শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

নরেন্দ্র মোদির জয়

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক জোরদার হোক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট ৫৪৩ আসনের ৩৪৯টিতে জয়ী হয়েছে। নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৯৮টি আসন। সরকার গঠন করতে যেখানে ২৭২টি আসন প্রয়োজন, এ সংখ্যা তার চেয়েও ২৬টি বেশি। বিজেপি জোটের বিপক্ষে কংগ্রেস জোট পেয়েছে ৯৩টি আসন। আঞ্চলিক দলসহ অন্য দলগুলোর প্রাপ্তি ১০০টি আসন। জনমত জরিপে পূর্বাভাস ছিল মোদি আবারও ক্ষমতায় আসবেন। তবে সবকটি জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল বিজেপি জোটের আসন সংখ্যা কমবে। বাস্তবে সে পূর্বাভাস সত্যি হয়নি। পূর্বাভাসকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি জোটের আসন আরও বেড়েছে। ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের প্রধান দুই দল মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী দল ও অখিলেশের সোস্যালিস্ট পার্টি দল জোট করেও বিজেপিকে ঠেকাতে পারেনি। এ রাজ্যের ৮০ আসনের ৫৯টিতে জিতেছে বিজেপি জোট, মায়াবতী অখিলেশ জোট পেয়েছে ২০টি। আর কংগ্রেস একমাত্র সোনিয়া গান্ধীর আসনে জয়ী হয়েছে। দলীয় প্রধান রাহুল গান্ধী তার নিজের আসন আমিথিতে হেরেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ২২টিতে জিতেছে তৃণমূল। কংগ্রেস জিতেছে দুটি আসনে। বিজেপি পেয়েছে ১৮টি আসন। এক সময়ের প্রতাপশালী শাসক দল বামফ্রন্ট এবার শূন্য। ভারতের নির্বাচনে ভোটাররা স্থিতিশীলতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারা জানতেন বিজেপি জিতলে মোদি প্রধানমন্ত্রী হবেন কিন্তু বিরোধীরা জিতলে কে দিল্লির ক্ষমতায় বসবেন তা ছিল অনিশ্চিত। চার শক্তিশালী বিরোধী দল কংগ্রেস, তৃণমূল, বহুজন সমাজবাদী দল ও সোস্যালিস্ট পার্টি মোদিবিরোধী ঐক্যের ডাক দিলেও সেটি ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও কংগ্রেসের ঐক্য হলে সে ঐক্যে বামফ্রন্টকে নেওয়া হলে বিজিপিকে ঠেকানো সম্ভব হতো। মায়াবতী ও অখিলেশ জোট ও আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেস জোটবদ্ধ হলে ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতো। নির্বাচনী প্রচারণায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ থাকলেও ভোট যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। এর মাধ্যমে আবারও জয়ী হয়েছে গণতন্ত্র। বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদির জয়কে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, বিজেপি জোটের জয় তিস্তার পানি বণ্টনসহ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।  বন্ধুদেশ ভারতের অবিসংবাদিত নেতা নরেন্দ্র মোদিকে তার দল ও জোটের এ সাফল্যের জন্য অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর