্ত পরিবেশ গড়ে না ওঠায় সিলেটের অর্থনীতি জাতীয় অর্থনীতিতে সুবাতাস সৃষ্টি করতে পারেনি। আশার কথা, এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সিলেটের দুটি সড়কের সংযোগ শিল্পায়নে পিছিয়ে থাকা এ জনপদের জন্য সুখবর বয়ে আনার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এমনটি হলে প্রবাসীরা তাদের শিকড়-সংশ্লিষ্ট জনপদে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন। দেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি উৎসাহিত হবেন বিদেশিরাও। এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করতে ইতিমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সুতারকান্দি-সিলেট সড়কটিও এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত করতে শুরু হয়েছে জরিপকাজ। এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে সিলেট-তামাবিল সড়ক দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে গত বছরের শেষ দিকে ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটিতে পাস হয়। শিল্প ও বাণিজ্য গতিশীল করতে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক জোরদারের লক্ষ্যে ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প’ হিসেবে এটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হিসেবে নরসিংদীর কাঁচপুর থেকে সিলেটের শেরপুর হয়ে তামাবিল দিয়ে এ সড়কটি যুক্ত হবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সড়ক দুটি যুক্ত হলে তা সিলেটের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ হবে। চীন, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমারের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। সিলেটের শিল্পায়ন হলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের বাজার ধরার ক্ষেত্রে তা অবদান রাখবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও রাখবে ফলপ্রসূ অবদান। সিলেট তথা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে এশিয়ান হাইওয়ে আশার আলো হয়ে দেখা দেবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর