শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

হালাল খাদ্য ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত

শাহ মাহমুদ হাসান

হালাল খাদ্য ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত

হালাল পথে জীবিকা উপার্জন এবং হালাল পথেই তা ব্যয় করার জন্য ইসলাম জোর তাগিদ দিয়েছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন কোনো মানুষ নিজের স্থান থেকে একবিন্দুও সরতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হবে। ১. সে তার জীবন কীভাবে অতিবাহিত করেছে? ২. তার জ্ঞান কী কাজে ব্যবহার করেছে? ৩. তার ধনসম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে? আর ৪. তার যৌবনকে কীভাবে কাটিয়েছে।’ তিরমিজি। সুতরাং সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানি, জুয়া, চাঁদাবাজি, জবর-দখল, যৌতুক, প্রতারণা ইত্যাদি অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা যাবে না। অবৈধ পন্থায় উপার্জন করার ব্যাপারে আল্লাহর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনেশুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে পেশ কোরো না।’ সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৮। হালাল খাদ্য গ্রহণ ছাড়া আল্লাহ বান্দার কোনো আমল ও দোয়া কবুল করেন না। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ পবিত্র, তিনি একমাত্র পবিত্র বস্তুকেই কবুল করেন। আল্লাহ রসুলদের যে আদেশ করেছেন, মুমিনদেরও সেই আদেশ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, হে রসুলগণ! তোমরা হালাল পবিত্র খাদ্য ভক্ষণ কর এবং সৎ আমল কর। তিনি আরও বলেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা আমার দেওয়া হালাল পবিত্র রিজিক হতে খাও। অতঃপর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেন, কোনো ব্যক্তি দূরদূরান্তে সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি লেগে আছে। এ অবস্থায় ওই ব্যক্তি উভয় হাত আসমানের দিকে তুলে কাতর স্বরে হে প্রভু! হে প্রভু! বলে ডাকছে। অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং সে হারামই খেয়ে থাকে। এই ব্যক্তির দোয়া কীভাবে কবুল হবে! মুসলিম।

সর্বশেষ খবর