রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিলেতের বাঙালি

আতাউর রহমান

বিলেতের বাঙালি

‘বিলেত’ শব্দটা এসেছে ফারসি বেলায়েত শব্দ থেকে, যার অর্থ-  সাম্রাজ্য। তো অষ্টাদশ, উনবিংশ আর বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যেত না, এটা আমরা সবাই জানি। আর সে সময় এটা শুনে জনৈক রসিক ব্যক্তি মন্তব্য করেছিলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না, কারণ ঈশ্বর ব্রিটিশদের অন্ধকারে বিশ্বাস করেন না   (God does not trust the British in the dark)|

সে যাই হোক, বিগত শতাব্দীর আশির দশকে সরকারি চাকরির সুবাদে বিলেতে আমার সপরিবার বসবাস ছিল সাড়ে চার বছর- একেবারে সঠিকভাবে বলতে গেল চার বছর পাঁচ মাস ২২ দিন। সে সময় লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে প্রথম সচিবের পদমর্যাদায় সৃষ্ট আমার পদটির কাজ ছিল জাইরোরেমিট্যান্স সিস্টেমের আওতায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সস্তায় ও সহজে স্বদেশে টাকা পাঠানোয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুপ্রাণিত করা ও রেমিট্যান্স-সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর সুরাহা করা। পদটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কোনো আলাদা পয়সা খরচ হতো না, প্রবাসীদের কাছে জাইরোর ফরম বিক্রিয়লব্ধ অর্থের দ্বারাই যাবতীয় খরচের সংকুলান হতো। কইয়ের তেলে কই ভাজাÑ এই আর কি! বর্তমানে অবশ্য কার্যকারিতা ফুরিয়ে যাওয়ায় পদটি অবলুপ্ত।

তা বিলেতে পোস্টিং পেয়ে আমি যুগপৎ আনন্দিত ও বিশ্বস্রষ্টার কাছে অবনমিত হয়েছিলাম দুটো কারণে-  আত্মীয়স্বজনসহ আমাদের এলাকার বহু লোক আগে থেকেই ওখানে অবস্থান করছিলেন এবং তাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটা উদগ্র বাসনা মনের কোণে লুক্কায়িত ছিল; দ্বিতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি বিধায় বিলেত দেশটা (মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের ভাষায় ‘দ্য ল্যান্ড অব শেকসপিয়র অ্যান্ড মিল্টন’) দেখারও একটা বাসনা কৈশোর-অবধি ছিল। মহাকবি শেকসপিয়রের জন্মস্থান বিলেতের স্ট্র্যান্টফোর্ড অন-এডন শহর পরিদর্শনের বৃত্তান্ত পরে স্বতন্ত্রভাবে পরিবেশন করা যাবে।

এ-স্থলে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, সে সময় বিলেতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের শতকরা প্রায় ৯৫ জনই আমার ‘দেশিভাই’ হওয়ায় আমার মুখের স্থানীয় ভাষাটি কার্য সম্পাদনে খুব সহায়ক হয়েছিল। এমনও হয়েছে যে, প্রবাসীর পাঠানো টাকা সময়মতো প্রেরকের কাছে পৌঁছায়নি বলে তিনি রেগেমেগে হাইকমিশনে টেলিফোন করেছেন; কিন্তু আমার মুখের জবান শুনে বলে উঠেছেন, ‘ও, আফনে (আপনি) সিলেটী সাব’নি? তাহলে তো গোসা (রাগ) আধা (অর্ধেক) শেষ।’ আর তাদের আতিথেয়তার কথা কী বলব! জাইরোর ব্যাপারে বিলেতের ছোট-বড় প্রায় সব শহরেই- ডোভার থেকে এক্সিটার ও লন্ডন থেকে ইনভারনেস- আমি গিয়েছি এবং কোথাও হোটেলে থাকতে হয়নি। আমার কয়েকটি বাড়তি সুবিধা ছিল এই যে, ষাটের দশকে সিলেট সরকারি এমসি কলেজে অধ্যাপনাকালে আমি যাদের পড়িয়েছি তাদের অনেকেই পরবর্তীতে বিলেতে গিয়ে ‘ইন্ডিয়ান’ রেস্টুরেন্ট খুলে ‘গাভনার’ হয়ে গেছেন। ‘গাভনার’ হচ্ছে ইংরেজি ‘গভর্নর’ শব্দের অপভ্রংশ। আমি মজা করার জন্য গাভনারদের বলতাম, পাকিস্তান আমলে গভর্নর ছিলেন আজম খান, মোনায়েম খান প্রমুখ। আর বিলেতে এসে আপনারা হয়েছেন গভর্নর। তাতে তারা খুব খুশিই হতেন। তো গাভনার আমার ছাত্র হলে আর কথা নেই- আরামে রেখেছেন, হালাল ফুড খাইয়েছেন এবং বিদায়কালে সুদৃশ্য মোড়কে গিফ্টও দিয়েছেন। প্রাচীনকালে টোলে অধ্যয়নরত ছাত্ররা নাকি গুরুকে গুরু-দক্ষিণাস্বরূপ কলাটা-মুলোটা দিতেন, আমার বেলায় প্রায়শই জুটত মার্ক-অ্যান্ড স্পেনসারের শার্ট ও টাই। তো মার্ক-অ্যান্ড স্পেনসারের শার্টের কলারে ‘সেইন্ট মাইকেল’ লেখা থাকে বিধায় গল্প আছে : একদা একজন খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী জনৈক দুবত্ত কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্তের গায়ে সেইন্ট মাইকেল মার্কা মার্ক-এ স্পেনসারের শার্ট থাকায় তিনি কিছুই মনে করেননি, কেননা তিনি ভেবেছিলেন একজন দেবদূত কর্তৃক তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। হা-হা-হা! কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আর সংসারে কিছু লোক কাজ করার জন্য জন্মায় ও কিছু লোক গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ায়, যেমন করে কিছু লোক প্রতিভাবান হয়ে জন্মায় ও কিছু লোকের ওপর প্রতিভা চাপিয়ে দেওয়া হয়। তাই আমি হাইকমিশনে যোগদানের কিছুদিন পরই কনস্যুলার তথা পাসপোর্ট অফিসারের পদটি খালি হলে পর আমাকে ওটার অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করা হলো। বিধি অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর পাসপোর্টের নতুন বই দিতে হয় বিধায় ’৮২ সালে ওখানে কয়েক লাখ নতুন বই ইস্যু করতে গিয়ে আমার ব্যস্ততার সীমা-পরিসীমা ছিল না এবং এ ব্যবস্থা ১৫ মাস পর্যন্ত বহাল ছিল। তো এই পাসপোর্ট-ভিসার কাজ করতে গিয়ে আমি শিখে ফেলেছিলাম কীভাবে গলা কাটা পাসপোর্ট তথা অন্যের পাসপোর্টের ফটো বদলে বিলেতে প্রবেশকারী বাঙালিদের সাহায্য করতে হয় এবং করেছিও দেদার। প্রাণ খুলে ও নিজের বিবেককে স্বচ্ছ রেখে। আর বৈধ পাসপোর্টে স্বল্পকালীন অবস্থানের সিলসহ সে দেশে প্রবেশ করে যারা ইচ্ছাপূর্বক পাসপোর্টটা হারিয়ে হাইকমিশনে নতুন পাসপোর্টের জন্য আসতেন তাদের আমি অকপটে বলতাম, ‘ব্রিটিশরা আমাদের প্রায় ২০০ বছর শাসন ও শোষণ করেছে। আপনি বিলেতে এসে গেছেন, অতএব এখানে ২০০ বছর থাকার আপনার হক হয়ে গেছে। কীভাবে থাকবেন তার ব্যবস্থা আমরা করে দেব। এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখতে গেলে সাতকাহন হয়ে যাবে। তবে কাকতালীয়ভাবে এই সেদিনও সিলেটে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে এভাবে উপকৃত একজন বিলেতি আমার পরিচয় পেয়ে আমার উপরোক্ত কথাগুলো হুবহু উদ্ধৃত করেছেন। আমি নিজেকে খুব গৌরবান্বিত মনে করেছি। তো একদিন হাইকমিশনে কনস্যুলার সেকশনে আমার কামরায় বসে কাজ করছি, সামনে এসে দাঁড়ালেন দুই বয়স্ক স্বদেশি। আমি তাদের সঙ্গে দেশের স্থানীয় কথ্যভাষায় কথা বলায় একজন অন্যজনকে বলে উঠলেন, ‘আরে ই তো আমরার সিলেটী সাব দেখি, তাইলে বই (বসি)।’ আমি না হেসে পারলাম না। আর কথাটা এক ধরনের সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতার পরিচায়ক হলেও হাইকমিশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর উন্নাসিকতাও বহুলাংশে দায়ী ছিল বটে। তা সে যা হোক, এসব তথাকথিত অশিক্ষিত স্বদেশি, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আপ্রাণ সাহায্য-সহায়তা করেছেন, বিলেতে যেতে শুরু করেন বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে। তারা জাহাজের ইঞ্জিনরুমে চাকরি করতেন এবং জাহাজ বিলেতের পোতাশ্রয়ে ভিড়লেই পালিয়ে গিয়ে ইতিপূর্বে বৈধভাবে বসবাসরত কোনো স্বদেশির আস্তানায় গিয়ে লুকাতেন। নিজেদের মধ্যে এই বোঝাপড়া ছিল যে জাহাজের ক্যাপ্টেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অনুসন্ধান করতে এলে বৈধ লোক দরজা খুলে পুলিশ দেখলেই সজোরে বলে উঠত, ‘আরে, মুজফর আইসে রে!’ বিলেতের পুলিশের এটা বোধগম্য হতো না; কিন্তু যে বোঝার সে ঠিকই বুঝে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেত। এভাবেই বিলেতে প্রথম প্রজন্মের স্বদেশিদের কাছে বিলেতের পুলিশের অন্য নাম হয়ে গিয়েছিল ‘মুজফর’, যেটা আশির দশকেও সে দেশে অবস্থানকালে আমি স্বকর্ণে শুনেছি। আর তারা ইংরেজি ভাষাটা জানতেন না বিধায় বুদ্ধি করে ইংরেজি অনেক শব্দকে স্থানীয় বাংলা শব্দের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন। যেমন-  ‘গ্রোসারি শপ’ তথা মুদির দোকানকে বলতেন গরু চুরি সাপ, বাসের কন্ডাক্টরকে ডাকতেন ‘কান ডাক্তর’ আর Bus No-55--এ চড়ে এসে জানাতেন ‘দুই বরির (বড়শির) বাসে আইছি’, যেহেতু ইংরেজি ‘৫’ সংখ্যাটা দেখতে অনেকটা মাছ মারার বড়শির মতো। হা-হা-হা! অবশ্য বিলেতে বিশালায়তনে বাঙালিদের আগমন ঘটেছিল বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে, যখন বিলেতসহ সারা ইউরোপে দেখা দেয় ‘অটোমোবাইল বুম’ তথা মোটরযানের সহসা প্রবৃদ্ধি আর হাজার হাজার মাইল রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারজনিত শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা। তবে প্রথম প্রজন্মের বিলেতপ্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে কিছু শিক্ষিত পেশাজীবী লোকও ছিলেন, যারা উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে ও দেশে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে ফেলেন। আর দ্বিতীয় প্রজন্মের বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা কেউ বা অপরিণত বয়সে মা-বাবার সঙ্গে সে দেশে গেছেন, কেউ বা ওখানেই জন্মগ্রহণ করে বেড়ে উঠেছেন। এদের অনেকেই উচ্চশিক্ষিত হয়ে ও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভ করে সেখানকার ও এখানকার সমাজেও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ‘ব্রিকলেইন’ উপন্যাসের লেখিকা মণিকা আলী, বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম বিচারপতি ব্যারিস্টার ইমান আলী প্রমুখ। ইত্যবসরে অবশ্য এখানে তৃতীয় প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটে গেছে। আর বলা হয়, বিলেতের আবহাওয়া ও বিলেতি মেমসাহেব এ দুইয়ের হদিস পাওয়া খুব কঠিন। কেননা, এ দুটোই ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। এও সত্যি যে, সে দেশের অধিবাসীদের মধ্যে সাধারণত কথা-বার্তা শুরু হয় আবহাওয়া দিয়েই এবং ক্রমে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফায়দাটাও পাচ্ছেন ওরাই। আর ব্রিটিশরা ঐতিহ্য রক্ষায় পারদর্শী। ওদের ঐতিহ্য হচ্ছে কালো ট্যাক্সি, লাল পিলার লেটার বক্স, লাল ডবল-ডেকার বাস, পাবলিক পানশালা (পাব), ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য তথা অন্যের ব্যাপারে নাক না গলানো, কথায় কথায় ‘প্লিজ’ ও থ্যাংক্য়ু বলা (লন্ডনে ডবল-ডেকার বাসে ভ্রমণকালে একটি বাস-টিকিটের আদান-প্রদানে পাঁচবার থ্যাংক্য়ু উচ্চারিত হতে আমি স্বকর্ণে শুনেছি) এবং সর্বোপরি ক্রিকেট খেলা। তা ক্রিকেটের সূতিকাগারই তো হচ্ছে বিলেত। খেলাটির সূচনালগ্নে নাকি বিলেতের ছেলেরা বল বনে হারিয়ে খুঁজে পাচ্ছিল না; হঠাৎ একটি মস্তবড় ক্রিকেট তথা ঝিঁ-ঝিঁ পোকা মাটিতে পড়ে আছে দেখে ওরা সমস্বরে বলে উঠেছিল, ‘আজ থেকে এই খেলার নাম হবে ক্রিকেট।’ তা ক্রিকেট হচ্ছে ‘এ গেম অব স্ট্যাটিসস্টিকস’ তথা হাজারো রকমের পরিসংখ্যানের খেলা এবং পরিসংখ্যান নাকি হচ্ছে অনেকটা মহিলাদের বিকিনির মতো, যা প্রকাশ করে তা ইঙ্গিতপূর্ণ ও যা লুকায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

বিলেতে বর্তমানে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা চলছে। ৭৫০ বছর আগে ব্রিটিশরাই ক্রিকেটের জনক হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ঘরে তোলা তাদের ভাগ্যে ঘটেনি। এবারের বিশ্বকাপ আসরে তারা হট ফেবারিট। দেখা যাক, শেষমেশ তাদের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে কিনা। তা ক্রিকেটের প্রসঙ্গই যখন এলো, এ ব্যাপারে একটি মজার গল্প পরিবেশন করে আপাতত বিদায় নিতে চাই। পাড়াগাঁয়ের মোটামুটি শিক্ষিত এক লোক শহরে বেড়াতে এসে ক্রিকেট খেলা দেখে গাঁয়ে ফিরে গিয়ে বন্ধুদের কাছে গল্প করেছিলেন : ‘প্রথমে দুই ডাক্তার সাহেব তাদের ডাক্তারি গাউন পরে মাঠে নামলেন। তাদের পেছনে পেছনে নামলেন আরও ১০-১২ জন লোক। সবশেষে এলেন আহত দুজন লোক; তাদের হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজ এবং এক হাতে একটি কাঠের টুকরা। মাঠ থেকে একজন দৌড়ে এসে তাদের দুজনের মধ্যে একজনের দিকে চামড়ায় মোড়ানো একটি কাঠের বল ছুড়ে মারলেন। বলটি তার গায়ে লাগলে পর তিনি ব্যথায় কুঁকড়ে গেলেও মাঠে উপস্থিত লোকেরা তাকে সাহায্য করার পরিবর্তে উল্লাসে ফেটে পড়ল। তাকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হলো। আরেক আহত ব্যক্তি তৎপরবর্তীতে এলে পর তাকেও একই বল ছুড়ে মারলে সে কাঠের টুকরার এক আঘাতে বলটিকে শূন্যে উড়িয়ে একেবারে মাঠের বাইরে ফেলে দিল। তখন ডাক্তার দুজনের একজন বোধকরি ভয় পেয়ে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দুই হাত ওপরে তুলে ধরলেন আর মাঠের লোকজনও সশব্দে চিৎকার করে উঠল। শহরাঞ্চল কী আজব জায়গা, তাই না?’

লেখক :  বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর