সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জুমার নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে

মাওলানা মুহম্মাদ আশরাফ আলী

জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন মহান আল্লাহ। জুমার নামাজের মর্যাদাও অপরিসীম। হজরত আওস ইবনে আওস সাকাফী (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা.) কে ইরশাদ করতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করবে, প্রত্যুষে মসজিদে যাবে, পায়ে হেঁটে যাবে; কোনো বাহনে আরোহণ করবে না, ইমামের নিকটবর্তী হয়ে বসবে, মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করবে এবং খুতবার সময় কোনো প্রকার কথা বা কাজকর্মে লিপ্ত হবে না, সে জুমার জন্য যত কদম হেঁটে আসবে, প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছরের রোজা ও তাহাজ্জুদ নামাজ পালনের সওয়াব লাভ করবে। (আবু দাউদ, তিরমিজি)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, অতঃপর জুমার নামাজের জন্য মসজিদে আসে, খুব মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করে এবং খুতবার সময় চুপ থাকে, তার এই জুমা থেকে বিগত জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়। (মুসলিম)। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, জুমার দিনের গোসল চুলের গোড়া থেকে পর্যন্ত গুনাহগুলো বের করে দেয়। (তাবরানি, মাজমায়ে জাওয়ায়েদ)। জুমার দিনে এমন বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, ওই সময়ে যদি কোনো মুসলমান বান্দা অশ্রুসিক্ত নয়নে মহান স্রষ্টার দরবারে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, দয়াময় আল্লাহ তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না; যদি সে হারাম জিনিস কামনা না করে।

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, জুমার দিনে এমন এক মুহূর্ত রয়েছে, কোনো বান্দা যদি ওই সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু কামনা করে, আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করেন।

আর সেই মুহূর্তটি হলো আসরের পর।(মুসনাদে আহমদ) মুসলিম শরিফের রেওয়ায়েতে আছে, খুতবা শুরু হওয়ার পর থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এর মধ্যবর্তী সময়।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

 

 

সর্বশেষ খবর