বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সামাজিক অস্থিরতা

এ বিপদ ঠেকাতে সতর্ক থাকতে হবে

সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে। আইন অনুযায়ী বাবা-মায়ের ভরণপোষণ সন্তানের কর্তব্য এবং তা অগ্রাহ্য করার অবকাশ নেই। কিন্তু বাস্তবে বাবা-মাকে ভাত দেয় না- এমন সন্তানের সংখ্যা লাখে লাখ। মা-বাবার কাছ থেকে কৌশলে জমি লিখিয়ে নিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আইন এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারছে না নানা জটিলতায়। কারণ, ভুক্তভোগীর অনেকেরই আইনের আশ্রয় নেওয়ার আর্থিক সংগতি নেই। অজ্ঞতাও এজন্য অনেকাংশে দায়ী। নারী নির্যাতন বাংলাদেশের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। আবার পুত্রবধূদের কারণে শ্বশুর-শাশুড়ির ভোগান্তিও বাড়ছে দ্রুতলয়ে। শ্বশুরালয়ের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে অহরহ। সামাজিক অস্থিরতায় মদদ জোগাচ্ছে মাদকাসক্তি। মদদ জোগাচ্ছে জুয়া খেলার সর্বনাশা নেশা। পরকীয়াও দায়ী অনেকাংশে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য। দেশের একটি উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রী নবজাতক শিশুকে বাক্সবন্দী করে চলে গিয়েছিলেন বাইরে। বরিশালে এক নারী শিশু জন্ম দিয়ে পালিয়েছেন হাসপাতাল থেকে। ২১ মে মানসুরা নামের ওই নারী শেরেবাংলা মেডিকেলে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওই দিনই সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি অসুস্থ থাকায় নবজাতক ইউনিটে পাঠানো হলে এই সুযোগে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তার মা। পরে মায়ের খোঁজ পড়লে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। মানসুরা ভর্তির সময় বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিলেন বাবুগঞ্জের মিরগঞ্জ গ্রাম। স্বামীর নাম না দিয়ে পিতার নাম দেন আহম্মেদ আলী। তার দেওয়া নাম-ঠিকানা সঠিক নয়। অভিভাবক না পাওয়ায় শিশুটিকে আগৈলঝাড়া বিভাগীয় ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামাজিক অস্থিরতা মানবিক চেতনাকে প্রতিনিয়তই গিলে খাচ্ছে। অস্থিরতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি, সামাজিক বৈষম্য ও কর্মসংস্থানের অভাব। ঘুষ, দুর্নীতি ও সামাজিক অস্থিরতাকে উসকে দিচ্ছে নানাভাবে। এসব বিচ্যুতি থেকে সমাজসংশ্লিষ্ট সবারই সতর্কতা কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর