সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সচিবরা কাজ করেন, করেন না!

আরিফুর রহমান দোলন

সচিবরা কাজ করেন, করেন না!

নজিবুর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান থাকাকালে রাজস্ব আহরণে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। কাস্টমস, কর কর্মকর্তারা যেমন কথাটি মাঝে মধ্যেই বলেন, তেমনি ব্যবসায়ী ও অন্য পেশাজীবীরাও বিষয়টি একবাক্যে স্বীকার করেন। ওই সময়ের পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলে। শুনেছি রাত এগারোটা-বারোটা অবধি কাজ করতেন সরকারের তৎকালীন সিনিয়র এ সচিব। যতদিন রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ পদে ছিলেন ততদিন এভাবেই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন, এখনো এটি এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সবার মুখে মুখে। তাঁর সততা আর নিষ্ঠা সব সময় সব মহলেই প্রশংসিত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে তার কাজে এই নিষ্ঠার প্রমাণ এখন মিলছে বলে জানা যায়।

আজকাল সচিবালয়ে স্বাভাবিক অফিস সময়ের পরে এভাবে অনেক রাত পর্যন্ত সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিবদের কাজ করার খবর প্রায়ই শুনি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ঘনিষ্ঠজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের যারা এসব পদ-পদবিতে আছেন তাদের অনেকে একান্ত আলোচনায় সরকারের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার পরে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কাহিনি শোনান। অনেকে দুঃখ করে বলেন, ‘আমাদের কিন্তু ওভারটাইম নেই, কখনো-সখনো ছুটির দিনে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের কাজ করার নজিরও আছে।’

দায়িত্ব ঘাড়ে চাপলে চাইলেই যে এড়ানো যায় না তার এমন প্রমাণ হয়তো অনেককেই দেওয়া যাবে। অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সাবেক এই এলজিআরডিমন্ত্রী কালেভদ্রে সচিবালয়ে নিজ অফিসে যেতেন মোটামুটি সব মহলে এটাই স্বীকৃত। যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়টি কার্যত সামাল দিতেন সংশ্লিষ্ট সচিবরা। সরকারের একজন নীতিনির্ধারকের কাছে শুনেছি আবু আলম শহিদ খান স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব থাকাকালীন দিনরাত কাজ করতেন। তিনি সৃষ্টিশীল এবং দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এমডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব থাকাকালীন তার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে কাজের মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বড় বড় প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নের পেছনে আবুল কালাম আজাদের ভূমিকার কথা সব মহলেই স্বীকৃত। সরকারের নীতি বাস্তবায়নে এভাবে নিজেকে ফ্রন্টলাইনে নিয়ে এসে কাজ করছেন এমন অনেক আমলাই আছেন। তবে এর বিপরীত অনেক ঘটনার কথাও বলা যাবে। সাবেক একজন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিবের একটি ঘটনার কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই। সাবেক একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার মুখে গল্পটি শোনা, যিনি এক সময় সরকারের একটি সেক্টর করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন। নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ওই উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা দুঃখের সঙ্গে বলেছিলেন, সচিবের গৃহকর্মীর বেতন সেক্টর করপোরেশনের বাজেট থেকে দিতে বাধ্য করা হতো। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, বেতনের টাকা নাকি গ্রহণ করতেন ওই সচিবের স্ত্রী, যিনি কি না গ্রহণকৃত বেতনের চেয়ে কম দিতেন গৃহকর্মীকে।

মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট জটিলতায় ওই সচিবের চাকরি হারানোর ঘটনা এক সময় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। এমন আরও কিছু কিছু আমলার কাহিনিও বলা যাবে। মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি করে বেশ কয়েকজন সচিবের চাকরি হারানোর কথা আমরা অনেকেই ভুলে যাইনি। আবার একজন সচিব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণে গিয়ে প্রশিক্ষণে অংশ না নিয়ে ঘুরে বেড়ানোয় মার্কিন সরকারের রোষানলে পড়ে খরচের সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হয়ে আমাদের সীমাহীন লজ্জায় ফেলেছিলেন। বিষয়টি পুরনো হলেও তার স্মৃতি আমার এখনো টাটকা। বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিবকে যখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লেখেন, তার মতো কর্মকর্তাদের কারণে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন আমাদের লজ্জায় পড়তে হয় বৈকি!

তবে এ কথা তো খুবই সত্যি যে, সরকারের নানা ইতিবাচক অর্জনের পেছনে আমাদের আমলাতন্ত্রের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। মাঠপর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন নীতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করতেই হবে। গ্রামের সঙ্গে আমার নিবিড় যোগাযোগ। কার্যত নিয়ম করেই প্রতি মাসে এক অথবা একাধিকবার গ্রামে যাওয়া হয়। সেই সূত্রে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কীভাবে কাজ করছে তা দেখার, জানার ও বোঝার সুযোগও হয়। গত কয়েক বছরে নিজ জেলা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার কাজের প্রশংসা করতে শুনেছি বিভিন্ন মহলকে। বাল্যবিবাহ বন্ধ, মাদক নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল খাদ্য রোধ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার, পরিবেশ বিপর্যয় রোধসহ বিভিন্ন কাজে নেওয়া তার নানামুখী উদ্যোগের খবর বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে। আমার নিজ উপজেলা আলফাডাঙ্গার এক সময়ের ইউএনও আবুল খায়েরও একইভাবে সাধারণ মানুষের ভীষণ আস্থা অর্জন করেছিলেন। বোয়ালমারীর সদ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, নড়িয়ার জয়ন্তী রূপা রায়, আলফাডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আসাদুজ্জামান এভাবেই কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করছেন, খোঁজ নিলেই জানা যাবে। তাঁদের মতো আরও অনেকেই আছেন মাঠ প্রশাসনে, যারা বিভিন্ন সময় নিষ্ঠা, দক্ষতা আর মানবিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আপনজন হয়ে উঠেছেন।

গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় সদ্য নারায়ণগঞ্জে বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন, সাতক্ষীরার মোস্তফা কামাল, ঠাকুরগাঁওয়ের ড. কামরুজ্জামান সেলিম, নড়াইলের আঞ্জুমানারার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা হয়েছে। আচ্ছা, সমাজের অন্যতম অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া হিজড়াদের শিক্ষা বিস্তারের জন্য পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান যে যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছেন আমরা কতজন তার প্রশংসা করছি। এমন অনেক ভালো কাজ আমলারা করছেন।

ভোক্তা অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঈদের ঠিক আগে রাজধানীর উত্তরায় ‘আড়ং’ অতি উচ্চমূল্যের কারণে জরিমানাসহ আউটলেট বন্ধ করে দিয়ে মূলত অন্যদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েই দিয়েছেন যে, এভাবেই তাদের কাজ করতে হবে। র‌্যাবের পরিচালনায় যে ভ্রাম্যমাণ আদালত হয় তার ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম একইভাবে সক্রিয় থেকে অনেক ভালো কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। এর বিপরীতে নেতিবাচকটাই মূলত খবর হয়ে উঠে, এটাই সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে। গত ১৭ জুন হাই কোর্ট সচিবদের কর্মকা- ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানির সময় হাই কোর্ট প্রশ্ন তুলে বলে, ‘সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রী লাগলে তাদের কাজ কী’? আড়ংয়ের আউটলেটে অভিযান চালানোর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের বদলির আদেশের ঘটনায় হাই কোর্ট এ কথা বলে। হাই কোর্ট আরও বলে, ‘সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীর কেন ডাইরেকশন দিতে হবে? সেক্রেটারিরা কি তাদের পকেটে ঢুকে গেছে? বন্ধের সময় বদলির আদেশ দিয়েছে। লজ্জাও নেই। কী বলব। প্রধানমন্ত্রী সব কিছুতেই ইন্টারফেয়ার করলে এদের থাকার দরকার কী। এদের কত নোংরামি।’ উচ্চ আদালত আরও বলে, এরকম করলে তো যারা সৎ অফিসার তারা ডিমোরালাইজড হয়ে যাবে, নিরুৎসাহিত হয়ে যাবে। যারা বন্ধের দিনে এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ বছরের গোড়ার দিকেও একবার হাই কোর্ট আমলাদের কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর দুর্ঘটনা রোধে তদন্ত কমিটি ১৭ দফা সুপারিশ এখনো বাস্তবায়ন না করায় অসন্তোষ জানিয়ে এক রিটের শুনানিতে হাই কোর্ট বলে, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ সফর করছেন, অথচ নিমতলীর দুর্ঘটনার পর একটি সুপারিশও আমলারা এত বছরে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এই অদক্ষ আমলাদের নিয়ে কী করব? এই ছিল হাই কোর্টের প্রশ্ন। ওই সময় রিট আবেদনকারীর বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবে আমলাদের সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা আর কাজের মান নিয়ে এভাবেই বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। উঠবে এটাই স্বাভাবিক। কাজ করলে ভুল হয়, ভুল হবে, এটাকেও অস্বীকার করা যাবে না। আজকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অর্জনের পেছনে আমাদের আমলাতন্ত্রের অনেক ভূমিকা, অবদান আছে এর স্বীকৃতিও আমাদের দিতে হবে। আর আমলাতন্ত্র, আমলাদেরও আরও গভীরভাবে অনুভব করতে হবে তারা প্রকৃতই জনগণের সেবক।

সম্প্রতি খবরের কাগজে দেখলাম জনৈক নারী ইউএনওকে যথাযথভাবে ‘স্যার’ না বলে আপা বলায় মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বিদ্বেষমূলক আচরণ করেছেন। এটি কাম্য নয়। আবার যারা প্রজাতন্ত্রের হয়ে কাজ করছেন, তাদের যথাযথ সম্মান দেওয়াই সমীচীন। আমলারা আন্তরিকভাবে কাজ করলে উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব, এটি আমরা সবাই মনে করি।

খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমনটি মনে করেন। ২০১৭ সালের ৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তখনই দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব, যখন আপনারা (সরকারি কর্মচারী) জনগণের সেবক হিসেবে ঠিকমতো কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘সরকার হিসেবে আমরা মনে করি যে আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে। দেশটাকে আমরা কীভাবে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করতে পারি।’ দেশকে বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল আখ্যায়িত করে আমলাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আপনাদের কর্মফলই আমাদের মর্যাদার আসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ এটি অনেক বড় একটি স্বীকৃতি আমলাদের জন্য।

সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরের সচিবদের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৭-১৮ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একটি বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেন, জনপ্রতিনিধিদের যেমন জনগণের কাছে জবাবদিহিতা আছে তেমনি আমলারাও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নন। ওই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হচ্ছেন আপনারা, সরকারি কর্মচারীরা। এখানে কিন্তু কর্মচারী বলা আছে। সেক্ষেত্রে আপনাদেরও দায়বদ্ধতা আছে। দায়বদ্ধতা রয়েছে সংবিধানের কাছে, দায়বদ্ধ রয়েছে জনগণের কাছে। কারণ জনগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা কামাই করে, সেটা দিয়েই আজকে সবার বেতন-ভাতা যা কিছু তা হচ্ছে। এসবই জনগণের শ্রমের ফসল। আমরা কি এসব ভুলে যাব? ভুলে যাওয়া উচিত হবে?

বিভিন্ন দুর্ঘটনায় যখন দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি সামনে চলে আসে তখনই কেবল জনগণের অবদান, ভূমিকা আর ত্যাগের বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করি। এটা কতখানি সংগত?

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে আসার পর ১ ফেব্রুয়ারি পুরাতন গণভবনে (বর্তমান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধা) সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, সরকারি কর্মচারী ভাইয়েরা আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের সচিবরা কতখানি জনগণের সেবক হতে পেরেছেন? এ প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসে কেন? সচিবরা অনেক কাজ করেন। কিন্তু আরও করতে হবে। বাংলাদেশ বিমান, বিআরটিসি, রেলওয়ে, সেক্টর করপোরেশনগুলো লোকসানে জর্জরিত। কারা পরিচালনা করেন? এমন কত যে প্রশ্ন আছে। সচিবরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠুন, ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে আরও বেশি দেশের কল্যাণে কাজ করুন। এই কামনা রইল।

লেখক : সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস২৪ ডটকম ও সাপ্তাহিক এ সময়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর