শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

অচলাবস্থা কাম্য নয়

দীর্ঘ ২৮ বছর পর চলতি বছরের মার্চের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ তথা ডাকসু নির্বাচন। আশা করা হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ওপর যে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বিরাজ করেছে ২৮ বছর ধরে, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে তার অবসান ঘটবে। পরে পর্যায়ক্রমে হবে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনও হবে এর ধারাবাহিকতায়। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন অচলাবস্থা ভাঙার যে আশার আলো জ্বালিয়েছিল তা গত দুই মাসের ব্যবধানে নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে। রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, খুলনা, সিলেট কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেই। অথচ দেশের রাজনীতি ও শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। প্রায় ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ লাখ শিক্ষার্থীর সরব অংশগ্রহণে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের অচলায়তন ভাঙার সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যে কোনো নির্বাচনে হার-জিত থাকে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে যাদের তারা সুখ-দুঃখের সময় পাশে পেয়েছেন তাদেরই বেছে নিয়েছেন। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অপ্রতিরোধ্য অবস্থান থাকায় স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা ছিলেন সুবিধাজনক অবস্থানে। তবে কোটাবিরোধী আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মনোজগতে যে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার প্রতিফলন ঘটেছে সহসভাপতি পদে তাদের প্রার্থীর জয়লাভে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের বাইরে যারা জিতেছেন তাদের প্রায় সবাই শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংঘটিত বিভিন্ন আন্দোলনে সরব ভূমিকা রেখেছেন। দেশে গণতন্ত্রচর্চা ও দায়বদ্ধ রাজনীতির বিকাশের স্বার্থে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে হবে। এ দাবিতে সোচ্চার হতে হবে ছাত্রসমাজকেই। রুখে

দিতে হবে নির্বাচন ও গণতন্ত্রচর্চার বিরোধী অপশক্তিকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর