মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে কী পেলাম বা পাব

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে কী পেলাম বা পাব

সেদিন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের ‘মুঘল-ই-আজম ও ক্রসফায়ার’ শিরোনামে এক অসাধারণ লেখা পড়লাম। লেখাটি আমায় দারুণ আনন্দ দিয়েছে। কথার চাইতে লেখা ভারী এবং শক্তিশালী এ থেকে বোঝা যায়। কথাই নেতৃত্ব করে, কথাই কর্তৃত্ব করে। কিন্তু লেখা সেই নেতৃত্ব-কর্তৃত্বকে অনেকাংশে স্থায়ী করে। নঈম নিজামের লেখাটিতে অনেক ভাবনার খোরাক আছে। গভীরভাবে পড়লে অনেক শিক্ষণীয় তত্ত্ব আছে। আমি দুবার পড়েছি। ইচ্ছা আছে আরেকবার পড়ার। ক্রসফায়ার থেকে শুরু করে বাদশাহ আকবর, যোধাবাই, মানসিংহ, যুবরাজ সেলিম কার কথা নেই সেখানে। ইরানি সুন্দরী আনারকলি থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের বহু খুুঁটিনাটি বেরিয়ে এসেছে নঈম নিজামের লেখায়। দোয়া করি কলমযোদ্ধার এ যুদ্ধ আরও ক্ষুরধার, আরও শানিত হোক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল চীন সফরের জন্য তাকে ধন্যবাদ। সমস্যা হলো দশের লাঠি একের বোঝা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রম তার ছায়াদের জন্য স্বাভাবিক গতিতে চলে না, প্রায় ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চাই সেটাই যখন হয় না তখন মানুষ হতাশ হয়, দিশাহারা হয়। আসলে আধুনিক পৃথিবীতে ইচ্ছা করলেই অনেক কিছু করা যায় না। পারিপার্শ্বিক নানা টানাপড়েন থাকে। বাংলাদেশকে ঠিক চীন নয়, চীনের মতো একটি দেশ বানানো যেতে পারে। চীনের এত উন্নতির পেছনে তাদের নির্লোভ নেতৃবৃন্দ। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে আমাদের মতো লোভী নেই। হঠাৎ দু-একজন দুর্নীতি করলে আরব দেশের মতো তাদের গর্দান কাটা যায়। কিন্তু আমাদের চারপাশে দুর্নীতিতে ভরা। কী করে দুর্নীতিবাজদের দিয়ে সুনীতি করবেন- সমস্যা তো এখানেই। তবু তার ঐতিহাসিক সফরে দেশবাসীর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।

বরগুনার বর্বরোচিত হত্যার বাতাস প্রবলভাবে সারা দেশে বয়ে চলছে। একজন নারী ছাড়া রিফাত হত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ কেউ করেনি। আমরা সারা দেশ যে প্রতিবাদ করছি সেটা অনেক পরে। ছোটবেলায় শুনেছিলাম চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। সে রকম তস্করেরা রিফাতকে হত্যা করলে তার লাশ নিয়ে, তাকে কবর দিয়ে আমরা কেঁদে কেটে চোখ ফোলাচ্ছি। কিন্তু যখন এক পা এগোলে হয়তো একটা প্রাণ বাঁচানো যেত তখন কেউ এক পা এগোয়নি। আল্লাহতায়ালা সূরা মায়েদায় বলেছেন, ‘যে একটা জীবন বাঁচাল সে যেন সারা পৃথিবীকে বাঁচাল।’ আমরা সেই সুযোগ হাতছাড়া করলাম। হাই কোর্ট বলেছে, নয়ন বন্ড এক দিনে হয়নি। এটা বহুদিনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের ফসল। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ যথার্থ। কোনো তস্কর এক দিনে আচমকা হয় না। এর একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া থাকে। হত্যার পরপরই বরগুনার একসময়ের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং তার ছেলে সুনাম দেবনাথ শম্ভুকে নিয়ে যেসব কথা শুনলাম কোনোটাই প্রশংসার নয়। সেই কবে থেকে আমরাও রাজনীতি করি। রাজনীতির বাইরে আমাদের কোনো নীতি নেই। সারা জীবনে আমাদের কোনো বন্ড ফন্ডের দরকার হলো না। আমি হতে না পারলেও আমার অনেক কর্মী এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন। তাই রাজনীতিতে গুন্ডামির কোনো জায়গা নেই। আমাদের সময় রাজনীতির জন্য অর্থ ছিল অভিশাপ, শ্রম ছিল আশীর্বাদ। এখন অর্থই আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর স্থায়িত্ব কতক্ষণ। কোনো কালে কোনো সময় অর্থবিত্ত সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোনো প্রভাব পড়ে না। আজ পড়ছে, কাল পড়বে না। কিন্তু যা চিরসত্য তাকে কেউ খন্ডতে পারবে না। রাজনীতি রাজনীতিই। সেখানে কলুষতার গোঁজামিলের কোনো জায়গা নেই। মহামান্য হাই কোর্ট কোনো হত্যা পছন্দ করে না। বিচারকের আসনে বসে তাদের এ প্রত্যাশাই স্বাভাবিক। দেশবাসী আরও খুশি হতো যদি এসব হত্যা বন্ধে মহামান্য আদালত আরও শক্ত ব্যবস্থা নিত। কেউ রাষ্ট্রের হাতে ধরা পড়ার পর তার জীবনহানি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার। পুলিশ যেসব খোঁড়া যুক্তি দেয় তার একটাও গ্রহণযোগ্য নয়। অস্ত্র খুঁজতে গিয়ে আসামির তথ্যমতো কাউকে ধরতে গিয়ে ক্রসফায়ার- এটা কোনো সভ্য দেশের রীতি হতে পারে না। এটা কোনো বিচারের অংশও নয়। আরও মজার ব্যাপার, অস্ত্র খুঁজতে বা কাউকে ধরতে গিয়ে যাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় সে মরবে কেন? অনেক সময় তার হাতে হ্যান্ডকাফ থাকে, তার কাছে কোনো অস্ত্র থাকে না। কেউ যদি আক্রমণ করে তাহলে তারা আহত/নিহত হতে পারে, পুলিশ আহত/নিহত হতে পারে। কিন্তু যাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় সে কেন মারা যাবে? তার মানে তাকে মারার উদ্দেশ্য নিয়েই যাওয়া হয়। যারা এ হত্যা করেন তারা ভাবেন ব্যাপারটা পানি পানি। অথচ তা নয়। ভবিষ্যতে কোনো দিন আইন-কানুন মেনে চলা সরকার এলে সেটা হোক না শত বছর, হোক না হাজার বছর পর তাতে কী আসে যায়? আজকের এ বেআইনি হত্যার বিচার হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পর যদি হানাদারদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় তাহলে কেন এখনকার অপরাধের বিচার হবে না? সেটাও হবে। তাই আদালত যদি আরেকটু যত্নবান হয়ে জবাব চাইত যে, যারা আসামি নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অথবা কাউকে খুঁজতে গিয়ে ক্রসফায়ারের নামে আসামি হত্যা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাহলে হয়তো প্রশাসন বিশেষ করে পুলিশ বেপরোয়া হতো না। মাঝে মাঝে কষ্ট হয়, যখন সংসদে ছিলাম তখন অধিবেশনের শুরুতে, কোনো কোনো দিন শেষে কখনো দুবার, তিনবার এই পুলিশদের সুযোগ-সুবিধা, চিকিৎসা, সন্তানদের লেখাপড়াসহ নানা কিছু নিয়ে সংসদকে উত্তাল করে ফেলেছি। আমাদের চিৎকার-ফাৎকারে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে ১০ গুণ। তার পরও তারা যদি আমাদের মুখ রক্ষা না করে তাহলে কালো মুখ কোথায় লুকাই? বড় মর্মযাতনা ও মর্মপীড়ায় দিন কাটছে। অনেক কিছুই ভালো লাগছে না। বরগুনার বর্বরতা মানুষকে বড় মর্মাহত করেছে। দলে-দলে, নেতায়-নেতায়, ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে সংঘাত যেন একেবারে সৃষ্টি ছাড়া হয়ে পড়েছে। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক-সামাজিক এবং সরকারি আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া কেউ দুর্দান্ত হয় না। সমাজে কেউ দানব হয় না, যত দানব যত দস্যু সব সরকারি ছায়ায়-মায়ায়-কায়ায় জড়িয়ে একাকার। এ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সমাজ ভেঙে যাবে, পচে যাবে। যে বাঙালি সমাজ নিয়ে আমরা এতকাল গর্ব করেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের সময় সেই সমাজ ভেঙে চুরমার হয়ে যাক তা কখনো ভাবতে পারি না। তাই বড় মর্মযাতনা বোধ করি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন নিয়ে কী বলবেন জানি না। তার সংবাদ সম্মেলনের আগেই যেহেতু লেখাটি ছাপতে দিতে হলো তাই সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারলাম না। তবে একটা প্রশ্ন বড় খুঁতখুঁত করছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এবার চীন সফরের প্রধান প্রতিপাদ্যই ছিল রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মহাচীনের সমর্থন। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রশ্নে যা শুনেছি সেখানে সমাধানের কোনো আশ্বাস নেই। একটা আশ্বাস শুনলাম, তা হলো বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের খাবার-দাবারের জন্য মহাচীন ৩০ লাখ ডলারের খাদ্য সাহায্য দেবে। এটা কি তাদের দেশে ফেরার প্রস্তুতি নাকি ভালোভাবে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন বসবাসের গোড়াপত্তন, ঠিক বুঝতে পারলাম না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি একটু চেষ্টা করলেই রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সারা পৃথিবীতে মানবতার প্রতীক হয়ে উঠতে পারতেন। কিন্তু হেলাফেলায় সেই ট্রেনটা ফেল করে ফেলেছেন। যেটা হতো বাঙালি জাতির জন্য শত শত বছরের আশীর্বাদ, সেটা কোনো কারণে জাতির জন্য অভিশাপ হয় কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এ কদিন খুব ছোটাছুটি যাচ্ছে। টাঙ্গাইল কোর্টে একটা ছোট্ট মামলা ছিল। সেজন্য কোর্টে গিয়েছিলাম। আমাদেরই ভুলে আবার তারিখ পড়েছে। এ নিয়ে দুবার যুববয়সী জজ সাহেবের মুখোমুখি হলাম। অল্প দু-চার কথা যা হয়েছে তাতে জজ সাহেবকে ভালোই লেগেছে। মামলাটির সওয়াল-জবাবের এক অংশ নিজেই করব। এর আগেও একবার করেছিলাম। সেখান থেকে রাতেই ঢাকায় ফিরেছি। রাস্তা মোটামুটি একটা পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু আমার গাড়ি তেমন ভালো না। প্রায় ২৫ বছরের বুড়ো গাড়িতে ঘুরে বেড়াই। মাঝেমধ্যেই গাড়ির হাত ভাঙে, পা ভাঙে, দাঁত ভাঙে, চোখে অন্ধকার দেখে। তাই নিয়েই চলাফেরা। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে গিয়েছিলাম বড় ভাইকে দেখতে। ৩১২ নম্বর কেবিনে আছেন তিনি। কেন যেন কেবিন ব্লকের ৩১২ নম্বর আমাদের ছাড়ে না। মা ছিলেন, আমি ছিলাম, বড় ভাই আগেও ছিলেন আবার সেদিন এসেছেন। বড় ভাইয়ের শরীর কাঁপে। একটু-আধটু আমারও কাঁপে। কিন্তু সেদিন তার হাতকাঁপা দেখে খুব খারাপ লাগল। জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেমন আছেন। তিনি এই প্রথম বললেন শরীরটা তেমন ভালো না। লতিফ ভাই কখনো অমন বলেন না। সব সময় জোর করে হলেও ভালো আছি, আমি ঠিক আছি এসব বলে বেড়াতেন। বগুড়া জেলেই মনে হয়েছিল এতকাল আমরা যাকে জেলে দেখতাম এই লতিফ সিদ্দিকী তিনি নন। কারা নির্যাতন ছিল তার ছায়াসঙ্গী। পাকিস্তান, বাংলাদেশ সব আমলেই অধিকাংশ অন্যায়ভাবে তিনি কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন। এবার জেলখানায় থাকা একেবারে আরও অন্যায়। জজবাহাদুর অবলীলাক্রমে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে পারতেন। জামিনে মুক্তির যে যে শর্ত সব তার ছিল। জামিনে প্রধান শর্তই হচ্ছে আসামি পালাবেন কিনা, তারিখমতো তাকে পাওয়া যাবে কিনা। লতিফ সিদ্দিকীর পালানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো আসামি জামিন পেতে পারেন। সেটা খুনের কেসের আসামি হলেও। মামলাটি ফৌজদারি নয়, দেওয়ানি। মামলাটি সরকারি আর্থিক ক্ষতির। মন্ত্রী হিসেবে যদি তার দায়িত্ব থেকে থাকে তাহলে মন্ত্রীর ডালপালারও দায়িত্ব আছে। শুধু মন্ত্রী আসামি হন কী করে? অসৎ উদ্দেশ্যে যোগসাজশে কোনো কিছু করে থাকলে তা মন্ত্রীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। তার হাত-পা থাকতে হয়। আর এ মামলাটি এক বিচিত্র ঘটনা। সরকারি সব নিয়ম মেনে পাটের গুদামটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যখন বরাদ্দের সব প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে তখন প্রতিপক্ষ হাই কোর্টে রিট করে। তাদের দাবি ছিল, ওভাবে গুদামটি কাউকে বরাদ্দ না দিয়ে আবার টেন্ডার করা হোক। সেইমতো হাই কোর্ট একটি রুল দিয়েছিল। রিটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গুদামটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বলে। সেইমতোই রেজিস্ট্রি হয়। দুদক এখানে রাষ্ট্রের ২৩ লাখ টাকা ক্ষতি দেখিয়েছে। যে সময়ে যাদের দিয়ে দুদক মূল্যায়ন করেছে তাদের মূল্যায়ন আর ১০ বছর আগে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়নে হেরফের হতেই পারে। বাংলাদেশের প্রথম বাজেট হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকার। সেই বাজেট এখন ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। আসল কথা লতিফ সিদ্দিকীকে হেনস্তা করতে হবে। স্বাধীনতাযুদ্ধে যে পরিবার সব থেকে বেশি ভূমিকা রেখেছে, সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে যারা সবাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তাদের হেনস্তা করা- এ ছাড়া আর কী কারণ থাকতে পারে। ভাইয়ের শরীরস্বাস্থ্য দেখে খুব একটা ভালো লাগেনি। গত দুই দিন প্রচন্ড গরম। তার পরও ছোটাছুটি করেছি। ৬ তারিখ ছিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দিনব্যাপী বর্ধিত সভা। অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। গতকাল ছিল সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা খোঁজার চিন্তা বা পাট চুকিয়ে জনগণের সব সমস্যায় তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নতুন উদ্যমে পথচলা শুরু করছে। আমরা সব সময় দেশবাসীর বিশ্বস্ত থাকার চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতেও সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। অতীতে যেমন সব সংগ্রাম, আন্দোলনে আমরা আমাদের সাধ্যমতো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি ভবিষ্যতেও রাখব। দেশবাসীর কাছে আমাদের আবেদন, তারা সর্বতোভাবে আমাদের সহযোগিতা করুন।’

 

► লেখক : রাজনীতিক।

www.Ksjleague.com

 

সর্বশেষ খবর