বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পানি ও দুধ পরীক্ষার নির্দেশ

জনস্বার্থ রক্ষায় অবদান রাখবে

পানির অপর নাম জীবন। অন্যদিকে দুধ মানুষের অন্যতম পুষ্টিদাতা। কিন্তু পানির দেশ নামে পরিচিত বাংলাদেশে সুপেয় পানি পাওয়াই দায়! রাজধানীর পৌনে ২ কোটি মানুষের পান ও অন্যান্য কাজে পানি সরবরাহ করে ঢাকা ওয়াসা। সে পানি নিয়ে অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠেছে জনমনে। আর দুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তো যুগ যুগ ধরে। মানুষের জীবন রক্ষা ও পুষ্টির দুই প্রধান উপাদানের মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এগিয়ে এসেছে হাই কোর্ট। রাজধানীর ৩৪টি পয়েন্ট থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে তারা। পানি পরীক্ষার জন্য আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটিকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে সারা দেশ থেকে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য এবং পশুখাদ্যের নমুনা বাজার থেকে সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার প্রতিবেদন ২৩ জুন আদালতে দাখিল করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার হাই কোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ ভিন্ন ভিন্ন মামলায় এসব নির্দেশনা দেয়। পানি পরীক্ষার ব্যয় সংকোচন ও সার্বিক চিত্র পাওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান আদালতে তার মতামত তুলে ধরার পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ ৩৪ পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্ট বলেছে, আইসিডিডিআরবি, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসোলেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে ওয়াসার পানির ওই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষায় ৫ হাজার টাকা খরচ ধরে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ওয়াসাকে দিতে হবে। আদালত বলেছে, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ল্যাব আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠিত। এ প্রতিষ্ঠান তার পদ্ধতিতে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য এবং পশুখাদ্য পরীক্ষা করেছে। বিএসটিআই ওই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করায় আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বলেছে, বিএসটিআইর দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য পরীক্ষা করে সত্য উদ্ঘাটন করা উচিত ছিল। হাই কোর্টের নির্দেশনা ওয়াসার পানি এবং দুধ ও দগ্ধজাত পণ্যের মান নিশ্চিত তথা জনস্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর