মানুষ নিজের ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় অপরাধ করে। গুনাহের কাজে জড়িত হয়। এটি মানুষের একটি প্রবণতা। কিন্তু মানুষ যখন তার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তখন আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন। ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি সৃষ্টজীবের আনুগত্যের প্রকাশ ঘটে।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্ত রেখেছিলেন। তার পরও তিনি আল্লাহ কাছে দিনে ৭০ বারের বেশি ক্ষমা চাইতেন ও তওবা করতেন।

আয়েশা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন বান্দা গুনাহ স্বীকার করে এবং অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ক্ষমা চায়, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।’ বুখারি, মুসলিম, মিশকাত।

হজরত আবু মুসা আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা রাতে নিজের হাত প্রসারিত করেন; যাতে দিনের গুনাহগার যারা তারা তওবা করে, আবার দিনের বেলায় হাত প্রসারিত করেন যাতে রাতের গুনাহগার ব্যক্তিরা তওবা করে। এভাবে তিনি ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকবেন পশ্চিম দিকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত।’ মুসলিম, মিশকাত।

এ হাদিস দ্বারা বোঝা গেল, কিয়ামতের আগ পর্যন্ত যে কোনো অপরাধী দিনে ও রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে সে নিশ্চিত ক্ষমা পাবে। কারণ আল্লাহ ক্ষমার হাত প্রসারিত করে রেখেছেন।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ প্রতি রাতের তিন ভাগের শেষ ভাগে (এক তৃতীয়াংশ) বাকি থাকতে প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন কে আমাকে ডাকে। আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে তা দেব। কে আমার কাছে ক্ষমা চায়, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ বুখারি, মুসলিম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর কাছে প্রতিনিয়ত ক্ষমা চাওয়ার তাওফিক দান করুন।

                লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।