সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জলজটের আশঙ্কা

কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রত্যাশিত

বর্ষা মৌসুমে এবারও জলজটের ভোগান্তিতে ভুগবে নগরবাসী এমনটিই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে নগরজুড়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মহোৎসবে। শুষ্ক মৌসুমের কাজ বর্ষা মৌসুমেও চলমান থাকায় জলজটের ভোগান্তি আগের বছরগুলোর চেয়ে বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজের কারণে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক, শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, পল্টন থেকে মতিঝিল, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট এবং রোকেয়া সরণিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। গত বছরের তুলনায় এবার আরও বেশি রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। মূল সড়কগুলোর অধিকাংশেই চলছে নির্মাণ কাজ। হালকা বৃষ্টিতেই কাদায় সয়লাব হচ্ছে এসব সড়ক। রাস্তার অধিকাংশ নির্মাণ কাজের জন্য ঘিরে রাখায় তীব্র যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলেই এসব ভাঙা রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের পাশাপাশি জলজট। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় বেড়ে গেছে বৃষ্টির পরিমাণ। শুধু মূল সড়ক নয়, এখনো চলছে ড্রেন ও গলিপথ নির্মাণেরও কাজ। বাংলামোটর, মিরপুর, বাড্ডা এলাকায় অলিগলিতে অনেক রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই এসব রাস্তায় পানি জমে তৈরি হচ্ছে জলজট। বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব থেকে সার্কিট হাউস মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সেগুনবাগিচা এলাকায় খুঁড়ে রাখা হয়েছে অনেক সড়ক। মৌচাক থেকে মনোয়ারা হাসপাতাল পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরীর অনেক জায়গা সংস্কারের জন্য খুঁড়ে রাখা হয়েছে। খোঁড়াখুঁড়ির এই তালিকা এতই দীর্ঘ যে তা বর্ষা মৌসুমে বাড়তি ঝামেলার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। রাজধানীতে বরাবর বর্ষা মৌসুমের আগে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা হতো। কিন্তু এখন তার বদলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো নতুন প্রকল্প নিয়েই বেশি ব্যস্ত। ফলে বর্ষা মৌসুম চলে আসা সত্ত্বেও অনেক এলাকার ড্রেন পরিষ্কার করা হয়নি। ড্রেনগুলোতে ময়লা জমে থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি অপসারণে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চলতি বছর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। সেটি হলে জলজটে ভয়াবহ ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে নগরবাসীকে। গত বছর মেগা প্রকল্পের কারণে মিরপুরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এ বছরও পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জল নিষ্কাশনের খাল ও নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুনজরই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর