রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

আউটসোর্সিং আয়

সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিতে সামনের কাতারের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বাংলাদেশ। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী অনলাইন শ্রমশক্তির সবচেয়ে বড় দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ভারত, গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কারদের শতকরা ২৪ শতাংশই ভারতীয়। দ্বিতীয় স্থানে অর্থাৎ অনলাইন শ্রমশক্তির ১৬ শতাংশের অধিকারী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরের স্থান যুক্তরাষ্ট্রের। বাংলাদেশে অনলাইনে নিয়মিত কাজ করছে ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার। আর মোট নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী প্রতি বছর ফ্রিল্যান্সররা ১০ কোটি ডলার আয় করেন। একেক দেশ একেক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এ পেশা নিয়ে কাজ করছে। যেমন ভারতীয় ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা মূলত সেলস ও মার্কেটিং সেবায় পারদর্শী। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪ কোটি ৪০ লাখ তরুণের প্রতি ১০ জনের একজন বেকার। প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয় পেরোনো হাজার হাজার শিক্ষার্থী মনের মতো চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে থাকায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে খুব সহজেই আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এতে তারা শুধু নিজের জীবিকাই নিশ্চিত করবে না, বরং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অনতে সমর্থ হবে। অনলাইনে আউটসোর্সিং আয়ের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা গর্বের বিষয়। বাংলাদেশ ভারতের এক অষ্টমাংশ জনসংখ্যার অধিকারী দেশ হলেও ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের মাত্র দেড় গুণ। আউটসোর্সিং কাজে বৈচিত্র্য আনা গেলে তা লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিকশিত করবে ডিজিটাল অর্থনীতিকে। এজন্য উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক সংযোগ ও ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করতে হবে। আউটসোর্সিং আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও যুবসমাজের বড় অংশই এ খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত নয়। এ ব্যাপারেও তৎপর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর