শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

বৃক্ষরোপণ অভিযান

শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করুন

বাংলাদেশকে বলা হতো সবুজ নিসর্গের দেশ। সে পরিচিতি ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে আমাদের ভুলে। দেশের নগরগুলো থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল সবুজের চিহ্ন। আশার কথা, সাম্প্রতিককালে গাছপালার প্রতি সবার বাড়তি মনোযোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃক্ষরোপণ ও বনায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের সিটি করপোরেশনগুলো সবুজনগরী গড়ে তোলার দিকে নজর দিচ্ছে। গাছ বা সবুজ প্রকৃতি আমাদের জীবন সুরক্ষায় অবদান রাখে। বিশ্ব আজ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। এ বিপদ সৃষ্টি হয়েছে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে। নির্মমভাবে গাছপালা নিধন এ সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী। প্রতিটি দেশের ২৫ শতাংশ জমিতে বনাঞ্চল থাকা উচিত। এক সময়ের সবুজ দেশ বাংলাদেশে বনাঞ্চল অনেক কম। বনায়নের মাধ্যমে এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হবে। এ প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নাগরিকদের প্রত্যেককে কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে সন্তানদেরও এই পরিবেশবাদী কাজ শেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষার তাগিদ দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প গ্রহণকালে প্রাকৃতিক জলাধার সৃষ্টি ও তা সংরক্ষণ এবং অধিকহারে বৃক্ষরোপণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৯ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে আরও বলেছেন, আমাদের মোট ভূমির ২০ ভাগ বনায়ন করতে হবে। এ ছাড়া যে বনগুলো আছে তা রক্ষা করতে হবে। নদী ড্রেজিং, নদী প্রবহমান রাখতে হবে। বিভিন্ন দ্বীপে প্রচুর বৃক্ষরোপণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের কর্মস্থল এবং বাসস্থানে গাছ লাগানোর যে পরামর্শ দিয়েছেন তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যাকে দেশবাসীর অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যাতে গাছ রোপণ এবং সুরক্ষায় মনোযোগী হয় সে ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে। সামাজিকভাবেও বৃক্ষরোপণে উৎসাহ জোগানোর কথা ভাবা যেতে পারে।  দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিলে বৃক্ষরোপণে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর