মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঈদ মোবারক

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

ঈদ মোবারক

ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক। রাত পোহালেই খুশির ঈদ। দীর্ঘ এক মাস কঠোর সাধনার পর প্রতিটি মুসলমানের কাছে এসেছে আরাধ্য ঈদ। নানা জটিলতায় আামরা জর্জরিত না থাকলে, রাজনৈতিকভাবে এমন হতাশাজনক অবস্থায় না পড়লে আমাদের ঈদ আরও খুশির আনন্দময় মহিমান্বিত হতো।

তারপরও বলতে হয় এবার ঈদের আগেই আমাদের ঈদ আনন্দ। যুবসমাজ মাতোয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার মনে রাখার মতো বিজয় বহুদিন পর জাতিকে এক শিহরণের সুযোগ দিয়েছে। ক্রিকেটে আমরা আরেকটু যত্নবান হলে আরও ভালো করতাম। অবক্ষয়ের মধ্যে পতিত আমরা ক্রিকেটেও রাজনীতি না করলে হয়তো ভালো হতো। জানি না, যাদের সঙ্গে মতের মিল নেই তারা কেউ ক্রিকেটে আছে কিনা। না থাকারই কথা। কিন্তু থাকলে ভালো ছিল, সমগ্র জাতি একত্র হতো। সবাই একসঙ্গে চলতে পারলে শক্তি আর গৌরবই আলাদা। সকালে বিজয়, বিকালে পরাজয় এতে কোনো মনোবল থাকে না। আমাদের দলের সবচাইতে বড় অসুবিধা ধৈর্য। ধৈর্যের অভাব আমাদের ধ্বংস করে। টি-টোয়েন্টি এক রকম, ওয়ানডে আরেক রকম। ওয়ানডে-তে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে বা ধৈর্য ধরে খেললে অনেক কিছু আশা করা যায়। যার প্রতিফলন দক্ষিণ আফ্রিকার খেলায় ঘটেছে। দেশবাসীর পক্ষ থেকে টাইগারদের অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। তাদের খেলার শৈলী ও কলাকৌশল আমাদের তাক লাগিয়ে দিক, বিশ্ববাসী দেখুক-এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আনন্দের মধ্যে দুঃখের কথা আনতে নেই। কিন্তু বাস্তব বড় নির্মম। বাস্তব অস্বীকার করে চলা যায় না। তেমন এক বেদনার সংবাদ মমতাজউদদীন আহমদ আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি এক বর্ণাঢ্য জীবন শেষ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। নাট্যকার, অভিনেতা হিসেবে মানুষের মন ছুঁয়েছিলেন। শিক্ষকতা করেছেন অনেক দিন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তার পরিচয় হয়ে উঠেছিল সফল নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবে। ’৯৪ সালে তিনি আমার সঙ্গে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে তিনি অসাধারণ বক্তৃতা করেছিলেন। বক্তৃতায় শ্রোতারা জারজার হয়ে কেঁদেছিল। অমন শিহরণ জাগানো মর্মস্পর্শী বক্তৃতা সব সময় শোনা যায় না। কিন্তু মমতাজউদদীন আহমদের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বক্তৃতা বহুদিন হৃদয়ে গেঁথে থাকার মতো ছিল। যাকে নিয়ে শত পাতা লেখা যায় তিনিই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আল্লাহ তাকে মাফ করুন, ভালো রাখুন। স্বজনদের এই শোক সইবার শক্তি দিন।

