মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নিশ্চিত হোক নিরাপদ পণ্য

আদালতের আশাজাগানিয়া নির্দেশনা

ক্রেতা অধিকার ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে হাই কোর্ট। গত রবিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ সম্পর্কে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। হাই কোর্ট পণ্যের মান ঠিক রাখতে বছরজুড়ে বিএসটিআইকে নিয়মিত ল্যাব পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলেছে, ল্যাব পরীক্ষার আগে লেনদেন হয় এমন অভিযোগ পেলে দুদকে নয়, সংশ্লিষ্টদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভেজাল খাদ্যপণ্য ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রাখার বিষয়ে ভোক্তারা যাতে যে কোনো সময় অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য দুই মাসের মধ্যে হটলাইন সার্ভিস চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই হটলাইন চালুর আগ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে ভোক্তারা যাতে ছুটির দিনসহ ২৪ ঘণ্টাই অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ১৯ আগস্ট এ আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত ভেজাল ও মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আদেশ অমান্য করার দায়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করলে তিনি হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। আদালত বলে, টেস্ট রিপোর্ট দেখে মনে হয় বাজারে কোনো পণ্যই পিওর নেই। অথচ সরকারি সংস্থাগুলো আইন প্রয়োগ করছে না। আদালত স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানেই ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানেই অভিযান চালানোর ক্ষমতা রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের। এমনকি টিকিটের মূল্য বা আইনজীবীর মক্কেলের কাছ থেকে বেশি ফিস নিলে তাও তাদের দেখার সুযোগ রয়েছে। আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে উপজেলা পর্যায়েও ভেজাল ও মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দেয়। ভেজাল ও মানহীন পণ্যের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা এবং ক্রেতা অধিকার সংরক্ষণে আদালতের নির্দেশনাগুলো মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবিদার। আমরা আশা করব, আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ক্রেতা অধিকার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙাতে অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর