বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

হজ মহান প্রভুর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ

মুফতি জাকারিয়া হারুন

হজ পালন মহান প্রভুর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহ হজ আদায়ে মহাপুণ্যের ঘোষণা দিয়েছেন। কাক্সিক্ষত জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর মহান আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।’ সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৯৭।

হজ আদায় সর্বোত্তম আমল। এ মর্মে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বাধিক উত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের ওপর ইমান আনা। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, হজে মাবরুর বা মকবুল হজ।’ বুখারি।

হজ আদায়ের জন্য বের হয়ে মারা গেলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর সে কিয়ামত অবধি হজের সওয়াব লাভ করবে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ, ওমরাহ অথবা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়, অতঃপর পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়ে যায়, আল্লাহ তাকে গাজী (যোদ্ধা), হাজী ও ওমরাহকারীর সওয়াব দান করবেন।’ মিশকাত।

হজ মানুষকে পূতপবিত্র করে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হজ সম্পন্ন করে, সে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরে আসে।’ বুখারি।

হাজীরা আল্লাহর মেহমান। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং হজ ও ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। তারা আল্লাহর কাছে যা চাইছে আল্লাহ তা-ই তাদের দিয়ে দিচ্ছেন।’ ইবনে মাজাহ।

হজ জিহাদতুল্য ইবাদাত। হাসান ইবনু আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে আরজ করল, আমি একজন ভীতু ও দুর্বল ব্যক্তি। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি এমন একটি জিহাদে চল যা কণ্টকাকীর্ণ নয় অর্থাৎ হজ পালন করতে চল।’ তাবারানি।

লেখক : মুহাদ্দিস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, গাজীপুর।

সর্বশেষ খবর