রাস্তাঘাটে যানজটে মানুষ পেরেশান দিশাহারা। রাজনৈতিকভাবে একেবারে ম্রিয়মাণ, কোনো উৎসাহ নেই, কোনো আশার আলোর দেখা নেই। যদিও এবার নৌপথ-সড়ক পথ মোটামুটি ভালো। ৫-৬ দিন আগে আমি টাঙ্গাইল গিয়েছিলাম। বহুদিন পর দুই ঘণ্টা লেগেছে। গত পরশু ২৭ রমজান আমার স্ত্রী ছেলে-মেয়ে টাঙ্গাইল এসেছে। তারা প্রায় ১২ বছর পর পৌনে দুই ঘণ্টায় টাঙ্গাইল এসে এক দুর্লভ রেকর্ড করেছে। যেখানে কুমিল্লা যেতে ৭-৮ ঘণ্টা লাগত, সেখানে পৌনে ২ ঘণ্টায় লোকজন কুমিল্লা যাচ্ছে। গত ঈদে আমার ছেলেমেয়ে ঢাকা থেকে ৫ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল পৌঁছেছিল। সেদিক থেকে প্রচুর উন্নতি হয়েছে। এটা বজায় থাকলে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। দেখা যাক কতদিন এই অবস্থা থাকে বা চলে। রেল যাত্রায় বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের ছোটভাই মো. নুরুল ইসলাম সুজন নতুন রেলমন্ত্রী হয়ে দিনাজপুরে সরাসরি ট্রেন চালু করেছে-এটা খুবই আশার কথা। কিন্তু ঈদযাত্রায় যাত্রীরা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে সে জন্য সে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এটা খুবই ভালো কথা। সুজনের বড় ভাই অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ছিলেন আমার খুবই প্রিয়। এত উচিত বক্তা খুব পাওয়া যায় না। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে দিনাজপুরের মকসুদের অনুরোধে ছাত্রলীগের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। সে ছিল এক অসাধারণ সম্মেলন। না হলেও ৭-৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী র‌্যালিতে অংশ নিয়েছিল। এখন ৭-৮শ ছাত্র-ছাত্রী হলে অভাবনীয় ব্যাপার। সেই থেকে দিনাজপুরের সঙ্গে আমাদের এক নাড়ির সম্পর্ক। সুজনের বড় ভাই অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সে সম্মেলনে মারাত্মক বক্তৃতা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী, আপনাকে বঙ্গবন্ধু খুবই ভালোবাসেন, গুরুত্ব দেন। গিয়ে বলবেন, পশ্চিমারা, আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, বঞ্চিত করেছে। যার জন্য আমরা প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করেছি, আমরাও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। আমাদের বঞ্চিত করলে পরিণতি ভালো হবে না। আমরা যাতে জাতীয় উন্নয়নে সঠিক হিস্যা পাই সেটা দেখবেন।’ কতখানি বুকের পাটা থাকলে ওরকম সময় ওরকমভাবে কোনো অঞ্চলের সুখ-সুবিধার দাবি-দাওয়া নিয়ে ওভাবে বলা যায়। সে যাত্রায় দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় কোনো জায়গা বাদ ছিল না যেখানে যাইনি। প্রায় ১৩-১৪ দিন ছিলাম। সেই থেকে বৃহত্তর দিনাজপুরকে বড় ভালোবাসতে শুরু করেছি, এখনো সে ভালোবাসা অটুট আছে। সেই দিনাজপুরের জন্য সরাসরি ট্রেন এটা সত্যিই সাধুবাদ পাওয়ার মতো কাজ। সে জন্য অবশ্য অবশ্যই রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এক লাইনের রেলপথ, সেখানে সময় ঠিক থাকবে কী করে? একসঙ্গে অন্তত দুটো করে রেলপথ করলে খরচ বড়জোর আরও অর্ধেক লাগত। তা করা হয়নি। এখন দ্বিগুণ খরচ করে আবার করতে হবে। এখনকার দিনে এক লাইনের রেলপথ কোনো কাজের কথা নয়। তাতে কোনো গাড়িই ঠিকমতো চলতে পারে না। সে জন্যই নতুন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের কিছুই করার নেই। তবে এখন পর্যন্ত সড়ক পথে তেমন বিপর্যয় ঘটেনি। দেখা যাক পরে কতটা কী হয়।

