মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ট্রাম্প-কিম মোলাকাত

বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তিদায়ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে সবচেয়ে বৈরী দেশ উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উনের সঙ্গে করমর্দন করার পাশাপাশি একসঙ্গে হেঁটেছেন, বৈঠকও করেছেন তার সঙ্গে। খুবই সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা চলতি বছরের শুরুতে থেমে যাওয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা আবারও শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। উত্তর কোরিয়ায় কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পা রাখার ঘটনা এটিই প্রথম। স্মর্তব্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য জাপানের ওসাকা নগরীতে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি টুইট করে জানান, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি শুধু হ্যালো বলে হাত মিলানোর জন্য দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী বেসামরিকীকরণ এলাকায় যাবেন। এ প্রস্তাবে দ্রুত সাড়া দেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন। তিনি সময়মতো নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে যান। তার আগেই দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী রেখার কাছে বেসামরিকীকরণ এলাকাকে দুই নেতার সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যথাসময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেঁটে সীমান্ত রেখা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ার ভিতরে যান। সেখানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। একে অন্যের সঙ্গে হাত মেলান। একসঙ্গে হাঁটাহাঁটি করে সীমান্ত রেখা পেরিয়ে তারা দুজন দক্ষিণ কোরিয়ার ভিতরে আসেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনকে শুভেচ্ছা জানান কিম। এরপর দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিক জোনে দুই নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন হবে আগে থেকে ধারণাও করেননি। সংবাদ সম্মেলনে কিম তাদের এই সাক্ষাৎকে ‘অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য’ বর্ণনা করে বলেন, এর মানে হচ্ছে আমরা সহজ হতে পারি এবং ইতিবাচক উত্তর নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি। ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎকে বিশেষ মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। দুই নেতা একান্ত বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে একমত হন। ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাংদেহী মনোভাবের কারণে ট্রাম্প যখন দেশের ভিতরে ও বাইরে বিপুলভাবে সমালোচনার মুখে তখন হঠাৎ করে শত্রু দেশ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে বৈঠক স্তস্তির ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে। ট্রাম্প কথায় উগ্রবাদী হলেও আদতে যে সমঝোতাপন্থি এমন একটি ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে তার হঠাৎ কোরিয়া সফর অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর