সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

নিউক্লিয়াসের নামগন্ধ আমার জানা ছিল না

নূরে আলম সিদ্দিকী

নিউক্লিয়াসের নামগন্ধ আমার জানা ছিল না

সম্প্রতি ছাত্রলীগের ৬০ দশকের তিন প্রভাবশালী তারকা ছাত্রনেতার বিতর্ক সংবাদপত্রে পড়লাম। জনাব আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ ছাত্রলীগের তৎকালীন সময়ের বামধারার রাজনীতির ‘নিউক্লিয়াস’ গঠনের দাবির কঠোর বিরোধিতা করেছেন। ছাত্রলীগের গণতান্ত্রিক মতাদর্শে বিস্বাসী একজন কর্মী হিসেবে তখনকার রোমান্টিক বিপ্লবীদের রাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আমাকে রাজনীতি করতে হয়েছে। এখন ভাবলে শিউরে উঠি, সেকি দুরূহ, দুষ্কর ও দুঃসাধ্য কর্মযজ্ঞ ছিল তখনকার ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে রোমান্টিক উচ্চাভিলাষী তথাকথিত বাম বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা। শুধু ছাত্রলীগ কেন? বাংলাদেশ এবং সমগ্র বিশ্বে তারুণ্যের মধ্যে তখন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রচন্ড উচ্ছ্বাস উন্মাদনা মারাত্মকভাবে কাজ করছিল। বিশ্বের রাজনীতিতে তারুণ্যের মধ্যে রেজিস দেব্রের মতবাদ প্রচন্ড ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। লেনিন, স্ট্যালিন, টটস্কি, মাও সে তুং- এসব সমাজতান্ত্রিক কর্ণধারদের তো বটেই, এমনকি ফিদেল ক্যাস্ট্রো ও চে গুয়েভারার মতবাদকে উড়িয়ে দিয়ে রেজিস দেব্রে নতুন তত্ত্ব এনেছিলেন- সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব কোনো সীমানার মধ্যে থেমে থাকতে পারে না। সমুদ্রের বক্ষে উচ্ছ্বসিত তরঙ্গমালার মতো একটি ঢেউ ভেঙে যেমন আরেকটি ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব একটির সফলতার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি বিপ্লব অনিবার্য হয়ে পড়ে। বিপ্লবের শেষ বলে কোনো কথা নেই, দেশ বলেও কোনো কথা নেই। বিপ্লবের সাফল্যও স্থায়ী নয়। তার কার্যকারিতাও অনন্ত। সেই রেজিস দেব্রের এদেশীয় সাগরেদরা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে তখন আবেগ-উচ্ছ্বাসের তুঙ্গে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখে বা তার বিশাল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে এদেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটানোর দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলেন স্বাধীনতার পূর্ব ও পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের তথাকথিত বিপ্লবীরা।

বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের সঙ্গে বিশাল মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা উভয় গ্রুপই নিজ নিজ আঙ্গিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। শুধু কোন পথে স্বাধীনতা অর্জিত হবে, সেই প্রশ্নে আমাদের মধ্যে প্রচন্ড  মতপার্থক্য ছিল। তারা নির্বাচনের আগে প্রতিটি সভাতেই গগনবিদারী স্লোগান দিতেন, ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘নির্বাচন নির্বাচন, বর্জন বর্জন’, ‘মুক্তির একই পথ, সশস্ত্র বিপ্লব’, ‘ভোটের কথা বলে যারা, ইয়াহিয়া খানের দালাল তারা’। তাই কথা হলো, স্বাধীনতার আগে থেকেই একটা বিশাল মতপার্থক্যের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ এগিয়ে গেছে এবং এই মতপার্থক্যের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা অর্জনের পরও দুটি মত- বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের এবং গণতান্ত্রিক ধারা, যেটি মুজিববাদী ধারা হিসেবে তখন প্রচলিত ছিল। আত্মপ্রচারের লক্ষ্যে নয়, আত্মপরিতৃপ্তির জন্যও নয়, নতুন প্রজন্মের কাছে তৎকালীন বাস্তব অবস্থাটাকে তুলে ধরার খাতিরে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমার বক্তৃতা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীরাও বিমুগ্ধ চিত্তে শ্রবণ করতেন এবং বিমোহিত হৃদয়ে তার প্রশংসাও করতেন। তাই আমাকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের দলে ভেড়ানোর জন্য সিরাজ ভাই প্রচন্ডভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। যদিও আমার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রাক্কালে তিনি ও তার অনুসারীরা প্রচন্ড ভাবে বিরোধিতা করেছিলেন। শুধু আল্লাহর রহমত ও মুজিব ভাইর শর্তহীন ও অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল বলেই ছাত্রলীগ কাউন্সিলরদের স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি।

আমি সভাপতি হলেও ৬৭ জনের সেই কমিটিতে আমার সমর্থক, অর্থাৎ- গণতান্ত্রিক ধারার মাত্র ১৩ জন নেতাকে স্থান দেওয়া হয়েছিল। এই অবিশ্বাস্য অবমূল্যায়নকে আমি কোনোভাবেই মেনে নিতাম না। কিন্তু আমি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি পরিস্থিতির শিকার হয়ে। আমি ইকবাল হল ক্যাফেটেরিয়ায় বসে ছিলাম। হঠাৎ তোফায়েল সাহেব এসে বললেন- চলেন সিদ্দিকী সাহেব, একটু চা খেয়ে আসি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাবেন? তিনি স্বভাবসুলভ হেসে বললেন, ইকবাল হল চত্বরের বাইরে কোথাও উন্মুক্ত ঝরঝরে পরিবেশে। গাড়িতে উঠে বসতে না বসতেই গাড়ি প্রচন্ড বেগে ধেয়ে ৩২ নম্বরের বাড়ির ফটকের কাছে গিয়ে থামল। আমি কৌতূহলী দৃষ্টিতে তোফায়েল সাহেবের দিকে তাকালে তিনি বললেন, নেতা আমাদের দুজনের সঙ্গে একটু বসতে চেয়েছেন। তখন আমার এড়িয়ে চলে আসা মানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সরাসরি মতের সংঘর্ষে চলে যাওয়া। যেটি আমার কাছে শুধু অভাবনীয়ই ছিল না, ছাত্রলীগের সভাপতি বা কমিটি তো দূরে থাক, পৃথিবীর কোনোকিছুর বিনিময়ে নেতার বিরুদ্ধে স্ট্যান্ড নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অনেক রাজনৈতিক অবহেলা, উপেক্ষা, অবিচার- প্রাপ্যটুকু না পাওয়ার বেদনার নির্মম যন্ত্রণা সহ্য করেছি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি শর্তহীন আনুগত্য ও উদগ্র ভালোবাসার কারণে কখনো কোনো বিকল্প স্ট্যান্ড নিতে পারিনি। আজও রাজনীতিতে নীরব নিস্তব্ধ হয়ে গেছি সর্বজনবিদিত কারণে। তবুও মরহুম জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সাহেবের আমলে অনেক লোভ-প্রলোভনের হাতছানিকে সজ্ঞানে উপেক্ষা করতে পেরেছি। কোনো লোভ-প্রলোভন যেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, ঠিক তেমনি নির্যাতন-নিগ্রহের কোনো ভ্রুকুটি আমার বিশ্বাস ও চেতনাকে কখনোই নিষ্প্রভ করতে পারেনি। তাই বাকশালের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও ১৫ আগস্টের নির্মম ও মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের নায়করা আমাকে কারাগারের বাইরে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিল। সে যাই হোক, ১৯ মাস অবরুদ্ধ জীবন কাটানোর পর আদালতের মাধ্যমে আমি কারামুক্তি লাভ করেছিলাম।

এতদ্সত্ত্বেও নীতির প্রশ্নে নেতাকে বিরোধিতা করেছি। আবার ১৫ আগস্টের পর নেই নেতার প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসাকে ছাড়তে পারিনি বলেই আবারও কারা-নির্যাতন ভোগ করেছি। অথচ শ্রেণি-সংগ্রামের চেতনাধারী তৎকালীন সময়ে আমার বিপ্লবী বন্ধুরা পরবর্তীতে এত পল্টি খেয়েছেন যে, দু-দুটি সামরিক জান্তার সযত্ন লালিত্য গ্রহণ করতে এতটুকু কুণ্ঠাবোধ করেননি। ক্ষমতার অংশ নিয়েছেন, নানা সুযোগ-সুবিধা আস্বাদন করেছেন। জেনারেল জিয়া সিরাজুল আলম খান, কর্নেল তাহেরসহ জাসদ নেতৃত্বকে বিশ্বাস করতেন না। বরং অবদমিত করার সব প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এখানে আমি এসব ঘটনার অবতারণা করছি জনাব সিরাজুল আলম খানের রাজনীতি কত বিভ্রান্তিকর ছিল, সেটিকেই তুলে ধরার জন্য। জনাব সিরাজুল আলম খানেরই প্রশ্রয়ে গড়ে ওঠা গণবাহিনী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে তছনছ করে দিয়েছে। তারাই সিপাহি বিপ্লবের নামে কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলাকেও ক্ষণিকের জন্য হলেও পর্যুদস্ত করেছিল। ৭ নভেম্বরে আমি ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ ছিলাম। সিপাহি বিপ্লবের নামে সেই নারকীয় বীভৎসতা আমি স্বচক্ষে অবলোকন করেছি। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আজও আমি আল্লাহর কাছে শোকরানা আদায় করি।

এদেশে যত রক্তক্ষরণ, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বিভীষিকার নৃত্যবিলাস, তার প্রায় সবটুকুরই উপাদান যুগিয়েছে ভ্রান্ত বাম ও তথাকথিত বিপ্লবীদের অসাড়, অনৈতিক ও অপরিপক্ব বৈপ্লবিক চেতনার অপরিণামদর্শী কর্মকান্ড । বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব অপরিণামদর্শী কর্মকান্ডের এ দেশের অন্যতম কর্ণধার সিরাজুল আলম খান, সিরাজ শিকদার, কর্নেল তাহের, হক, তোহা প্রমুখরা। আমি আশ্চর্যান্বিত হই তখনই, যখন অবলোকন করি, এ বিপ্লবীরা যখন চরম ডানপন্থিদের পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করেন অবলীলাক্রমে। তাই তারা তাদের চেতনায়ও শুচিশুদ্ধ থাকতে পারেন না।

সিরাজ ভাই (সিরাজুল আলম খান) আমার অগ্রজ। প্রচন্ড মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তিনি আমার নেতা, পূর্বসূরি এবং আমার কাছে তিনি তার নিজস্ব মহিমায় উজ্জ্বল। আমি কোনোদিনই তার অনুসারী ছিলাম না। বরং তার মনন ও রাজনৈতিক চিন্তার ঘোরতর বিরোধী ছিলাম। তিনিও এটা জানেন। তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগে আমি সভাপতি হওয়ার প্রশ্নে তার বিরোধিতা প্রকট ও নিরলস ছিল। মতপার্থক্যের গভীরতা কেমন ব্যাপক ছিল, তা আমাদের সময়ের ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী অবগত। তারপরও তাকে আমার প্রচন্ড  শ্রদ্ধা করার কারণ, তিনি অসাধারণ সংগঠক ও অকল্পনীয় পরিশ্রমী ছিলেন। ছাত্রলীগের সার্বিক প্রশ্নে তিনি আপসহীন ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা অভিন্ন মত পোষণ করলেও তার পথ এবং প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট তফাত ও পার্থক্য ছিল। সিরাজ ভাই একজন সমাজতন্ত্রী এবং বাঙালি জাতীয় চেতনায় বিশ্বাসী সত্তা। আমি আগাগোড়াই বিশ্বাস করি একজন কম্যুনিস্ট কখনোই জাতীয়তাবাদী হতে পারে না। কারণ এঙ্গেলস এবং কার্ল মার্ক্স দাস ক্যাপিটাল গ্রন্থে সুস্পষ্ট উল্লেখ করেছেন-  A communist has no boundary, no geographical identity. তার মতে, প্রলেতারিয়েতের কোনো ভৌগোলিক বন্ধন নেই। তার পরিচয় একটাই- সে প্রলেতারিয়েত। প্যারিস, মস্কো বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রলেতারিয়েত অথবা চায়না, জার্মানি বা যুগোশ্লাভিয়ার প্রলেতারিয়েতের পরিচয় তার ভৌগোলিক সীমানা দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না।

এখন নিবন্ধের মূল কথায় ফিরে আসা যাক। যে নিউক্লিয়াস বিষয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের সৃষ্টি, সিরাজ ভাইর মতে সেই নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি ১৯৬২ সালে। নিউক্লিয়াসের নেতা হিসেবে সিরাজ ভাই দেখাতে চেয়েছেন রাজ্জাক ভাই ও কাজী আরেফকে। রাজ্জাক ভাই ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন না। আর কাজী আরেফ ব্যক্তিগতভাবে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তা সত্ত্বেও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার জন্য গোপন সংগঠন নিউক্লিয়াসের নেতৃত্বে থাকা কলেজের প্রথম বর্ষের একটি ছাত্রের পক্ষে অসম্ভব ও অবাস্তব। আমিও একসময় সভাপতি হিসেবে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলাম। স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার উদ্দেশে গঠিত নিউক্লিয়াসের নামগন্ধ আমার জানা ছিল না। সিরাজ ভাইকে আজও আমি সম্মান করি। তাই এ ধরনের আজগুবি গল্প রচনা ও এহেন অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য তার প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানাই। বরং আসুন এ নির্মল সত্যে আমরা অকৃত্রিমভাবে ঐক্যবদ্ধ হই, কোনো গোপন সংগঠন নয়, ছাত্রলীগ প্রান্তিক জনতাকে সঙ্গে নিয়ে একেকটি রাজনৈতিক সাফল্যের সোপান অতিক্রম করে আরেকটি আন্দোলনের সোপান তৈরির মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনে বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়। সেই সংগ্রামের ইতিহাসেও সিরাজ ভাইর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথপরিক্রমণে খন্ডিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুল্লেখ্য অনেক ঘটনাই ঘটে থাকতে পারে, হয়তো ঘটেছেও। কিন্তু ‘নিউক্লিয়াস’-এর মতো অনুল্লেখ্য ও কল্পনাপ্রসূত একটি ঘটনাকে সামনে দাঁড় করিয়ে স্বাধীনতার মূল সংগ্রামকে দিকভ্রষ্ট করার অপচেষ্টা সত্যিই অনভিপ্রেত।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

সর্বশেষ খবর