গত মাসে চোখে অস্ত্রোপচার করেছি। ডাক্তার বলেছিলেন, মাথা নিচু করা যাবে না। খেয়াল না করে চেয়ারে বসে অনেকটা মাথা নিচু করে সেজদা দিয়ে নামাজ পড়েছিলাম। পরের দিনই হাতে হাতে ফল পেয়েছি। অস্ত্রোপচারে যে কষ্ট হয়েছে তার দশগুণ হয়েছে মাথা নিচু করার জন্য। ৪-৫ দিন মনে হচ্ছিল চোখ বেরিয়ে যাবে, মাথা ছিঁড়ে যাবে, কপাল ফাটার মতো অবস্থা। এর এক দিন না দুই দিন পর আমার ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল কদ্দুসের সঙ্গে দেখা। তাকে ব্যাপারটা বলতেই বলল, ‘চেয়ারে বসে কেন, বিছানায় শুয়েও নামাজ পড়তে পারেন। শুধু ইশারায় নামাজ পড়তে পারেন। নামাজের ওয়াক্তে আল্লাহকে মনে করে শুধু নামাজের কায়দা-কানুনগুলো পালনের চেষ্টা করলেই হলো। ভালো বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি আপনজনরা যেমন সন্তানকে আদরযত্ন করে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তারচেয়ে লাখ কোটি গুণ বেশি করে। কেউ জানে না আল্লাহ কাকে বেশি পছন্দ করেন। অনেক দাদা-দাদি, বাবা-মা দুষ্টু ছেলেমেয়ের কথা বেশি চিন্তা করে। আল্লাহও তাঁর বান্দাকে মাফ করার জন্য সুযোগ খোঁজেন, অন্যায় করে কোনো বান্দা কখন তার কাছে মাফ চাইবে।’ বড় ভালো লেগেছে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টার উপদেশ। মনে হয় ২৫-৩০ বছরে এই প্রথম তারাবি নামাজে অংশ নিতে পারিনি। কদ্দুসের সঙ্গে আলোচনার আগ পর্যন্ত মনের মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা খচখচ করছিল। কদ্দুসের সঙ্গে কথা বলে বড় হালকা হয়েছি। আর কোনো শঙ্কা নেই চিন্তা নেই। কিন্তু খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছি না। দেশে খুব একটা শান্তির বাতাস বইছে না। সমাজের অর্ধেক নারী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জয়ের প্রধান কারণ মা-বোনের ওপর হানাদার পাকিস্তানিদের অবর্ণনীয় অত্যাচার, তাদের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্ট করা। এত রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে আজও মেয়েদের সম্মান আমার সন্তানদের সম্মান রক্ষা করতে পারছি না। শিশুদের ধর্ষণের খবর পড়ে বা জেনে স্থির থাকা যায় না। কী অভাবনীয় পশু শক্তির উদ্ভব। পরাজিত পাকিস্তানিরা চলে গেছে। কিন্তু পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা কি তাহলে এখনো আমার মাটি ছাড়েনি? তা না হলে এমন হবে কেন? ২-৪-৫শ বছরের ইতিহাস দেখলে আমাদের এই ভূখ-ে মেয়েদের তো এমন নিরাপত্তার অভাব ছিল না। কোথায় এর সমাধান? পথ খুঁজে বের করতে হবে। সে দিন সদরঘাটে এক শৌচাগারে দুই বাচ্চার লাশ পাওয়া গেছে। একটা ৪-৫ বছরের, অন্যটা ১০ বছর। তারা বাবার কাছে বায়না ধরেছিল। বাচ্চাদের বায়না পূরণের ক্ষমতা বাবার ছিল না। অসহায় বাবা তার কলিজার টুকরা দুটি সন্তানকে গলাটিপে হত্যা করে থানায় স্বীকার করেছে। এ কিসের ইঙ্গিত? একদিকে কারও কারও হাজার হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে ছোট্ট বাচ্চা জামা-কাপড় চাইলে, এটা ওটা খাওয়ার বায়না ধরলে বাবা তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে প্রিয় সন্তানকে গলাটিপে হত্যা করে। তারপরও বলব, আমাদের আর্থিক উন্নয়ন হয়েছে, আমাদের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। এক শ্রেণি টাকার পাহাড় গড়ছে, আরেক শ্রেণি দরিদ্র হতে হতে নিঃসম্বল হয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা। বঙ্গবন্ধু এক সময় বলেছিলেন, ‘আমার অবস্থা চিলির আলেন্দের মতো হলেও আমি শোষিত-নির্যাতিতদের পক্ষে।’ ছিলেনও তাই। তাই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু কী ব্যাপার! শুধু সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান কিনলে সাধারণ কৃষকের মুখে হাসির ফোয়ারা ছুটত। কী বাজিকরের খেলা, সরকারি ২৬ টাকা দরে ধান কিনলে প্রতি মণ বা ৪০ কেজি ধানের দাম হয় ১০৪০ টাকা। ১০৪০ টাকা পেলে কৃষকের ঘরে হাসি ফুটত, বউয়ের নতুন শাড়ি হতো, মেয়ের বিয়েতে ৫০ জন অতিথি বেশি দাওয়াত পেত। কিন্তু না, সরকার মিল-মালিকদের কাছ থেকে ১০৪০ টাকায় ধান কিনবে আর মিল মালিকরা কিনবে ৫০০ টাকায়। এ কি ভানুমতির খেল। কদিন ধরে ডিসি সাহেবরা কোনো কোনো জায়গায় ধান কিনেছেন। সেখানে পরিমাণ বেঁধে দেওয়া। কারও ধান হয়েছে ২০০ মণ। তার কাছ থেকে কিনেছে ২০০ কেজি। ওটাই নাকি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া। অথচ মিলারদের কাছ থেকে কেনার সময় দাম দরের বা পরিমাণের রাগ-ঢাক নেই। এটা কী করে সম্ভব! ১৫-২০ লাখ টন ধান কিনলে সাধারণ কৃষকের কোনো কষ্ট হতো না। খেতের ধান কেটে যে কৃষকের শ্রমিকের মজুরি দিতে হয় তার কোনো কষ্ট হতো না। কেন যে সরকার এসব খেয়াল করে না ঠিক বুঝতে পারি না। সরকারের তো আর কোনো মিল মালিকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব থাকার কথা নয়, আছে বলে মনেও হয় না। কিন্তু স্বার্থান্বেষী অন্য অনেকের তা যে আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

মমতাজউদদীন আহমদ ছিলেন নাট্যকার, অভিনেতা। আমার তো কোনো পরিচয়ই নেই। রাজনীতি করি, সব সময় মানুষের কাছে ছুটে যাই। মানুষ মানুষ করেই দিন কাটাই। কিন্তু মানুষের কোনো কাজে লাগলাম না। আর যে কখনো লাগতে পারব তা জোর দিয়ে বলতে পারি না। গত নির্বাচনের আগে আমরা জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম। নির্বাচন এবং নির্বাচন-উত্তর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নিষ্ক্রিয়তা ব্যর্থতা নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কিছু প্রশ্ন ছিল। সেই নিয়ে তেমন কিছুই হয়নি। কেন যেন দুই দিন থেকে প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন কথা বলতে চাচ্ছেন। ৪-৫ দিন আগে টাঙ্গাইল এসেছি। বয়স হয়েছে দীর্ঘ পথ গাড়িতে ভালো লাগে না। তারপরও টাঙ্গাইল থেকে তার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। আল্লাহ চাহে ফিরে গিয়ে টাঙ্গাইলে ইফতার করব। জনগণের সেবক হিসেবে যতক্ষণ বেঁচে আছি যত কষ্টই হোক মানুষের পাহারাদার হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করব। প্রবীণ নেতা যদি জাসদ প্রধান আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আজকের আলোচনায় ডেকে থাকেন তাহলে ভালো করবেন। একদিন আগে লিখছি বলে নিশ্চিত বলতে পারছি না তাদের ডেকেছেন কিনা। তবে আমরা পাহারা দিতে চাই, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আল্লাহ পাক সবাইকে ভালোভাবে ঈদ করার তৌফিক দিন-আমিন।

লেখক : রাজনীতিবিদ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর