বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকার সিটি নির্বাচন

সব পক্ষের অংশগ্রহণ কাম্য

ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই সিটির দুই মেয়র ওই বছর ৬ মে শপথ গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী আগামী বছরের মে মাসে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হবে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে ভোট করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২০-২০২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড চায়, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালনে ঢাকার দুই সিটি ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত থাকুক। এ জন্য ডিসেম্বর মাসকেই ভোটের জন্য উপযুক্ত সময় মনে করা হচ্ছে। কারণ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি, ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। অন্যদিকে মার্চে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর ব্যাপক কর্মসূচি থাকবে। মে মাস থেকে শুরু হবে রমজান। সে কারণেই ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। ঢাকার দুই সিটির জনসংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি। দেশের রাজধানীই শুধু নয়Ñ অর্থনীতিরও এটি প্রাণকেন্দ্র। ঢাকা মহানগরীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ভেঙে দুটি সিটি করপোরেশনে পরিণত করা হয়। পরবর্তীতে দুই সিটি করপোরেশনের আয়তনও বেড়েছে। ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনের পর দুই সিটি করপোরেশনেই দৃষ্টিগ্রাহ্য উন্নয়ন কাজ হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক নগরবাসীর মনে সুন্দর নগরী গড়ার স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। সুন্দর নগরী গড়তে দুই সিটির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও শুরু হয়েছিল। উন্নয়নের কাজে দুই মেয়র একে অপরের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন। আশা করা যায় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনেও দুই সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন ইস্যু প্রধান্য পাবে। ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যোগ্য প্রার্থীদের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন করা হবে। আমরা আশা করব দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর