সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাড়ির নকশা অনুমোদন

হয়রানি বন্ধের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়

বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী   শ ম রেজাউল করিমের উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রশংসা পেয়েছে। ভূমি ছাড়পত্রসহ চারটি স্তরে সাত থেকে ৫৩ দিনের মধ্যে সেবা প্রদানের ঘোষণা ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। মন্ত্রীর ঘোষণা ছিল কাগজপত্র ঠিক থাকলে সাত দিনেই নকশার অনুমোদন পাওয়া যাবে। আগে এ জন্য সময় লাগত ১৫০ দিন। নকশা অনুমোদনে হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে দেশ জুড়ে নকশা ছাড়াই ভবন তৈরির প্রবণতা মাথাচাড়া দেয়। নগরবিদরা নকশা অনুমোদনে ওয়ান উইন্ডো সার্ভিস বা এক ছাতার নিচে সব সেবা সংস্থাকে নিয়ে এসে নাগরিক ভোগান্তি কমানোর দাবি করছিলেন। মন্ত্রীর পদক্ষেপে কার্যত সে দাবিই পূরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজধানীতে রাজউকের সহজিকরণ সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এমনটিই আশা করা হচ্ছে। অনলাইনে সেবা দেওয়ায় দফতরগুলোতে ছুটতে হবে না নাগরিকদের। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)সহ দেশে যে কয়টি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে সেগুলো থেকে বাড়ির নকশার অনুমোদন পেতে আগে অন্তত ১৬টি ধাপ পার হতে হতো। আবেদনকারীকে দিনের পর দিন ঘুরতে হতো বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বারান্দায়। তাও আবার নজরানা ছাড়া কোনো কাজ হতো না। নজরানা দিলেই নকশা অনুমোদন হয়ে যেত দ্রুতগতিতে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের বিস্তর অভিযোগ বছরের পর বছর। এ ভোগান্তির প্রতিকারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তা সাধারণ মানুষের আস্থা কুড়িয়েছে। বাড়ির নকশা অনুমোদনের জন্য যে ১৬টি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অনাপত্তিপত্র নিতে হতো সেটা এখন চারটি স্তরে নামিয়ে এনেছে মন্ত্রণালয়। এ পদ্ধতিতে ইতিমধ্যে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন দিতে শুরু করেছে রাজউক, চউকসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আর সেবা গ্রহীতারা এ চারটি প্রতিষ্ঠানের অনাপত্তিপত্র পাবেন মাত্র সাত দিন থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ দিনের মধ্যে। বাড়ির নকশা অনুমোদন সহজতর করার পদক্ষেপ জনমনে যে প্রশংসা কুড়িয়েছে তা ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চোখ ও কান খোলা রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নজরদারি বজায় রাখতে হবে। ভবন নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ হলে নকশা লঙ্ঘন করে যেনতেনভাবে ভবন নির্মাণের প্রবণতাও হ্রাস পাবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। নাগরিক ভোগান্তি কমানোর এ পদক্ষেপ সরকারের সব কাজের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর